ঢাকারোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

সাকিবের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে তারকাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আসিফ আলম

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ০৩:০৬ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা তিনি। দেশের ক্রিকেট দলকে পতন থেকে নিয়ে গেছেন প্রথমে। তার হাতে ব্যাট হয়ে ওঠে খাপছাড়া তরবারি, বল হয়ে ওঠে মিসাইল। বিশ্ব ক্রিকেটারের তালিকায়ও রাজকীয় অবস্থান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানপুর থেকে হঠাৎই দেওয়া হলো বিশাল এই অধ্যায়ের সমাপ্তির বার্তা। বলছিলাম সাকিব আল হাসানের কথা।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে, যা শুনে বেদনার্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেই কাতারে আছেন দেশের শোবিজ তারকারাও। আরটিভির সঙ্গে শোবিজের জনপ্রিয় কয়কজনের আলাপকালে সাকিব আল হাসানের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। 

বিজ্ঞাপন

জায়েদ খান

সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশকে এখনও আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। তার অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমার মনে হয় অভিমান থেকেই নিয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিত তার সঙ্গে আলোচনা করে আবার ফিরিয়ে আনা। 

বিজ্ঞাপন

তমা মির্জা 

সাকিব আল হাসানের অবসরে যাওয়ার সংবাদটি আমি ইতোমধ্যে দেখেছি। শুধু দেশেই নয়, বাইরেও তার বেশ সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশের খেলা হলেই আমি সবসময় একটা প্রত্যাশা নিয়ে থাকতাম সাকিব আল হাসানের প্রতি। তিনি যখন ব্যাট কিংবা বল করতেন তখন একটা উত্তেজনা কাজ করতো। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কোন ম্যাচে জিতলে সেখানে তার অবদান থাকতো। যাক অবশ্যই এখন তার খেলা ও তাকে আমি মিস করবো।কারণ, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক কিছুই দিয়েছেন। তিনি আমাদের গর্ব। তবে আরও কিছুদিন থাকলে হয়তো বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম ভালো কিছু পেতো। 

ইমন 

সাকিব আল হাসান নিঃসন্দেহে পুরো বিশ্বের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। দীর্ঘ ১৫ বছর তার প্রতিটি ম্যাচ দেখেছি। এক কথায় তিনি বাংলাদেশের একজন আইকনিক ক্রিকেটার ছিলেন। অবশ্যই তাকে মিস করবো । সেই সঙ্গে একসময় আসলে বিদায় নিতেই হয়। বিষয়টি মানতে কষ্ট হলেও এটাই সত্যই, যেমন মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম খেলছেন না। ভবিষ্যতে তাদের মতো যারা ভালো খেলবেন তারাও অবসর নিলে খারাপ লাগবেই। আসলেই অনেক খারাপ লাগেছে, প্রিয় ক্রিকেটারকে আর খেলতে দেখবো না। এটাই বাস্তব, কিছু করার নেই, মেনে নিতেই হবে।

জামিল হোসেন

টি-টোয়েন্টি, টেস্ট কিংবা ওয়ান ডে বলেন টিমে থাকলে প্রতিপক্ষ দল সবসময় হিসেব করে যে সাকিব আল হাসান আছে। 

সেটা সে ফর্মে থাকুক আর না থাকুক। এটাই অন্য দলের জন্য বেশ চিন্তার বিষয় থাকতো। সেটা আমি ভালো করে জানি। কারণ, আমি নিজেও একসময় ক্রিকেটার ছিলাম। যাই হোক সাকিব আল হাসান নিজে থেকেই যদি অবসর নেন তাহলে আমরা আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট দল থেকে একজন পাওয়ারফুল ক্রিকেটারকে হারাচ্ছি। প্রতিটা জায়গায় একসময় খালি হয় আবার ভরেও যায়। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে তার শূন্যস্থান পূর্ণ করতে যে নিজেই ছিলেন।

রাশেদ সীমান্ত 

আমি মনে করি সাকিব আল হাসান আরও বেশ কিছুদিন  টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থাকতে পারতেন। হয়তো তাড়াতাড়ি তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।বাংলাদেশের জন্য তার অবদান অনেক বেশি। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি হতাম তিনি আরও কিছুদিন খেললে। তবে আমি বলবো খুব ভালো সময় সাকিব অবসর নিয়েছেন।  

ফারিন খান 

আমার মনে হয় সাকিব আল হাসানের হুট করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। তিনি যদি কষ্ট কিংবা আবেগের জায়গা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে আমি বলবো তিনি ভুল করেছেন। তার আরও চিন্তাভাবনা করে নেয়া উচিত। কারণ, তিনি বাংলাদেশের বড় সম্পদ। 

আরটিভি /এএ/এসএ
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |