নৃত্যশিল্পী ও পরিচালকদের মতবিনিময় সভা
বাংলাদেশের নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালকদের মান উন্নয়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একাত্ব হবার লক্ষ্যে একটি মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর নিকেতনে এই মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় ঢাকাস্থ নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালকরা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দেশের সকল নৃত্যশিল্পী ও পরিচালকদের নিয়ে সংগঠন করার পরিকল্পনা করেন। খুব শিগগির নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যপরিচালকদের নতুন সংগঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন বলে মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত নেন উপস্থিত শিল্পীরা।
ডান্স ট্রুপ এর কর্ণধার ইভান শাহরিয়ার সোহাগের আয়োজনে সভা শেষে ইফতার পার্টি করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নৃত্য পরিচালক হাবিব, নৃত্য পরিচালক ইউসুফ খান, নৃত্য পরিচালক।
মন্তব্য করুন
মাফ করে দিয়েন, আমাদের শেষ দেখা হলোই না: পরীমণি
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’র পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নির্মাতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন চিত্রনায়ক কায়েস আরজু। এদিকে প্রথম সিনেমার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নির্মাতার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
ক্যাপশনে পরীমণি লিখেছেন, ‘ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেলো। আপনিও….মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ। আমাদের শেষ দেখা হলোই না।’
পরীমণি ফেসবুকে পোস্টটি দেওয়া মাত্রই ১৩ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক। আরেকজন লেখেন, আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুক আমিন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মুক্তি পায় শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। এতে জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন পরীমণি। এ ছাড়া সিনেমায় আরও রয়েছেন, আনিসুর রহমান মিলন, পরীমণি, সাদেক বাচ্চু, কাজী হায়াৎ, মিজু আহমেদ, রেবেকা প্রমুখ।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
প্রথম স্বামীর মৃত্যু, যা বললেন পরীমণি
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
ইসমাইলের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে শিবচর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকিল আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, শুক্রবার ভোরে শিবচরের পাচ্চর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহত ইসমাইলের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার গণমাধ্যমকে বলেন, ইসমাইল তার বন্ধু মনিরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে পেছন থেকে ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ইসমাইল ও তার বন্ধু মনির গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিলে চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন। আর মনিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালে মনিরের একটি পা কেটে ফেলা হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে ইসমাইলের মরদেহ বাড়িতে আনা হয় এবং রাতেই জানাজা শেষে ছোট শৌলা গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর খবরটি শনিবার (২৩ নভেম্বর) দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ পরীমণি।
পরীমণি বলেন, কারও মৃত্যু তো হাসি-তামাশার বিষয় নয়। ইসমাইলের মৃত্যু নিয়ে যে যেভাবে পারছেন, খবর প্রকাশ করেছেন। উৎসব উৎসব ভাব মনে হচ্ছে। এটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এমনটা মোটেও আশা করিনি।
