সন্তানদের সঙ্গে এক বাড়িতে না থাকার কারণ জানালেন নীতু কাপুর
স্বামী ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর থেকে একাই থাকেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নীতু কাপুর। দুই সন্তানের মা তিনি। ছেলে রণবীর তার স্ত্রী আলিয়া ও মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন। আর মেয়ে ঋদ্ধিমা বিয়ের পর থেকে দিল্লিতেই থাকেন। সন্তানদের সঙ্গে এক বাড়িতে না থাকায় মাঝে মধ্যেই নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি সে প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন নীতু।
ফিল্ম ফেয়ারের এক সাক্ষাৎকারে বরেণ্য এই অভিনেত্রী বলেন, আমি ছেলের সঙ্গেও থাকি না, মেয়ের সঙ্গেও থাকি না। কারণ আমি চাই ওরা ওদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। করোনাকালে সময়ে ঋদ্ধিমা প্রায় এক বছর আমার সঙ্গেই ছিলেন। মহামারির জন্য ও (ঋদ্ধিমা) দিল্লিতে ফিরে যেতে পারেনি। তাই ওই এক বছর ভীষণ চাপে ছিলাম। আমি খুব অস্থির হয়ে পড়তাম। পরে আমি জোর করেই ওকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেই। আসলে গোপনীয়তা ও একাকীত্বই আমার প্রিয়। বলা চলে, এই জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমি।
সন্তানদের পড়াশোনার সময়কালে পুরনো স্মৃতি স্মরণ করে অভিনেত্রী আরও বলেন, আমার মনে আছে ঋদ্ধিমা যখন লন্ডনে পড়াশোনা করতে গেল তখন আমি বেশ কয়েক দিন কেঁদেছি। কিন্তু এর বছর খানেক পরে রণবীর যখন বাইরে গেল তখন অবশ্য এমনটা হয়নি।
সে সময় রণবীর আমাকে বলেছিল, মা তুমি আমাকে ভালোবাসো না। আসলে তা নয়। আমি তখন ওই জীবনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। একটা সন্তানের থেকে দূরে থাকতে থাকতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তাই রণবীরের সময় আমি আগে থেকেই নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম। আমার মনে হয় যখন ওরা বিদেশে ছিল, সেই সময়গুলো আমাকে আরও শক্ত করেছে। আমি অনুভব করেছি যে আমি একা ঠিক আছি।
নীতু আরও বলেন, ওদেরকে ওদের মতো করেই জীবনে চলতে হবে। ওরা আমার কাছে এলে আমি খুশি হই, কিন্তু আমি চাই ওরা ওদের বাড়িতে ফিরে যাক এবং সেখানেই থাকুক। ওদের কাছে শুধু একটাই চাওয়া আমার, প্রতিদিন আমার সঙ্গে দেখা করতে হবে না, কিন্তু নিয়মিত যোগাযোগটা রাখো। আমি চাই না ওরা সব সময় আমার আশেপাশে ঘুরুক, আমি আসলে সে দিক থেকে ভীষণ স্বাধীনচেতা।
এ দিকে শনিবার (৮ জুলাই) ছিল নীতু কাপুরের ৬৫তম জন্মদিন। এ দিন মাকে নিয়ে ইতালি যান রণবীর-ঋদ্ধিমা। সেখানে কেক কেটে মায়ের জন্মদিন পালন করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ‘যুগ যুগ জিও’ সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর ফের পর্দায় ফিরেছেন নীতু কাপুর। তবে ঋষি কাপুরের সঙ্গে বিয়ের পর অভিনয় জগত থেকে দূরেই ছিলেন তিনি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মন্তব্য করুন