‘নীল আকাশের বৃষ্টিতে’
আদ্রিতা আর শাওনের ভালোবাসার বয়স চার বছর। আদ্রিতা খুব চঞ্চল প্রকৃতির, খুব রোমান্টিকও বটে। প্রতিনিয়ত শাওনকে চমকে দেয়। প্রতিটি দিন দেখা করার আগে কিংবা দেখা করার পর আদ্রিতা শাওনকে একটা না একটা চমক দিবেই। শাওন গোবেচারা টাইপের। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। প্রতিদিন অফিস শেষ করে আদ্রিতার সঙ্গে দেখা করা তার আরেকটি রুটিন।
প্রায়ই আদ্রিতা শাওনের সাথে কথা কাটাকাটি করে, কেন শাওন এত আন-রোমান্টিক। আদ্রিতা যেখানে প্রতিটি দিন তাকে সারপ্রাইজ দিচ্ছে কিন্তু শাওন কেন তাকে সারপ্রাইজ দিতে পারে না। তাই অনেক চেষ্টা করে শাওন আদ্রিতাকে কিছু সারপ্রাইজ দিতে যায়, কিন্তু আদ্রিতার কাছে সে ধরা খেয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তা আর সারপ্রাইজ থাকে না। এ নিয়ে আবারও তাদের মধ্যে কিছুটা ঝগড়া হয়। ঝগড়া করলেও আদ্রিতা কিন্তু বেশ মজা পায়। আদ্রিতা সত্যিকার অর্থে খুব ভালোবাসে শাওনকে। ক্যাম্পাসে আদ্রিতার জন্য অনেক ছেলেই পাগল। কিন্তু সে ভালোবাসে শাওনকে।
আজ আদ্রিতার জন্মদিন। জন্মদিনের আগের দিন শাওন আদ্রিতাকে কেক, চকোলেট আর ফুলের তোড়া দিয়ে উইশ করে। তখন শাওন আদ্রিতাকে বলে ‘এটা তেমন কোনও সারপ্রাইজ না তোমার জন্মদিন উপলক্ষে। আগামীকাল ৩টার সময় কোথায় আসতে হবে আমি বলে দেবো। সেখানে অপেক্ষা করবে তোমার জন্য আসল সারপ্রাইজ।’
আদ্রিতা তখন বলে ‘তুমি দিবে আমায় সারপ্রাইজ? তাহলে তো সেটা হবে ‘নীল আকাশের বৃষ্টি’। গত চার বছরে তো পারলে না, দেখা যাক কী সারপ্রাইজ দাও।’
যথারীতি শাওনের বলা ঠিকানার উদ্দেশে রওনা দেয় আদ্রিতা। শাওনও রওনা দেয়। আদ্রিতা সেখানে গিয়ে দেখে শাওন রাস্তা পার হয়ে আসার সময় একটি মাইক্রোবাস শাওনকে রাস্তার সাথে মিশিয়ে দিয়ে যায়। আদ্রিতা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সে কী শাওনের কাছে এই সারপ্রাইজ চেয়েছিল?
এমনই একটি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে একক নাটক ‘নীল আকাশের বৃষ্টিতে’। সৈয়দ ইকবাল-এর রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন আজাদ আল মামুন। নাটকে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, মৌসুমী হামিদ, মনিরা মিঠুসহ অনেকে। জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে নাটকটি প্রচার শুরু হবে আজ (শুক্রবার) রাত ৮টায়।
এম/পি
মন্তব্য করুন