ঢাকারোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

মেয়েকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ০৯:৩৯ এএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে তার মেয়ের সঙ্গে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও যেন মেয়েই তার সব। মেয়ে দিশানী চক্রবর্তীকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন তিনি। 

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। হঠাৎ কলকাতার এক ডাস্টবিনের পাশে একটি কন্যাশিশু পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তিনি। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন তারা। পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বে  রাখা হয় শিশুটিকে। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন মিঠুন ও তার স্ত্রী যোগিতা।

নাম দেন দিশানী। পরবর্তীকে আইনি কাগজপত্রে সই করে দিশানীকে দত্তক নেন তারা। সে থেকে চক্রবর্তী পরিবারের চোখের মণি দিশানী। সকলেই প্রচণ্ড ভালোবাসেন এবং আগলে রাখেন তাকে। বিশেষ করে মিঠুন। এবার ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ রিয়ালিটি শো-তে মেয়েকে নিয়ে কথা বলতে গিয়েই অঝোরে কেঁদে ফেললেন অভিনেতা। 

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে কনকাঞ্জলি প্রসঙ্গ নিয়ে নাচ প্রদর্শন করেন এক প্রতিযোগী। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, বিয়ের পর হাতে চাল নিয়ে তা মায়ের কাছে দিয়ে মেয়েরা বাবা-মায়ের ‘ঋণ শোধ’করে থাকেন হিন্দু নারীরা। বহুদিন ধরে চলে আসছে এ প্রথা। মূলত ওই নাচের মধ্যে দিয়ে বিয়ের সময় মেয়ের কষ্ট, বাবা মায়ের অসহায়ত্বই ফুটে ওঠে।

এরপরেই শোর অন্যতম বিচারক শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় অভিনেতাকে প্রশ্ন করেন, এমজি তোমার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক কেমন?’ আর সে কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন মিঠুন। 

মেয়েকে বিয়ে দেওয়া ও বিদায়ের কথা মনে করে অভিনেতা বলেন, যেদিন হবে সেদিন আমি আর আমার স্ত্রী দুজনেই মারা যাব। এরপরেই চোখ দিয়ে জল গড়াতে থাকে মিঠুনের। 

বিজ্ঞাপন

এদিকে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই নানান মন্তব্য করেছেন অভিনেতার ভক্তরা। একজন লিখেছেন, যত বড়ই সুপারস্টার হন না কেন? দিনশেষে তিনিও তো একজন বাবাই। 

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, মিঠুনকন্যা দিশানী ভীষণ সুন্দরী। ইনস্টাগ্রামে প্রায় এক লাখ অনুরাগী রয়েছে তার। বর্তমানে মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করছেন এই স্টারকিড। ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, বাবা-ভাইদের মতো শোবিজ দুনিয়াতেই নাম লেখাতে চান দিশানী।

আরটিভি/এইচএসকে/এআর 
 

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |