‘পদাতিক’-এ ওপার বাংলায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন চঞ্চল
দুই বাংলায় সমানতালেই দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন দর্শকনন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ভিন্ন ভিন্ন লুক আর চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরে সিনেমাপ্রেমীদের মন জয় করে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। পশ্চিমবঙ্গের সৃজিত মুখার্জির নির্মিত সিনেমা ‘পদাতিক’-এ আবারও মিলল তার প্রমাণ।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে গত ১৫ আগস্ট ওপার বাংলায় মুক্তি পেয়েছে চঞ্চলের ‘পদাতিক’। সিনেমায় ভারতের বিখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করে টালিগঞ্জে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেতা।
তবে শুরুতেই হোঁচট, পশ্চিমবঙ্গে চলছে আন্দোলন। ফলে প্রেক্ষাগৃহে খব একটা দর্শকের উপস্থিতি নেই। এদিকে হলে দর্শকের কমতি থাকলেও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছে ‘পদাতিক’।
পশ্চিমবঙ্গের একাধিক গণমাধ্যমে ছবিটির রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ইতিবাচক দিকই বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউটিউবারও সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের গুণী নির্মাতা অতনু ঘোষও সরব হন ‘পদাতিক’ বন্দনায়। চঞ্চলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ফর্মের নিরিখে সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’বুদ্ধিদীপ্ত, জটিল ও ব্যতিক্রমী। কোনো এক চলচ্চিত্রকার যখন তার মহীরুহসম পূর্বসূরির কাজ ও সময়কাল নিয়ে ছবি করেন, তখন এমন অপ্রচলিত বিন্যাসে নতুন ভাবনার সূত্র উঠে আসে। আর চঞ্চল চৌধুরী চমৎকার। বড় অনাবিল, আন্তরিক।
তিনি আরও বলেন, সিনেমার অভিনয়ের মূল আধার যে আপন অন্তস্তলের গভীরতা, সেটা স্পষ্ট করে দেন। বিশেষ করে পরিণত বয়সের চলাফেরা, অভিব্যক্তি সত্যিই ব্রিলিয়ান্ট।
জানা গেছে, নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘পদাতিক’। সেখানে সৃজিতের সিনেমাটি সেরা স্ক্রিনপ্লের পুরস্কার পেয়েছে। শুধু তাই নয়, সিনেমায় চঞ্চলের জন্য তার লুক বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘পদাতিক’ সিনেমায় মৃণাল সেনের স্ত্রীর চরিত্রে চঞ্চলের বিপরীতে রয়েছেন মনামী ঘোষ। সত্যজিৎ রায় হিসেবে দেখা যাবে জিতু কমলকে। অন্যান্য চরিত্রে দেখা মিলবে কোরক সামন্ত, সম্রাট চক্রবর্তীর মতো অভিনেতার। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন নিবেদনা করেছে সিনেমাটির। বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশন হাউজ পদাতিকের প্রযোজনা করেছে।
মন্তব্য করুন