বিয়ের পরে প্রথম জন্মদিন, পরমব্রতকে কী উপহার দিলেন পিয়া?
বিয়ের পর টালিউড অভিনেতা ও নির্মাতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম জন্মদিন আজ। তাই স্বাভাবিকভাবেই দিনটা একটু স্পেশাল। এদিন তিনি স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তীর কাছ থেকে প্রিয় উপহারসহ পেয়েছেন বিশেষ শুভেচ্ছাও।
ইনস্টাগ্রামে পিয়া লিখেছেন, শুভ জন্মদিন পরমব্রত। এবার মেনে নাও এবং স্বীকার করো আমি তোমার অনেক সুন্দর ছবি তুলি। জন্মদিনের ভালোবাসা। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে পরমকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছেন পিয়া চক্রবর্তী। সেটা হুবহু আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
‘বিয়ের পরে প্রথম জন্মদিন। ঠিকই। কিন্তু সবাই জানে, পরম নিজের কাজ কতটা ভালোবাসে। ওর কাজ থেমে থাকে না। পরম ‘ওয়ার্কোহোলিক’। তাই জন্মদিনে ওর এবার বাড়িতে থাকা হচ্ছে না। সকালেই ও ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে। সে জন্য জন্মদিনে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। পরম এ দিনটা কাজ নিয়েই থাকবে।
তবে জন্মদিনের আগের রাতটা আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। বাড়িতেই ছোট আয়োজন করেছিলাম। খুব কাছের কয়েকজন পারিবারিক বন্ধুবান্ধব এসেছিলেন। সামান্য খাওয়াদাওয়া ও গান-বাজনার মধ্যে দিয়ে দিনটা কাটালাম। পরমও এমনভাবেই জন্মদিন পালন করতে ভালোবাসে। এই দিনটার উদযাপন ও কাছের মানুষদের সঙ্গে কাটাবে বলেই রেখে দেয়।
তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, নিজের জন্মদিনের পরিকল্পনা ও নিজে করতে পছন্দ করে না। বন্ধুরা মিলে যদি ওর জন্মদিনের আয়োজন করে দেয়, পরমের সেটা খুব পছন্দ। আগের বেশ কয়েক বছরও এভাবেই আমরা বন্ধুরা মিলে ওর জন্মদিনের পরিকল্পনা করতাম।
এদিন কারা আসবেন, কী রান্না হবে, তার সমস্ত আয়োজন আমরাই করতাম। আমরাই অতিথিদের নিমন্ত্রণ জানাতাম। গত কয়েক বছর ধরে এমনভাবেই ও জন্মদিনটা কাটায়। তবে এই উদযাপন ছোট করে হবে নাকি বড় করে, সেটা কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে। তবে হ্যাঁ, খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে কোনো আপস হয় না। যেমন পাঁঠার মাংসটা হবেই প্রতি বছর।
পরম গান-বাজনা খুব ভালোবাসে। তাই ওর জন্মদিন আমরা গান-বাজনা ছাড়া ভাবতেই পারি না। সবাই জানে, শুটিং এর ফাঁকে গান নিয়ে থাকতে ও কতটা ভালোবাসে। আমরা দুজনও পরস্পরের সঙ্গে গান নিয়ে সময় কাটাই। আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ গান। যখনই আমরা কাজের মাঝে সময় পাই, একসঙ্গে গানবাজনা করি।
জন্মদিনের আসরেও তাই আমরা গান-বাজনা করেছি। আমাদের কিছু ধরাবাঁধা গান আছে। সময় পেলেই আমরা গাই। এর মধ্যে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আধুনিক বাংলা গান, হিন্দি গানও আছে। সেগুলোই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একসঙ্গে গেয়েছি।
যেহেতু গান আমাদের জীবন জুড়ে রয়েছে, তাই গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমনই একটি উপহার ওকে দিয়েছি। ওর সব সময়ের সঙ্গী হলো ইয়ারপড। যাই করুক, সবসময়ে কানে ইয়ারপড দিয়ে গান শুনতে ভালোবাসে ও। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, দিন কয়েক আগে পরম ওর ইয়ারপডটি হারিয়ে ফেলেছে। তাই এ বারের জন্মদিনে ওকে ওর পছন্দসই একটা ইয়ারপড উপহার দিয়েছি।’
মন্তব্য করুন