ঢাকাশনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘আলো আসবেই’-এর মতো আরও একটি গোপন গ্রুপ আছে: মনিরা মিঠু 

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ০১:১২ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিল্পীদের মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ দুটি দল লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে বিপক্ষ দলটি ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলে। সম্প্রতি সেই গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় অভিনেত্রী মনিরা মিঠু নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেটি আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

মনিরা মিঠু লিখেছেন, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের মতো একটি গোপন গ্রুপ আছে। সেখানে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে, শিল্প ও শিল্পীর ভালো-মন্দ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। প্রায় ৮ মাস আগে বিঞ্জের একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের সময় ডা. এজাজ ভাই, আমি, শামিম আহমেদ, আমরা— অনেকেই একটা খুবই স্বাভাবিক হাস্যোজ্বল ভিডিও করি এবং সেটা আমার পেজে আপলোড দিই। সেই ভিডিওর ভিউ হয় মিলিয়নের ওপরে।

বিজ্ঞাপন

কারণ এজাজ ভাই আর আমাকে দর্শক কানেক্টেড করতে পারে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নাটকের সঙ্গে। আমাদের শিল্পী সংঘ থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয় সেই ভিডিওটি ডিলিট করে ফেলার জন্য। আমি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কেন? একজন বললেন যে শিল্পী সংঘের সেক্রেটারি নাজনীন হাসান চুমকির নাকি সারারাত ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল যে, কীভাবে আমি এই অশ্লীল ভিডিও আপলোড দিলাম। কারণ ভিডিওর এক জায়গায় ডা. এজাজ ভাই কমলা খাচ্ছিলেন আর ‘বিচি’ শব্দটা উচ্চারণ করেছিলেন ।

অ্যাক্টর ইকুইটির সেই গোপন গ্রুপের একজন সদস্য আমাকে কিছু স্ক্রিনশট পাঠান আমি যেন দ্রুত ভিডিওটি ডিলিট করি।

স্ক্রিনশটে দেখি সুজাত শিমুল আমাকে তুমুল গালাগাল করছেন। সারাজীবন মনে থাকবে সুজাত শিমুলের এই লাইনটি— এরা শিল্পী নামের বিষ্ঠা। মানে আমি আর কি। তিনি কবিতার মতো আরও অনেক গালাগাল দিয়েছিলেন আমাকে সেই গোপন গ্রুপে। আমি অবাক হয়ে দেখলাম যে, শিল্পী সংঘের কোনো সিনিয়র সদস্য সুজাত শিমুলকে বলেন নাই যে, একটি ভিডিওর জন্য মিঠু আপাকে এইভাবে গালাগাল করছ কেন? নাজনীন হাসান চুমকি তো আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারতেন যে, মিঠু আপা ভিডিওটি শ্রুতিমধুর না, মুছে ফেলেন । কারণ, তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের বিবাদ ছিল না। 

বিজ্ঞাপন

শিল্পী সংঘের খুবই কনিষ্ঠ একজন সদস্য আমাকে সেই গোপন গ্রুপের স্ক্রিনশট পাঠিয়েছিলেন। আমাকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটির কমেন্ট চেক করি, দেখলাম কোথাও আমার পেজের দর্শক এই ‘বিচি’ শব্দটির সঙ্গে কানেক্ট হননি। হয়তো বা আমার ও ডাক্তার এজাজ ভাইয়ের ভক্তদের ‘কান’ শিল্পী সংঘের উচ্চপদস্থ পদ পাওয়া সদস্যদের ‘কান’-এর মত এতো অশ্লীল নয়, এত হিংসাত্মক নয়। আমি কিন্তু সেই ভিডিওটি ডিলিট করেছিলাম অপমানে, ঘৃণায়, লজ্জায়। কিন্তু আমি ভীষণ বোকা, সেই ভিডিওটি ডিলিট না করলে আমি অনেক টাকা পেতাম । কারণ সেই সময়ে আমি নিয়মিত পেজে ভিডিও দিতাম এবং সেটা আমার একটা আয়ের উৎস ছিল। কিন্তু আমার বিজ্ঞ আদালত সুজাত শিমুলের ফাঁসির আদেশ আর নাজনীন হাসান না ঘুমিয়ে স্ট্রোক করতে পারেন এই লজ্জায় আমি প্রায় ভিডিও দেওয়া বন্ধ করে দেই।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, পোস্টটি করার কিছুক্ষণ পর মনিরা মিঠুর ফেসবুকে সেটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিনেত্রী নিজে থেকেই মুছে দিয়েছেন কি না, তা জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, পোস্টটি তিনি মুছে দেননি এবং নিজেও বুঝতে পারছেন না তার ওই পোস্ট বারবার ডিলিট হওয়ার কারণ কি!

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |