সবই বুঝি, তা-ও আমার কষ্টটা কমে না : শবনম ফারিয়া
পৃথিবীতে বাবারা যেন সন্তানদের বটবৃক্ষের ছায়ার মতো আগলে রাখেন সবসময়। চাইলেও বাবাদের ঋণ শোধ করা সম্ভব না। সব পরিস্থিতিতেই সন্তানের বিপদে-আপদে পাশে থাকেন তারা।
রোববার (১৮ জুন) ‘বিশ্ব বাবা দিবস’ উপলক্ষে সব তারকাদের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াও নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। জানিয়েছেন বাবা না থাকার কষ্ট আসলে কতটা গভীর।
শবনম ফারিয়া বলেন, ‘ফাদার্স ডে’ আসলে আমার মন খারাপ হয়, একটু-আধটু না, অনেক বেশি! এটা সবাই জানে যে, আমি আমার বাবার খুবই আহ্লাদী একটা মেয়ে ছিলাম। আমার বাবারও পুরা পৃথিবী একদিকে তার মেয়েরা ছিল আরেক দিকে।
বাবার সঙ্গে স্মৃতি চারণ করে অভিনেত্রী বলেন, প্রতিবছর ‘ফাদার্স ডে’র আগে আমার অনেক প্ল্যান থাকতো। আমি বোঝার চেষ্টা করতাম, বাবার কী লাগতে পারে, বেশির ভাগ সময়ে বই ছাড়া বাবাকে দেওয়ার মতো তেমন কিছু পাওয়া যেত না। বাবার জন্য বই কেনাও একটা মুশকিলের ব্যাপার। বাবা এতো বই পড়েছেন যে, কোন বই তার পড়া হয়নি, সেটা বোঝা মুশকিল ছিল। অনেক খুঁজে খুঁজে কিনতে হতো।
একটি গল্প শেয়ার করে শবনম ফারিয়া বলেন, আমি ইনকাম শুরু করার পর থেকে এমন কোনো ‘ফাদার্স ডে’ যায়নি, যেদিন আমরা ডিনারে বাইরে যাইনি! প্রায় ৬ বছর, এখনও যখন দেখি কেউ বাবার জন্য কিছু কেনে, আমার ভীষণ কষ্ট হয়! আমার মনে আছে, বাবা চলে যাওয়ার ৩ মাস পর থাইল্যান্ড গিয়েছি শুটিংয়ে। পুরোনো অভ্যাসে বাবার জন্য ৪টা পোলো টি-শার্ট কিনে বের হয়েছি, জোভান সেগুলো দেখে বলে, এগুলো কার জন্য কিনলি?
আমি বললাম, বাবার জন্য! জোভান অনেকক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে ঘাড়ে হাত দিয়ে শান্ত স্বরে বলে, চল আমরা এগুলো চেঞ্জ করে অন্য কিছু নিয়ে আসি! ঠিক তখন মনে পড়ল, আমার বাবা তো আর নাই!
তিনি আরও বলেন, না, বাবা আছে। হয়তো সঙ্গে কিংবা পাশে নাই। যেখানে আছে নিশ্চয়ই ভালো আছে, সারাজীবন এতো মানুষের চিকিৎসা করেছেন, সাহায্য করেছেন, আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয়ই তাকে খারাপ রাখবেন না।
সবশেষ শবনম ফারিয়া বলেন, সবই বুঝি কিন্তু তাও আমার কষ্টটা কমে না। কোথাও ভালো কিছু খেলে, নতুন কোথাও ঘুরতে গেলে, ভালো কিছু করলে কিংবা কাজ নিয়ে কেউ অ্যাপ্রিসিয়েট করলে প্রথমেই মনে হয়, আরে বাবাকে বললে তিনি মজা পেতো।
মন্তব্য করুন