বড় পর্দায় স্থায়ী হতে চান অথৈ
সৌন্দর্য, প্রতিভাকে সঙ্গী করেই শোবিজে নাম লিখেছেন তাহমিনা অথৈ। ‘ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে শোবিজে পথচলা শুরু তার। বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া চলচ্চিত্রেও পা রেখেছেন অথৈ। কয়েকটি চলচ্চিত্রের শুটিং করেছেন এই নবাগত। বর্তমান কর্মব্যস্ততা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন আরটিভি অনলাইনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গাজী আনিস।
আরটিভি অনলাইন: কেমন আছেন?
তাহমিনা অথৈ: এইতো ভালো। খুউব ভালো বলতে পারেন। কারণটা হলো বর্তমানে কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ততা চলছে। আর আমি সব সময় কাজে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসি। শুটিং-এ যেমন কষ্ট আছে ঠিক তেমনি আনন্দ রয়েছে। একটি কাজ যখন দর্শকরা দেখেন, প্রশংসা করেন সেটি একজন শিল্পীর জন্য ভীষণ আনন্দের। একজন শিল্পী হিসেবে আমি দর্শকের এই ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
আরটিভি অনলাইন: এই মুহূর্তে কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত?
তাহমিনা অথৈ: ‘ছেলেটি অদ্ভুত’ নামের একটি চলচ্চিত্রের কাজ করছি। মোহাম্মদ জাফর ইকবালের গল্প অবলম্বনে ছবিটি হচ্ছে। আমার সঙ্গে তৌকির আহমেদ, সাজু খাদেম কাজ করছেন। পরিচালনায় রয়েছেন মানিক মানবিক। এ ছবির ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি শুটিং অল্প কিছুদিনের মধ্যে শুরু হবে।
আরটিভি অনলাইন: ছোট পর্দায় কাজ করা হয়?
তাহমিনা অথৈ: হ্যাঁ, মাঝে মাঝে কাজ করি। এই যেমন ঈদ উল ফিতরে দুরন্ত টিভিতে শিশুদের জন্য ‘আনন্দ উৎসব’ নামে একটি ২৬ পর্বের অনুষ্ঠানে কাজ করেছি। ঈদ উল আজহায় একটি মাত্র টেলিফিল্মে কাজ করেছি। নাম ‘প্রেম যেন এক প্রজাপতি’।
আরটিভি অনলাইন: শুনেছিলাম ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’ নামে একটি চলচ্চিত্র করবেন?
তাহমিনা অথৈ: আমি ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এটা অ্যাডভেঞ্চার ধরণের চলচ্চিত্র। আমার সহশিল্পী চিত্রনায়ক ফেরদৌস। পরিচালক রাইয়ান আনোয়ার। এখানে প্রেম, রোমাঞ্চ, সংগ্রামের গল্প উঠে আসবে। চট্টগ্রামের সৌন্দর্যও দেখবেন দর্শক। আসছে নভেম্বরে ছবির ক্যামেরা ওপেন হবে।
আরটিভি অনলাইন: আর ‘কালবেলা’?
কালবেলার শুটিং শেষ। এডিটিংও শেষ। এখন একেবারেই শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। পরিচালক সাইদুল আনাম টুটল স্যার হঠাৎ মারা গেলেন। তারপর ওনার স্ত্রী ও দুই মেয়ে হাল ধরেছেন ছবিটির। ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: আমি ছোট, ছোটই থাকব: রানু মণ্ডল
---------------------------------------------------------------
আরটিভি অনলাইন: আপনার শোবিজে পথচলার শুরুটা কীভাবে?
তাহমিনা অথৈ: নাট্যকার, পরিচালক মোস্তফা মননের হাত ধরে মিডিয়ায় আসা। তিনি গুণী মানুষ। তার হাত ধরে এক সময় দীপ্ত টিভিতে মেগা সিরিয়ালে কাজ করেছিলাম। বাংলাভিশনে উপস্থাপনা করেছি। গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। আমি ক্ষুদ্র থেকে কাজ শুরু করেছি।
আরটিভি অনলাইন: শেখার খাতা ভারী করলেন কীভাবে?
তাহমিনা অথৈ: পরিচালক সাইদুল আনাম টুটুল স্যারের সঙ্গে কাজ করে। আমি অনেক কিছু শিখেছি। মানিক মানবিকের মাধ্যমে সাইদুল আনাম স্যারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। অভিনয় দক্ষতা, পরিচালনার ক্ষমতা আমি সূক্ষ্মভাবে তার কাছ থেকে শিখেছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করি তার আদর্শ নিজের মধ্যে বপন করার জন্যে। গুণী মানুষের ভালো দিকগুলো থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সাইদুল আনাম টুটুল স্যারের কাছ থেকে আমি গুণ, বৈশিষ্ট ও অভিনয় বিষয়ে অনেক কিছু নিয়েছি। তিনি থাকলে দেশের জন্য আরও অনেক কিছু দিতে পারতেন।
আরটিভি অনলাইন: কোন ধরণের কাজে আগ্রহী?
তাহমিনা অথৈ: কাজের অনেক অফার আসে। সব কাজ করা হয়ে ওঠে না। আমি চেষ্টা করি গল্পনির্ভর কাজ করতে। সব গল্পই গল্প, কিন্তু গল্পের ভেতরেও গল্প থাকে। গল্পের গভীরতা আছে এমন কাজ করতে চাই।
আরটিভি অনলাইন: নাটকে কাজ করার ইচ্ছে আছে?
তাহমিনা অথৈ: কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে। চলচ্চিত্রের জন্য অন্যান্য কাজ ঠিক মতো করতে পারছি না। জানেন তো একটি চলচ্চিত্রের জন্য শিল্পীকে কত ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়। অনেকেই বলছেন নাটক করছি না কেন, আসলে সবকিছু চলচ্চিত্রের জন্য। আমার লক্ষ্য চলচ্চিত্রে কাজ করা। নাটকে কাজ করার জন্য ভালো গল্প পেলে, সুযোগ হলে অবশ্যই কাজ করব। এখন চলচ্চিত্র নিয়ে আছি। দেখি দর্শক কীভাবে নিচ্ছেন। দর্শকের ওপর সবকিছু নির্ভর করছে।
আরটিভি অনলাইন: অবসর সময় কাটে কীভাবে?
তাহমিনা অথৈ: পড়ালেখা করতে বেশি ভালো লাগে। অনেক অনেক বই পড়ি। আর সঙ্গী গান। ঘুরতে ভীষণ ভালোবাসি। মাঝে মাঝে মনে হয় প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যায়। সুযোগ পেলে হারিয়েও যাই। আর স্থির থাকতে একদম ভালো লাগে না। কাজের মধ্যে থাকতে পছন্দ করি। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ নেই, খুব কম খাই। বাঁচার জন্য যতটুকু প্রয়োজন আরকি (হাসি)।
জিএ/এম
মন্তব্য করুন