বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়িত হবে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটক ‘মর্ষকাম’। আনিকা মাহিনের লেখা নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী। এটি থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ১৯তম প্রযোজনা। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন হয়।
বিভিন্ন চরিত্রে নিয়মিত অভিনয় করছেন— মেহমুদ সিদ্দিকী, নুরুজ্জামান বাবু, মাহফুজ সুমন, এস আর সম্পদ, সজল চৌধুরী, সেলিম মাহবুব, স্বাধীন শাহ, রিয়াজ হোসেন, সরকার জামান, মোহাম্মদ বারী, চন্দন রেজা, ফেরদৌস আমিন বিপ্লব, লেমন, পিয়ার মোহাম্মদ, রাকিব, জায়েদ হোসেন, মাজিদুল মিঠু, সোনিয়া নাসরিন, সূচি চৌধুরী, সুমন আকন্দ, আকাশ মোদক, আবির সায়েম, ফারহানা আক্তার।
নাটকে দেখা যাবে, তিনটি পৃথক অঙ্কে চক্রাকারে পুনরাবৃত হয় একই নাটক, তিনটি ভিন্ন রূপে। প্রতিটি অঙ্কে বার বার ফিরে আসে একই সব চরিত্র- প্রেসিডেন্ট, অর্থমন্ত্রী, সচিব, জেনারেল ও মিস্টার এক্স। চলতে থাকে রাজনীতি ও ক্ষমতার খেলা- যার একমাত্র নিয়ন্ত্রক কোনো এক অদৃশ্য পরাশক্তির প্রতিনিধি ‘মিস্টার এক্স’। এ খেলা দমন ও নিয়ন্ত্রণের, এ খেলা মর্ষকামের। বার বার প্রতিরোধ গড়ে ওঠে, পরিবর্তিত হয় পুরনো রাজনৈতিক দৃশ্যপট আর সূচনা হয় নতুন রাজনৈতিক পটভূমির কোনো এক ভিন্ন স্থানে, ভিন্ন আঙ্গিকে। কিন্তু অবসান হয় না সেই পুরনো রাজনৈতিক ক্রিয়ার, সেই আদি ও অকৃত্রিম খেলার।
নাট্যকার আনিকা মাহিন বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক রাজনীতির সবচেয়ে ক্ষমতাধর পরাশক্তির পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে লেখা এই নাটক। সেই পররাষ্ট্রনীতি- যা যুগ যুগ ধরে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বিশ্বের সকল অবদমিত রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। এই পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে বিপ্লব বা প্রতিরোধ যে হয় না তা কিন্তু নয়। প্রতিরোধ হয়ে আসছে এবং আগামীতেও হবে। কিন্তু এই নীতির নীল নকশা গ্রাস করে বিপ্লবের সকল ডিসকোর্স। এই নীতির মূল কখনও পাল্টায় না। এই নীতি আবির্ভূত হয় নতুন নতুন রূপে, পাল্টানো সময়ে, বদলানো প্রেক্ষাপটে।’
নির্দেশক রোকেয়া রফিক বেবী বলেন, ‘নাটকটিতে কোনো সরলরৈখিক গল্প নেই, এমনকি প্রথাগত নাট্য কাঠামোও নেই। বরঞ্চ নাটকটি তিনটি পৃথক সমান্তরাল অঙ্কের কোলাজ- অনেকটা একই ঘটনার তিন রকম বর্ণনার কথন।’
নাটকের নেপথ্য কুশিলবদের মধ্যে মঞ্চ পরিকল্পনায় রয়েছেন শাহীনুর রহমান, সঙ্গীত পরিকল্পনায় সেলিম মাহবুব, আলোক পরিকল্পনায় আবু সুফিয়ান বিপ্লব, পোষাক পরিকল্পনা রোকেয়া রফিক বেবী, কোরিওগ্রাফি অনিকেত পাল বাবু।
পিআর/এম