তিনি আরও বলেন, এবার বাড়িতে আসার পরই আমার মা (খালাকে মা বলে ডাকেন পরীমনি) বললেন, ও (ইসমাইল) তো বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করছে।’ আমি বললাম, ‘কী!’ পরে বললেন, ‘ও তো মারা গেছে!’ এলাম নানুভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে, এসে শুনি ইসমাইলের মৃত্যুর খবর! এটা মেনে নেওয়া যে কতটা কষ্টের, বলে বোঝাতে পারব না।
সাধারণত মৃত মানুষের মুখ দেখতে পারি না উল্লেখ করে পরীমণি বলেন, এ জীবনে একমাত্র নানুভাইয়ের মরা মুখটাই শুধু দেখতে পেরেছি। আর কারোটা দেখা সম্ভব হয়নি। ইসমাইলেরও দেখা সম্ভব হয়নি। কবর জিয়ারত করেছি। সেই কবরস্থানে পাশাপাশি আমাদের পরিবারেরই অনেকগুলো কবর। সবচেয়ে নতুন কবর, ইসমাইলের। ওর বাবাসহ আমরা কবর জিয়ারতে গেছি। সবকিছু ছাপিয়ে সে তো আমার আত্মীয়। তাই তার সঙ্গে আমার সম্পর্কও তো সব সময়ের।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইসমাইলের। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে।
আরটিভি/এএ-টি
যে কারণে ইসলাম ধর্মই বেছে নেন শাহরুখপুত্র, জানালেন গৌরী
বলিউডের অন্যতম সুখী দম্পতিদের মাঝে অন্যতম বলিউড অভিনেতা বাদশাহ শাহরুখ খান ও গৌরী খান।কলেজজীবন থেকে তাদের প্রেম-ভালোবাসা। দুজন দুই ধর্মের হলেও সংসারে নিজেদের ধর্মেও সব সময় সমতা বজায় রেখেছেন। কখনো কাউকেই পরস্পরের সঙ্গে থাকার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতে হয়নি।
এর আগে সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে গৌরী বলেছিলেন, আমরা সমতা বজায় রাখি। আমি শাহরুখের ধর্মের ওপর শ্রদ্ধা রাখি। তবে তার অর্থ এই নয় যে, আমি ধর্ম পরিবর্তন করব। আমি এটা বিশ্বাস করি না। তিনি বলেন, প্রত্যেকের ব্যক্তিসত্তা রয়েছে। প্রত্যেকে নিজের ধর্ম মেনে চলবেন— এটিই স্বাভাবিক। অন্য ধর্মের প্রতি যেন শ্রদ্ধা থাকে। শাহরুখও আমার ধর্মকে সম্মান করে।
সন্তানের কথা উল্লেখ করে গৌরী বলেন, ছেলেমেয়েরা বাবার ধর্মই বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আরিয়ান আসলে শাহরুখকে মেনে চলে। তাই ও বাবার ধর্ম অনুসরণ করে। আমার মনে হয় ও নিজেকে মুসলিমই বলবে। ও যখন বলেছিল— আমি মুসলিম। আমার মা অবাক হয়েছিলেন। তবে মা কিছু মনে করেননি। বিষয়টির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন।
গৌরী বলেন, প্রতি রাতে প্রার্থনা করে তার পর ঘুমাতে যায় আরিয়ান। প্রথমে মায়ের মতো করে, তারপর বাবার মতো করে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে সে।
প্রসঙ্গত, আরিয়ান প্রায়ই চর্চায় উঠে আসেন। তবে পর্দার সামনে অভিনয় করতে আগ্রহী নন শাহরুখপুত্র। তার আগ্রহ ছবি পরিচালনায়।
আরটিভি /এএ
নানুর মৃত্যুবার্ষিকীতে এসে ওর মৃত্যুর খবর শুনলাম: পরীমণি
ঢাকাই সিনেমার দর্শকপ্রিয় নায়িকা পরীমণির জীবনে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। ২৩ নভেম্বরের তার নানার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। যে কারণে বরিশালে গিয়েছেন তিনি। সেখানে যাবার পর একের পর মৃত্যুর সংবাদ পাচ্ছেন এই নায়িকা। প্রথমে খবরে এলো- তার প্রথম স্বামী মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। এর একদিন পরই অভিনেত্রীর প্রথম সিনেমার পরিচালকও পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
যার হাত ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন, সেই মানুষটিকে হারিয়েই যেন পরীমণি ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। আক্ষেপ করে বলেন, ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেল। আপনিও....মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ। আমাদের শেষ দেখা হলোই না।
এদিকে, পরীমণির কষ্টের আরও একটি কারণ হলো তার প্রথম স্বামীর মৃত্যু। ইসমাইলের মৃত্যুর পর যেভাবে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রী মনে বেশ আঘাত পেয়েছেন।
পরীমণি বলেন, নিজবাড়িতে গিয়ে এমন খবর শুনবেন, তা ভাবতেও পারেননি। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। যদিও সে আমার চেয়ে বয়সে ৫ থেকে ৬ বছরের বড়। যে কারণে দুজনের সম্পর্কটা দারুণ ছিল। বাড়িতে গেলাম যখন, সেদিনই মা বলল, ইসমাইল বাইক এক্সিডেন্ট করেছে। আমি তো অবাক। পরে জানতে পারলাম, সে মারা গেছে।’
আক্ষেপের সুরে পরী বলেন, আমি এসছিলাম নানুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে। আর এসে ওর মৃত্যু খবর শুনলাম।
প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইসমাইল হোসেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
নিহত ইসমাইলের চাচা কবির হোসেন জমাদ্দার গণমাধ্যমকে বলেন, ইসমাইল তার বন্ধু মনিরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে পেছন থেকে ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ইসমাইল ও তার বন্ধু মনির গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিলে চিকিৎসক ইসমাইলকে মৃত ঘোষণা করেন। আর মনিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালে মনিরের একটি পা কেটে ফেলা হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে ইসমাইলের মরদেহ বাড়িতে আনা হয় এবং রাতেই জানাজা শেষে ছোট শৌলা গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরটিভি/এএ-টি
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান দাবি করা দীপ্তিকে নিয়ে যা জানা গেল
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশ যখন উত্তাল, তখন দেশের একটি টেলিভিশন টকশোতে কথা বলছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী। প্রায় ৪৯ মিনিটের ওই টকশোতে শুরু থেকেই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। এরপর দেশজুড়ে সামাজিকমাধ্যমে প্রশংসায় ভেসেছিলে তিনি।
হুট করেই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যান দীপ্তি। শহরের দেয়ালে আঁকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গ্রাফিতিতেও স্থান পায় তার মুখ। তবে আলোচনা ও প্রশংসা মন খুলে উপভোগ করতে পারছেন না দীপ্তি। সহ্য করতে হচ্ছে কটাক্ষও। টকশো শেষে বিচারপতি মানিকের ওপর ক্ষুব্ধ দীপ্তি চিৎকার করে জানিয়েছিলেন তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সেটিই যেন বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই উপস্থাপিকার জন্য।
এতদিন তাকে বডি শেমিং করা হয়েছে। বয়স নিয়ে কটাক্ষও করা হয়েছে। এবার সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনদের অনেকেই জানতে চাইছেন তার ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান’ এই পরিচয়ের সত্যতা। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে দীপ্তির দাবি করা ‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান’ কথাটিকে অনেকে চ্যালেঞ্জ করছেন! শুধু তাই নয়, এ নিয়ে দীপ্তিকে কটাক্ষ করে ছড়ানো হচ্ছে বহু গুজবে খবর! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দীপ্তি চৌধুরীকে ট্রলিং-এর মাধ্যমে বুলিং করা হচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে দীপ্তির বক্তব্য দাবিতে দেশের একটি গণমাধ্যমের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তবে কথিত ফটোকার্ডটির কোনো সত্যতা নেই বলে সেই গণমাধ্যমটির পেইজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীপ্তি চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, দীপ্তি চৌধুরী, আপনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বলেছেন। আপনার পরিবারের কে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন? কোন সেক্টরে? নাম কী? আপনার সঙ্গে সম্পর্ক কী? সহজ বিষয়। এই সহজ উত্তর দিতে আপনার দেরি হচ্ছে কেন?
