আশির দশকের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা রোজিনা। ক্যারিয়ারে বহু সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছিলেন দর্শকদের মণিকোঠায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওটিটিতে সেন্সর হওয়া উচিত বলে জানান এই চিত্রনায়িকা।
রোজিনা বলেন, পৃথিবীটা কিন্তু হাতের মুঠোয়। বর্তমানে সারা বিশ্বে কী হচ্ছে সেটা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি আমরা। কিছুটা সেন্সর হলে আমার মনে হয়, আমাদের সমাজ ব্যবস্থার জন্য এবং এখনকার প্রজন্মের যারা আছেন তাদের জন্য কিছুটা ভালো হয় আর কি।
চিত্রনায়িকা আরও বলেন, আমি অবশ্যই চাই আরও বেশি বেশি করে ওটিটি হোক। তবে সেন্সর হওয়াটা উচিত। কিন্তু এ ধরনের সেন্সর না যে দেখতেই পারবে না, অবশ্যই কিছু শালীনতাবোধ থাকতে হবে। সেখানে অবশ্যই ভালো বক্তব্য কিংবা এন্টারটেইনমেন্ট থাকতে হবে।
রোজিনা বলেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই আছেন, যারা ফটোশুট করছেন, মডেলিং করছেন। এগুলো দেখার জন্য তো ইউটিউব আছে, ফেসবুক আছে। তাহলে আমি কেন দূরে থাকব। আমি হয়তো সিনিয়র। কিন্তু আমি ফিল করলাম সিনিয়র-জুনিয়র কোনো বিষয় নয়, আসলে মনের উৎসাহটাই হচ্ছে বড় কথা।
আমি যদি মনে করতাম যে, আমি অনেক সিনিয়র, আমি করব না। তাহলে বিভিন্ন ফটোশুটে বিভিন্ন লুকে দেখা যায়, এই কথাটা কিন্তু আজকে আপনারা আমাকে বলতেন না। আমার ভীষণ ভালো লাগা থেকেই কাজটা করছি। এই যে আপনারা বলছেন, আমাকে দেখেছেন এতে আমি আরও অনুপ্রাণিত হই, আমার মনে হয়, আরও স্পীড বাড়ানো উচিত।
আশির দশকের কাজের ধরনের কথা উল্লেখ করে রোজিনা বলেন, আগে যখন আমরা কাজ করেছি, তখন আনোয়ার হোসেন, রোজী ভাবী, আনোয়ারা আপা ওনারা কিন্তু একটি গল্পের মূল কাঠামো থাকতো। আর আমরা হয়তো নাচ করছি, গান গাইছি কিংবা প্রেম করছি এ ধরনের। কিন্তু অনেক বছর ধরেই দেখছি যে, এখন কিন্তু এ ধরনের গল্পে কাজ হচ্ছে না, যে সিনিয়র-জুনিয়রকে নিয়ে মিলে কাজ করার মতো। শাকিব খান কি আলমগীর ভাই, রাজ্জক ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেননি? কিন্তু এখন সেই বিষয়গুলো নেই আর কি।
এখনকার নির্মাতা বা প্রযোজকের সেই চিন্তা-ভাবনাটা থাকতে হবে। এখন দিন বদলেছে, সময়ও বদলেছে। আগের সেই যুগ নিয়ে যদি আমরা বসে থাকি তাহলে কিন্তু হবে না। আমরা বাঙালি, আমাদের বাংলা কালচার দিয়ে বর্তমান জেনারেশনকে চিন্তা করে এখনকার সময়ের গল্প লিখতে হবে। তাহলে অবশ্যই সিনেমা চলবে।