শোবিজে ইতোমধ্যে ২০ বছর পার করেছেন ফেলেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মাজনুন মিজান। তবে বর্তমানে পর্দায় খুব একটা দেখা যায় না এই তারকাকে। বলা যায়, অনেকটা বেছে বেছেই কাজ করছেন তিনি। তবে কেন হঠাৎ অভিনয় থেকে নিজেকে কিছুটা সরিয়ে নিলেন মিজান? মাঝে মধ্যেই সেই প্রশ্ন জানান দেয় অভিনেতার ভক্তদের মনে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে অভিনয়জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন মাজনুন মিজান। এ সময় তিনি জানান, বর্তমানে বাধ্য হয়ে ৯০ ভাগ অভিনয়শিল্পী মুখ বুজে অপমান সহ্য করে শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাজনুন মিজান বলেন, এখন শুটিংয়ে প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পীদের যেভাবে দেখা হয়, সেই তুলনায় অন্য চরিত্রাভিনেতারদের অবহেলা করা হয়। এটা আসলে ভীষণ অপমানের। এগুলো অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমার সঙ্গে হয়নি, কিন্তু দেখেছি।
একজন চরিত্রাভিনেতাকে শুটিংয়ে চা-নাশতা চেয়ে খেতে হয়, আবার আরেকজনের পেছনে খাবার ঘোরে। আমাকে হয়তো চা দিচ্ছেন, অন্যজনকে ভিন্ন কিছু। কিন্তু এই সিস্টেম তরুণদের জন্য কী বার্তা দেয়। যে নতুন আসছে, সে কী শিখবে? আসলে কী সিস্টেম আমরা ডেভেলপ করছি?
অভিনয়শিল্পীদের পারিশ্রমিকের কথা উল্লেখ করে মিজান বলেন, পারিশ্রমিক চরিত্র অনুযায়ী অভিনয়শিল্পীদের প্রপার ওয়েতে দেওয়া হয় না। এখানেও চরিত্রাভিনেতাদের সঙ্গে ছলচাতুরির সুযোগ নেয়। এগুলো অন্যায়। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার পর আমি এখান থেকে মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু আমার মতো অনেকেই আছেন, যারা আমার মতোই অভিনয়ের পাশাপাশি আয়ের সোর্স চাচ্ছেন, কিন্তু করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, আমি শিওর এর সংখ্যা ৯০ ভাগ। বাধ্য হয়ে ৯০ ভাগ অভিনয়শিল্পী মুখ বুজে অপমান সহ্য করে শুটিং করে যাচ্ছেন। অথচ তারা জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে অভিনয় করতে এসেছেন। অভিনয়ের জন্য তাদের অগাধ ভালোবাসা। তাদের রক্তে অভিনয়, তাদের স্পন্দনে অভিনয়। এগুলো কষ্টদায়ক।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ‘আমরা আমরাই’ ধারাবাহিক নাটকে দেখা গেছে মাজনুন মিজানকে। এ ছাড়া ‘স্বীকার’ নামে একটি টেলিভিশন শোতে দেখা যায় তাকে।