মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয়ে হাতেখড়ি হলেও, ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন সোহেল মন্ডল। তবে ওয়েব সিরিজ ‘তাকদীর’-এ অভিনয়ে দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি। রীতিমতো প্রশংসায় ভাসেন সোহেল। সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে ঈদুল আজহা নিয়ে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করেন এই অভিনেতা।
বগুড়ার ধুনটের চিকাশী গ্রামে সোহেল মন্ডলের বাড়ি। বরাবরই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন তিনি। এবারও পরিবারের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতেই ঈদ করছেন বলে জানান ‘তাকদীর’খ্যাত এই অভিনেতা।
সোহেল বলেন, আমরা ঈদুল ফিতরকে ছোট ঈদ আর ঈদুল আজহাকে বড় ঈদ বলে থাকি। রোজার ঈদে জামা-কাপড় কেনার আলাদা উন্মাদনা থাকে। কিন্তু বড় ঈদে মূল আকর্ষণ থাকে কোরবানির পশু নিয়ে। প্রতি বছরই আমাদের বাড়িতে পরিবারের সবাই মিলে কোরবানির সব পরিকল্পনা করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
অভিনেতা আরও বলেন, সকালে ঈদের নামাজ পরে কোরবানির প্রস্তুতি শুরু হতো। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল কোরবানির মাঠ। ছোটবেলায় সব কাজিনরা মিলে ওখানে চলে যেতাম। কোরবানির পর মাংস কাটা-ভাগ করা, এসব নিয়ে আলাদা একটা উৎসাহ থাকত। বলা চলে, এসব নিয়েই ঈদের দিনটা পার করতাম।
ঈদে ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে সোহেল বলেন, ছোটবেলার ঈদের সময়গুলো সবচেয়ে মজার ছিল। ওই বয়সটাতে সবকিছু নিয়েই আগ্রহ বেশি থাকে। স্বাভাবিক কারণে নতুন জামা-কাপড় কেনা, কোরবানি এসব নিয়ে অন্যরকম ভালো লাগা ছিল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক পরিবর্তন এসেছে, আগের মতো সেই উৎসাহ-উদ্দীপনাও আর নেই।
তিনি আরও যোগ করেন, সময়ের পরিক্রমায় এখন একেকজন একেক জায়গায় থাকেন। আগে ঈদে কাজিনদের সঙ্গে দেখা হতো। পরিবার বা কাজিনদের সঙ্গে কাটানো সময়টা ভীষণ মিস করি। কোরবানির সময়ে কাজিনদের সঙ্গে গরু বা ছাগল কিনতে হাটে যাওয়ার স্মৃতিগুলো এখনও সতেজ। এখন আর গরু কিনতে যেতে পারি না। বাড়ি থেকে কোরবানির পশু কেনার কাজটি করে ফেলেন।