বরেণ্য সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার আলাউদ্দিন আলী গত ৬ অক্টোবর থেকে ব্যাংককের স্যামিটিভেজ সুকুমভিত হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত এই সঙ্গীতজ্ঞের জন্মদিন আজ। হাসপাতালের বিছানায় শুভ দিনটি কাটাচ্ছেন শিল্পী। তবে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা দেশ থেকে শুভেচ্ছার সিক্ত করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে সেই চিত্র।
আলাউদ্দিন আলীর পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিল্পীর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। সুস্থতার পথে। চলতি বছর ২২ জানুয়ারি থেকে শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বিছানায় জীবন কাটছে তার।
আলাউদ্দীন আলী একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার, বেহালাবাদক ও গীতিকার। গান লিখে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। আলাউদ্দীন আলী বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান সৃষ্টি করেছেন। বহু গুণে গুণান্বিত এই মানুষটির জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর, মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের টঙ্গীবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে।
দেড় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে চলে আসেন আলাউদ্দীন আলী। তিন ভাই, দুই বোনের সঙ্গে সেই কলোনিতেই বড় হন। সঙ্গীতে প্রথম হাতেখড়ি ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে। ছোটবেলাতেই বেহালা বাজানোর জন্য ‘অল পাকিস্তান চিলড্রেনস প্রতিযোগিতায়’ পুরস্কার পান এ শিল্পী। পরে ১৯৬৮ সালে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন। ১৯৭৫ সালে প্রথম সঙ্গীত পরিচালনা করেন ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রে। এরপর ১৯৭৭ সালে ‘গোলাপি এখন ট্রেনে আর ‘ফকির মজনু শাহ’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন আলাউদ্দিন আলী। শুরুটা শহীদ আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে, পরে প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের বহু স্বনামধন্য শিল্পী তার সুরে গান করেছেন। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
জিএ