আল্লাহ বাঁচিয়েছে, শান্তি পেলাম: দিঘী
শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনবার অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এখনও দর্শকদের চোখে ভাসে সেই ছোট্ট দীঘির অভিনয় আর কানে বাজে তার মিষ্টি সংলাপ।
দীঘি এখন আর শিশুশিল্পী নেই, দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। ২০২১ সালে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এরপর তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ ও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাগুলোয় অভিনয় করেন। সবশেষ সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’-এর মাধ্যমে আবার বড় পর্দায় আসেন দীঘি।
অন্যদিকে দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি। তার সঙ্গে দীঘির প্রেমের গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। প্রায় সময়ই তাদের নিয়ে চর্চা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বেশ চাপে আছেন আফ্রিদি।
এত কিছুর মাঝেই হুট করে আফ্রিদির বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসলো। সামাজিকমাধ্যমে বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে তার। যেখানে বরের সাজে দেখা যাচ্ছে তাকে। কনের বেশে আছেন টিকটকার রাইসা। এতে অনেকের ধারণা বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি-রাইসা। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিয়ের যেসব ছবি খবর হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে সেখানে পাত্রী রাইসা ছিলেন না বলে জানিয়েছে আফ্রিদির পরিবারসহ কনের পরিবার।
আফ্রিদির পরিবার জানান, রাইসার বিয়ে এক বছর আগেই হয়ে গেছে। রাইসা ও রামিসা জমজ বোন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাইসা খুব পরিচিত মুখ। তাই সবাই ধরে নিয়েছিল রাইসাকেই আফ্রিদি বিয়ে করেছেন। তবে রাইসাকে বিয়ে করেননি আফ্রিদি। আফ্রিদির সঙ্গে যার কাবিন হয়েছে তিনি রাইসার জমজ বোন রামিশা।
আফ্রিদির বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর আরটিভির সঙ্গে দিঘীর আলাপ হলে তিনি বলেন, আফ্রিদির সঙ্গে আমার কখনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। সে সবসময় আমার ভালো বন্ধু। যাক আল্লাহ বাঁচিয়েছে। কয়েকদিন পর পর ওর সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে যেভাবে নানা গুঞ্জন হতো তা নিয়ে বেশ বিরক্ত ছিলাম। অবশেষে একটু শান্তি পেলাম।
দিঘী আরও বলেন, আমি যতটুকু জানি পারিবারিক ভাবে কনের বাড়িতেই আপাতত কাবিন হয়েছে। পরে বড় পরিসরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে।
এদিকে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে আফ্রিদি বলেন, মেয়েকে দেখতে গিয়ে তাদের বাড়িতে বিয়ে করে ফেলেছি। পারিবারিক আয়োজনেই হয়েছে তা। আর সেই আয়োজনে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বড় পরিসরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার অনুষ্ঠান করা হবে।
আরটিভি /এএ
মন্তব্য করুন