ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত ‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে মুক্তির পরই নানান মন্তব্যের ঝড় উঠে নেটদুনিয়ায়। দর্শকদের মাঝে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। নানা নাটকীয়তার পর শেষমেষ মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এবার এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ( ৩০ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতের বিচারক জাকির হোসেন ‘রূপান্তর’ নাটকের অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালকসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে বলে জানা গেছে।
‘রূপান্তর’ নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। জোভানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। শুধু অভিনেতাই নয়, নাটকের গল্পের কারণেও তোপের মুখে পড়েন অভিনেত্রী ও পরিচালকও।
নাটকটি দেখার পর দর্শকদের অভিযোগ— রিংকু পরিচালিত নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। এমনকি নাটকটির স্পন্সর ওয়ালটন থাকায় এই ব্র্যান্ডের পণ্য বয়কট করারও দাবি জানান অনেকে।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যায় গল্পের নায়ক সৌরভের মা। তার বয়স তখন এক বছর। তবে শিশুটি বেঁচে যায়। মাকে ছাড়া বড় হয় সৌরভ। কিন্তু এক সময় সৌরভের পরিবার বুঝতে পারে হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছে তাদের ছেলে। সৌরভ শারীরিকভাবে ছেলে হলেও হরমোনজনিত কারণে তার মাঝে রয়েছে নারীসুলভ আচরণ।
নাটকটি মুক্তির পর সমালোচনার ঝড় উঠলে নাটকের নির্মাতা রিংকু ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে ফেলেন ‘রূপান্তর’। অন্যদিকে নেটিজেনদের একাংশের ভাষ্য, ট্রান্সজেন্ডার সমাজেরই অংশ। নাটকটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে ফেলে ট্রান্সজেন্ডারকে অবমাননা করেছেন নির্মাতা।
‘রূপান্তর’ নাটকের বিতর্ক তুমুল পর্যায় পৌঁছালে নানা অভিযোগে সি.আর ৬৪৬/২৪ ধারায় মামলা হয়। অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ।