আরটিভি মিউজিকের নতুন রেকর্ড
নতুন রেকর্ড গড়লো দেশের জনপ্রিয় বেসরকারটি টেলিভিশন আরটিভির সংগীতবিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল আরটিভি মিউজিক। চ্যানেলটিতে প্রাকশিত ১২০০ গানের ভিউ ইতোমধ্যে ১০০ কোটি অতিক্রম করেছে।
দেশের জনপ্রিয় অনেক শিল্পীদের গান আরটিভি মিউজিক চ্যানেলটিতে প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি আরটিভি আয়োজিত সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানের অনেক গানই চ্যানেলটিতে রয়েছে। চ্যানেলটির নতুন রেকর্ডে শতভাগের মাঝে আরটিভির আয়োজিত ফোক স্টেশনের সত্তর ভাগ গান। যা দর্শক মহলেও বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরটিভি মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলটিতে জনপ্রিয় গানগুলো মাঝে রয়েছে লক্ষীসোনা, সখি গো আমার মন ভালা না, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, আমি সাজাবো তোমারে সহ আরো বেশ কিছু গান।
মন্তব্য করুন
ভাই-বোনেরা চান শেষকৃত্য, মেয়ে চান দাফন
নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। প্রায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বিটিভিতে গেয়েছিলেন ‘কী ছিলে আমার’। যা আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। আর শিল্পীকে এনে দিয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরার নিজবাসা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এরপর মনি কিশোরের বড় ভাই অশোক কুমার মণ্ডল জানান, শিল্পীর মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। কারণ, শিল্পী মনি কিশোর বেঁচে থাকতেই তার মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে বাবার মরদেহ দাফনের কথাই নাকি বলে গিয়েছিলেন।
সংগীতজীবনের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে সেই বিয়ে টেকেনি। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানান বড় ভাই অশোক কুমার।
মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পর রামপুরা থানার উপপরিদর্শক খান আবদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আপাতত শিল্পীর মরদেহ মর্গে থাকবে। শিল্পীর মেয়ে দেশে ফিরলেই তার সিদ্ধান্তে যা হওয়ার হবে। অথবা দূতাবাসের মাধ্যমে কোনো চিঠি পাঠিয়ে যদি কাউকে দায়িত্ব দেন, তখনই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তাছাড়া তিনি যে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এ রকম প্রমাণাদি আমাদের সরবরাহ করতে পারলেও হয়। মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের ওসি (তদন্ত) শাহাদাত হোসেনের কথা হয়েছে।
ওসি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিন্তি চৌধুরী আমাদের কাছে একটা তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন। আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছি, ওখানকার দূতাবাস অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেন পাঠান। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তার বাবাকে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করতে। অন্যদিকে পরিবার, ভাই–বোনেরা চেয়েছিলেন হিন্দুধর্মমতে মরদেহের আনুষ্ঠানিকতা সারতে। দুই পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্যের কারণে একটা বিতর্ক ও জটিলতা তৈরি হতে পারে। এই বিতর্ক ও জটিলতার অবসানে আমরা শিল্পী মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে উপস্থিত মরদেহ গ্রহণ না হলে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করেছি। এরপরই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
প্রসঙ্গত, ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে মনি কিশোরের, যার প্রায় সবগুলোই ছিলো হিট। রেডিও ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা ও লেখা।
আরটিভি/এএ
প্রেমে মজেছেন রেদওয়ান রনি-সাদিয়া আয়মান
শোবিজে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন রয়েছে প্রেম করছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি ও অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। বেশ রাখঢাক করেই সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গুঞ্জন যতই ডালপালা মেলুক না কেন, মুখ খুলবেন না এই জুটি। তবে এবার যেন সেই লুকোচুরি প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দিলেন দুজনেই। যদিও এখনও শুধু ইশারাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তাদের এই খুনসুটি।
গত ২০ অক্টোবর ছিল রনির জন্মদিন। আর এদিনই নির্মাতার সঙ্গে সাদিয়ার প্রেমের খবর অনেকটাই স্পষ্ট হলো। জন্মদিন উদযাপনের জন্য এক ছাদের নিচে হাজির হয়েছিলেন শোবিজ তারকারা।
যেখানে ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মেহজাবীন চৌধুরী, আদনান আল রাজীব, আশফাক নিপুন, এলিটা করিমসহ অনেকেই। তবে সবার মাঝে একটু বিশেষভাবেই নজর কেড়েছেন সাদিয়া। যাকে পরোক্ষভাবেই ‘প্রিয়তমা’বলেই সম্বোধন করলেন রনি।
ইতোমধ্যে জন্মদিন উদযাপনের বেশ কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন রনি। ক্যাপশনে নির্মাতা লিখেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজ এবং ফোনকলে জন্মদিনের ভালোবাসা শুভেচ্ছা পেয়ে অভিভূত হয়েছি। প্রতিটি ইচ্ছা, সুন্দর শব্দ আর আন্তরিক ভালোবাসা আমার দিনটি বিশেষ করে তুলেছে।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নির্মাতা লেখেন, আমি সত্যি দুঃখিত, প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে উত্তর দিতে পারিনি। একইসাথে কৃতজ্ঞ, আমার চারপাশে এমন চমৎকার মানুষ থাকার জন্য।
এসবের মাঝে নিজের ‘প্রিয়তমা’-কে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি রনি। তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে লেখেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো সারপ্রাইজ পার্টির পরিকল্পনা করার জন্য আমার প্রিয়তমাকে বিশেষ ধন্যবাদ! আমি খুব খুশি এবং প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ, আমাকে এত ভালোবাসা এবং প্রশংসা করার জন্য।
রনির সেই পোস্টে ভক্তরাও মন্তব্য কররেও একটি কমেন্টস বিশেষভাবে নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। নির্মাতার উদ্দেশে সাদিয়া লিখেছেন, ‘আমার জীবনে যা পেয়েছি, তার মাঝে তুমি সবচেয়ে সেরা।’
এতে ভক্তদেরও বুঝতে আর বাকি রইলো না যে, প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সাদিয়া-রনি। অনেকদিনের সেই গুঞ্জনই সত্যি। বলা যায়, নির্মাতা-অভিনেত্রীর মাঝের সমীকরণ বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি নেটিজেনদের।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাদিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো বক্তব্য দিতেই নারাজ তিনি। বরং প্রেমের বিষয়টি পুরোপুরি এড়িয়ে গেছেন।
আরটিভি/এইচএসকে/এআর
বিমান দুর্ঘটনায় কাজলের মৃত্যুর খবর শুনে যা হয়েছিল মা তনুজার
নব্বই দশক থেকে বড় পর্দায় কাজ করছেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। তার সাবলীল অভিনয় এখনও মুগ্ধ করে সিনেমাপ্রেমীদের। তবে যখন প্রচারে ছিলেন না সে সময় একই রকম উৎসাহ ছিল অভিনেত্রীকে ঘিরে। জনপ্রিয়তায় কখনই ভাঁটা পড়েনি তার।
এদিকে খ্যাতির যে বিড়ম্বনাও আছে সেটাও হাড়ে হাড়ে বোঝেন কাজল। একবার অভিনেত্রীর মায়ের কাছে ভুয়া ফোনকল আসে। বিমান দুর্ঘটনায় নাকি মৃত্যু হয়েছে কাজলের! মেয়ের মৃত্যুর এমন খবর শুনে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রীর মা তনুজা মুখার্জি।
সম্প্রতি কপিল শর্মার শো-তে হাজির হয়েছিলেন কাজল। সেখানেই মৃত্যুর এই গুজব নিয়ে কথা বলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে একাধিকবার নিজের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে একবার বিষয়টা হাতের বাইরে চলে যায়।
কাজল বলেন, প্রায় ১০ বছর আগের কথা, একবার মায়ের কাছে ফোন আসে বিমান দুর্ঘটনায় নাকি মারা গেছি। ওই সময় নেটদুনিয়া সচল ছিল না। তাই আমি ফোন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল মাকে। খবরটি শুনে তখন খুব খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল মায়ের।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্বামী অজয় দেবগন, মেয়ে নাইসা ও ছেলে যুগকে নিয়ে সুখেই দিন পার করছেন কাজল। সন্তান হওয়ার পর কাজ থেকে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আবারও পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন কাজল।
টিকটক তারকার ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, অতঃপর...
পাকিস্তানের জনপ্রিয় টিকটক তারকা মিনাহিল মালিক। সম্প্রতি অনলাইনে তার একটি ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস হয়েছে; যা অল্প সময়ের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে ব্যাপক ট্রলিং ও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন এ টিকটক তারকা।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তানের প্রতিবেদনের খবর, টিকটকার মিনাহিল মালিকের ব্যক্তিগত ভিডিওগুলো তিনি নিজেই ফাঁস করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
এ টিকটক তারকা ফাঁস হওয়া ভিডিও সম্পর্কে জানিয়েছেন, অনলাইনে ফাঁস হওয়া ভিডিওগুলো ভুয়া। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় নেটিজেনরা বলছেন, এই পাকিস্তানি টিকটকার নিজেই ভিডিওগুলো ফাঁস করেছেন। ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটের মাধ্যমে কিছু সাংবাদিক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে ভিডিওগুলো শেয়ার করেছিলেন মিনাহিল মালিক।
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানি অভিনেত্রী মিশি খান এবং দেশটির বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা মুফতি আবদুল কাফি প্রকাশ্যে টিকটকারদের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন। বিশেষ করে সস্তা প্রচারের জন্য অনুপযুক্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিয়ে সমালোচনা করেন তারা।
আবদুল কাভি জানিয়েছিলেন, টিকটকার মিনাহিল ও ভাইরাল ছেলেটিকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন তিনি। ভিডিওগুলো সম্পাদিত নয় (এডিটিং নয়) এবং এ ব্যাপারে মুখোমুখি কথা বলার জন্য টিকটকারকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন।
আরটিভি/এএ
দিলো তো সব নেশাখোরদের সঙ্গে থাকতে: পরী
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা পরীমণি। প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বারবার হয়েছেন সংবাদের শিরোনাম। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে বেশ আনন্দেই সময় কাটছে তার। তবে তার জীবন চলার পথটা এত মসৃণ নয়। এই অভিনেত্রীকে মাদক মামলায় যেতে হয়েছিল জেলেও। এবার এক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে এসে জানালেন জেলজীবনের অভিজ্ঞতা।
ওই অনুষ্ঠানে পরীমণির কাছে জানতে চাওয়া হয় জেলজীবনে কী শিখেছেন? জবাবে পরী বলেন, ‘আমাকে পাঠানো হয়েছে জেলে। সেখানে গিয়ে কি ভালো কিছু শিখব? দিলো তো সব নেশাখোরদের সঙ্গে থাকতে। (সেখানে) আমি প্রচুর গালিগালাজ শিখেছি। ওরা সারাক্ষণ এ-ই করত।’
জেলে থাকার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে এই নায়িকা বলেন, ‘জেলে গিয়ে দেখেছি প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা গল্প। এমন অনেকে আছে, যারা ৪০ বারের বেশি জেলে গেছে। পুরো ভিন্ন একটা জগৎ। কেউ কেউ মুখে ব্লেড নিয়ে ঘুরছে। প্রচুর গ্রুপিং হয়, বিচিং হয় সেখানে। জেলে সময় কাটানো খুব কঠিন। কোনো অ্যাক্টিভিটি নেই তো সেখানে। কতক্ষণ আর গল্প করা যায়! টাইম পাস করার জন্য অনেকে ইচ্ছা করেই ঝগড়া করত। সেসব স্মৃতি লিখে রেখেছি।’
এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন পরীমণি। ‘রঙিলা কিতাব’ নামের সিরিজের এবার মুক্তির তারিখ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনম বিশ্বাস পরিচালিত হইচই অরিজিনাল সিরিজটি আগামী ৮ নভেম্বর উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। সিরিজে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমণি ও মোস্তাফিজুর নুর ইমরান। খুব শিগগিরই ভারতে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। ‘ফেলুবক্সী’ নামে এক ছবিতে দেখা যাবে তাকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় পরীমণির। এরপর ‘রক্ত’, ‘স্ফুলিঙ্গ’, ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘গুণীন’, ‘প্রীতিলতা’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ‘মা’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন পরীমণি।
আরটিভি /এএ/এসএ
‘গরিব হতে পারি, কিন্তু কট খাইলে এয়ারপোর্টেই খামু’
ওপার বাংলার ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৯’-এর মঞ্চ থেকে বেরিয়ে অভিনয়ে আসেন সাইদুর রহমান পাভেল। নাটকের অভিনেতা হিসেবে তিনি এখন সবার পরিচিত মুখ। এই অভিনেতাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয় নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকটি। যেখানে এই অভিনেতাকে দেখা গেছে নোয়াখালীর বজরা বাজারের জাকির চরিত্রে। যে কিনা মোবাইলে গান ও ভিডিও ডাউনলোড করে দেন। বলা চলে এই চরিত্রটি অভিনেতা পাভেলকে খ্যাতি এনে দেয়। এমনকি পাভেলের পরিবর্তে মানুষজন তাকে বজরা বাজারের জাকির বলে ডাকতে শুরু করেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল থেকে হুট করে আলোচনায় পাভেল। তাকে কি গ্রেপ্তার করা হয়েছে? ফেসবুকের একটি পোস্টের জেরে এমন প্রশ্ন চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। পাভেল ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যায় তার দুই দিকে পুলিশ। ছবিটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তোলা। পাভেল এই ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, গরিব হতে পারি কিন্তু কট খাইলে এয়ারপোর্টেই খামু....। আর এ নিয়েই নানা প্রশ্ন। তবে বিভ্রান্ত হলেও খুব সহজেই অনুমান করা যায় এটি নিছক মজা করেই পোস্ট করেছেন তিনি।
পাভেল জানান, তাকে প্রথম অভিনয়ে ডাক দেন তপু খান, নাটকটির নাম ছিল ‘কট বিহাইন্ড’। পরে টুকটাক নাটক করছিলেন, কিন্তু গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছিলেন না। পাভেলের ভাষ্য, আশফাকুর রহমান রবিন ভাইয়ের রেফারেন্সে অমি ভাইয়ের ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিরিয়ালে জাকির চরিত্র পাই। এরপর লাইফের গতিপথ বদলে গেছে। আমি সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি কাজ দিয়ে মানুষকে আনন্দ দিতে।
তিনি আরও জানান, আমি মীরাক্কালের পাভেল আছি, সবসময় থাকবো। কিন্তু অভিনেতা হওয়ার জন্য বজরা বাজারের জাকির চরিত্রটি হেল্প করেছে। এখন আমার ফোকাস অভিনয়ে। আমি অভিনেতা হিসেবে বাকি জীবন কাটাতে চাই। বুড়ো হয়ে গেলে যদি বাবার চরিত্র পাই, সেই সময়ও অভিনয় করতে চাই।
আরটিভি/এএ/এসএ
ময়মনসিংহের এক পরিবারের ৯ জনের আত্মহত্যার গল্প নিয়ে নতুন খবর
আজ থেকে ১৭ বছর আগে ময়মনসিংহের একটি পরিবারের ৯ সদস্য ‘আত্মহত্যা’ করেছিলেন। আলোচিত সেই ঘটনা নিয়ে চিত্রনাট্যে তুলে আনেন পরিচালক ভিকি জাহেদ। গেল তিন বছর ধরে দৃশ্যধারণসহ নানা কাজ সেরেছেন তিনি, কিন্তু কাজ শেষ করতে পারছিলেন না। বহু বাধা পেরিয়ে এবার সেই চিত্রনাট্যের সিরিজ আলোর মুখ দেখেছে। কয়েক দিন আগে দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘চক্র’ সিরিজটি।
তৌসিফ মাহবুব ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত লোমহর্ষক গল্পের সিরিজটি দর্শক পছন্দ করেন। দেখেছেনও বেশ। তারই সফলতায় আয়োজন করা হয়েছিল সাকসেস পার্টির। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে ‘চক্র’ টিম কেক কেটে সাকসেস উদযাপন করে। শুধু তা-ই নয়, ‘সিজন ২’ নির্মাণের ঘোষণা দেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সাকসেস পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ভিকি জাহেদ, তৌসিফ মাহবুব, তাসনিয়া ফারিণ, এ কে আজাদ সেতু, শাহেদ আলীসহ সিরিজটির সঙ্গে জড়িত শিল্পী কলাকুশলীরা।
নির্মাতা ভিকি জানান, পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ দর্শকদের ‘চক্র ২’ মুক্তির। যেটি সাত পর্বের সিরিজ হিসেবে আসবে। ‘সিজন ২’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে এবং গল্পটা যেখানে রয়েছে সেখান থেকে নতুন সিজন আসবে। প্রথম সিজনে ২০ পর্ব হলেও সম্পূর্ণ গল্প দেখানো যায়নি। কারণ প্লট অনেক বিস্তৃত। পরের গল্পটি আমার মাথায় রয়েছে।
‘চক্র’তে আরও অভিনয় করেছেন শাহেদ আলী সুজন, এ কে আজাদ সেতু প্রমুখ। পুরান ঢাকা ও কেরানীগঞ্জে ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে শুটিং করেছেন ভিকি।
আরটিভি /এএ/এআর