আম্বানির ছেলের বিয়েতে শেরওয়ানি গায়ে কুকুর ‘হ্যাপি’
নানান আয়জনের পর অবশেষে শুরু হয়েছে ভারতের শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানিপুত্র অনন্ত আম্বানির রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান। আয়োজন ঘিরে শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা থেকেই মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে বসে তারকাদের চাঁদের হাঁট। এদিন রাতেই চার হাত এক হয়েছে অনন্ত-রাধিকার।
জমকালো এ বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বলিউড থেকে হলিউড, ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা হাজির হয়েছেন বিয়েতে। এই মহা আয়োজনে দেখা মিলেছে রেসলিংয়ের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ও হলিউড অভিনেতা জন সিনার। একেবারে দেশি লুকেই চমকে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে গ্র্যান্ড অনুষ্ঠানে নজর কাড়ে আম্বানিদের কুকুর। তাকেও দেখা গেছে বিয়ের সাজে। লাল রঙের শেরওয়ানিতে অনন্ত আম্বানির পোষা কুকুরের একটি ভিডিও ছড়িয়েছে নেটপাড়ায়। সেও বরযাত্রীর পোশাকে এসেছিল বিয়েবাড়িতে। কিছু সময়ের মধ্যেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
একজন কমেন্টে লিখেছেন, বিয়ে বাড়িতে সবচেয়ে সুন্দর পোশাক। অন্য একজন বললেন, আম্বানি বাড়ির কুকুর হতেও ভাগ্য লাগে।
ভারতের মুম্বাইয়ে বিশ্বের ১১তম শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্তের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা দেখে সবার চোখ যেন কপালে উঠেছে। সাত মাস ধরে চলা রাজকীয় সব আয়োজন নজর কেড়েছে পুরো বিশ্বের।
ছেলের বিয়েতে মুকেশ আম্বানি খরচ করেছেন হাত খুলে। সব মিলিয়ে রাজকীয় এই বিয়েতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
আনুষ্ঠানিকভাবে খরচ নিয়ে আম্বানি পরিবার থেকে গণমাধ্যমে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে ইন্ডিয়ান টাইমস, বিবিসি ও ফোর্বস'র বরাতে জানা গেছে, বিয়েতে মোট খরচ হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। যদিও তা আম্বানির পরিবারের মোট সম্পত্তির মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। বিশাল এই টাকা ব্যয় হচ্ছে নামি-দামি শিল্পীদের বুকিং খরচ, জেট বিমান ভাড়া, সুবিধাবঞ্চিতদের ভোজ আয়োজনসহ অন্যান্য খাতে।
গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিদেশি অতিথিদের যাতায়াতে ভাড়া করা ৩টি ফ্যালকন-২০০০ মডেলের জেট বিমানেই খরচ প্রায় ৮ কোটি টাকা। এছাড়া, আরও ১০০টি ব্যক্তিগত বিমান ভাড়ায় খরচ আরও কয়েক কোটি টাকা।
এছাড়া ফোর্বসের তথ্য বলছে, বিয়েতে পারফর্ম করা শিল্পীদের মধ্যে জাস্টিন বিবারকেই সবচেয়ে বেশি ১০ মিলিয়ন ডলার দিতে হয়েছে। এছাড়া রিহানা নিয়েছেন ৭ মিলিয়ন ডলার।
অনন্ত ও রাধিকার মহাবিবাহ অনুষ্ঠানের পর শনিবার (১৩ জুলাই) শুভ আশীর্বাদ হয়ে গেছে। রোববার (১৪ জুলাই) জমকালো বিবাহোত্তর সংবর্ধনা বা মঙ্গল উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের মহাবিবাহ সমাপ্ত হয়।
মন্তব্য করুন