পপস্টার গো হারার মরদেহ উদ্ধার
দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী গো হারার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সিউলের গঙ্গনাম জেলা পুলিশ সিএনএনকে বিষয়টি জানালেও মৃত্যুর কারণ হিসেবে কিছু উল্লেখ করেননি।
জনপ্রিয় কে-পপ গ্রুপ কারা’র সদস্য ছিলেন গো হারা। ২০০৮ সালে তিনি পপ গ্রুপে যোগ দেন। টেলিভিশন সিরিজ, উপস্থাপনা এবং চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। অর্জন করেছেন নামীদামি বেশ কিছু পুরস্কার।
বিবিসি অনলাইন জানায়, গত সপ্তাহেও একাধিক জায়গায় পারফর্ম করেন ২৮ বছর বয়সী এই কে-পপস্টার। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইনস্টাগ্রামে সর্বশেষ ছবি পোস্ট করেন তিনি। বিছানায় শুয়ে থাকা সেই ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘গুড নাইট’।
গো হারার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ২৮ বছর বয়সী এই গায়িকা গত মে মাসে তার সিউল বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন, সে সময় তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে 'বিদায়' শব্দটি পোস্ট করেছিলেন। পোস্টটি পরে মুছে ফেলা হয়েছিল।
গত বছর গো হারা তার সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন। গো হারার সাবেক প্রেমিক তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও প্রকাশ করার হুমকি দিয়েছিলেন। এজন্য গো শেষ পর্যন্ত তাকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন। এজন্যও তাকে অনেক কথা সহ্য করতে হয়েছে।
হতাশার চাপ নিয়ে আত্মহত্যা করার বিষয়টি নিয়ে গত মাসেও কোরিয়ায় আলোচনা শুরু হয়। যখন ২৫ বছর বয়সী গায়ক সুলি সিওলকে তার বাসায় মৃত অবস্থায় যায়। জানা যায়, সুলি ও গো দুজন বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তারকাদের আত্মহত্যা বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে কোরিয়ান প্রশাসনকে। কে-পপ তারকা কিম জং-হিউন ২০১৭ সালে আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা হয়। তবে তারকাদের আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা বলছে অনলাইনে হেনস্তা কিংবা ব্লাকমেইলের শিকার হয়ে অনেকেই এমনটা করছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, ২০১৭ সালে অবৈধ চিত্রগ্রহণের কারণে কোরিয়ান পুলিশের কাছে ৬ হাজার ৪০০ মামলা হয়েছে, যা ২০১২ সালে ছিল ২ হাজার ৪০০'র বেশি।
জিএ/এম
মন্তব্য করুন