দীপ্তিকে নিয়ে ভাইরাল হওয়া ফটোকার্ডটি যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়েছে, বিষয়টি জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসে।
সেই ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে নানান তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে দীপ্তি চৌধুরীর পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধের সাথে তার পরিবারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দীপ্তির দাদার বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে। তার বাবার নাম শিবলী চৌধুরী। দীপ্তি চৌধুরীর দাদার নাম নুরুল ইসলাম চৌধুরী, তিনি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নুরুল ইসলাম চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
নুরুল ইসলাম চৌধুরীর বোনের কোনো সন্তান না থাকায় তার কাছেই বেড়ে ওঠেন দীপ্তি চৌধুরীর বাবা শিবলী চৌধুরী। পরে বোনের পরিবার শিবলী চৌধুরীকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চলে আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন।
জানা গেছে, প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, শিবলী চৌধুরীর দুই চাচা (নুরুল ইসলাম চৌধুরীর চাচাতো ভাই) কুতুব উদ্দীন চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী সরকারের সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে কুতুব উদ্দীন চৌধুরী আদমপুর দেওয়ান আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন এবং বর্তমানে অবসরে আছেন। গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী প্রয়াত।
অষ্টগ্রাম উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইটে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় কুতুব উদ্দীন চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দীন চৌধুরীর নাম পাওয়া যায়।
আরটিভি/এএ-টি
সাবেক স্বামীর কবর জিয়ারত করে যা বললেন পরিমণি
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারও মৃত্যু নিয়ে হাসি-তামাশার বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী পরীমণি।
অভিনেত্রী বলেন, এবার বাড়িতে আসার পরই আমার মা বলেন, ও (ইসমাইল) তো বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করছে।’ আমি বললাম, ‘কী!’ পরে বললেন, ‘ও তো মারা গেছে!’ এলাম নানুভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে, এসে শুনি ইসমাইলের মৃত্যুর খবর! এটা মেনে নেওয়া যে কতটা কষ্টের, বলে বোঝাতে পারব না।
মৃত মানুষের মুখ দেখতে না পারা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, এ জীবনে একমাত্র নানুভাইয়ের মুখটাই শুধু দেখতে পেরেছি। আর কারোটা দেখা সম্ভব হয়নি। ইসমাইলেরও দেখা সম্ভব হয়নি। কবর জিয়ারত করেছি। সেই কবরস্থানে পাশাপাশি আমাদের পরিবারেরই অনেকগুলো কবর। সবচেয়ে নতুন কবর— ইসমাইলের। ওর বাবাসহ আমরা কবর জিয়ারতে গেছি।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পরীমণি বলেন, কারও মৃত্যু তো হাসি-তামাশার বিষয় নয়। ইসমাইলের মৃত্যু নিয়ে যে যেভাবে পারছেন, খবর প্রকাশ করেছেন। উৎসব উৎসব ভাব মনে হচ্ছে। এটা সত্যিই কষ্টদায়ক। এমনটা মোটেও আশা করিনি।
২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইসমাইল হোসেন জমাদ্দারের। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন জমাদ্দারের ছেলে ছিলেন। পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরের পাচ্চর এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার।
আরটিভি /এএ
প্রতি কনসার্টে কত টাকা পারিশ্রমিক নেন আতিফ আসলাম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অগণিত দর্শক। বাংলাদেশেও নেহাত কম নয় গায়কের ভক্তের সংখ্যা। প্রতিনিয়তই কনসার্টে গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শক মাতান তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে পারফর্ম করেন আতিফ।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে গান গাইবেন তিনি। এতে প্রথম সারির জন্য টিকিট মূল্য ৪৫০০ টাকা এবং আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে সাধারণ সারির টিকিট। তবে প্রতি কনসার্টে আতিফ কত টাকা পারিশ্রমিক নেন, সে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই তার ভক্তদের।
বলিউড সাদি’স ডটকম প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বাইরে প্রতি কনসার্টের জন্য প্রায় ২ কোটি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন আতিফ। তবে পাকিস্তানে প্রায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন এই গায়ক।
বিভিন্ন ক্যাফেতে গিয়ে গান শুনিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল আতিফের। সেখান থেকে যা আয় হতো তাই দিয়ে চলত। এরপর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠান-কনসার্ট থেকে ডাক পেতে শুরু করেন আতিফ।
ধারাবাহিক থেকেও গানের জন্য ডাক পান তিনি। সিরিয়ালে গান গেয়ে ভাগ্য ফেরে তার। এক একটি গানের জন্য ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা নিতে শুরু করেন এই গায়ক। ধারাবাহিকের পাশাপাশি সিনেমাতেও বাড়তে থাকে আতিফের চাহিদা।
একটা সময় আসে যখন ভক্তদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে যান আতিফ। তখন দরও বাড়তে থাকে গায়কের। আতিফের স্ট্রাগলের দিন খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের সব থেকে ধনী গায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।
আরটিভি/এইচএসকে/এস