১৯৯৪ সালে ভারত প্রথম মিস ইউনিভার্স মুকুট পেয়েছিল। সেবার বিশ্বমঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন বাঙালি কন্যা সুস্মিতা সেন। এরপর ২০০০ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতেন লারা দত্ত। তারপর কেটে যায় দীর্ঘ ২১ বছর। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তৃতীয় মিস ইউনিভার্স ভারতের হারনাজ সান্ধু। গত বছর ইসরায়েলে বসেছিল মিস ইউনিভার্সের ৭০তম আসর। বিশ্বের সব সুন্দরীদের পেছনে ফেলে মিস ইউনিভার্সের মুকুট ওঠে হারনাজের মাথায়।
কিন্তু সম্প্রতি আদালতে মামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাঞ্জাবি ছবির প্রযোজক উপাসনা সিং এ মামলা করেন। প্রযোজকের দাবি, মোটা অঙ্কের টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে হারনাজ চুক্তি ভেঙেছেন। এতে বিপাকে পড়েছে তার ছবির প্রচার।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে প্রযোজক উপাসনা জানিয়েছেন, বিশ্বসুন্দরী হওয়ার আগেই আমার ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিল হারনাজ। সম্প্রতি নতুন ছবি ‘ইয়ারা দিয়া পু বারানতেও’ নায়িকার ভূমিকায় দেখা যাবে হারনাজকে। এ ছবির জন্য প্রচুর টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন হারনাজ। কিন্তু ছবির প্রচারে তিনি হাজির হচ্ছেন না। এমনকি ভাচুর্য়াল প্রচারেও অংশ নিচ্ছেন না তিনি। বারবার অনুরোধ করার পরও কোনোভাবেই প্রচারে অংশ নিচ্ছেন না হারনাজ। এ কারণেই আদালতে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মিস ইউনিভার্সের নাম ঘোষণা করা হয়। ২১ বছর বয়সী এই তরুণীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দিয়েছিলেন ২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেজা। হারনাজের সঙ্গে সেরা তিনের লড়াইয়ে ছিল প্যারাগুয়ের নাদিয়া ফেরেইরা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার লালেলা সোয়ানে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস