ঢাকামঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

একাধিক প্রেম, ড্রাগ আসক্তি কাল হয়েছিল বলিউডের এই নায়কের 

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

রোববার, ০১ মার্চ ২০২০ , ০২:২৬ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

বলিউডের প্রযোজক ও অভিনেতা ফিরোজ খানের ছেলে ফারদিন খান। যে ফিরোজ খানের ১৯৫৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল দীর্ঘ ফিল্ম ক্যারিয়ার। অন্যদিকে ফারদিন ১৯৯৮-২০১০ সাল সালের মধ্যেই হারিয়ে যান! ফারদিন খানের বেড়ে ওঠা মুম্বাইয়েই। স্টার কিড হওয়ায় ইন্ডাস্ট্রিতে ফারদিনের প্রচুর বন্ধু-বান্ধব ছিল। মুম্বাইয়ের স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা পাড়ি দেন ফারদিন। সেখানে আমিশা প্যাটেলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমিশাও সেসময় আমেরিকাতেই পড়ছিলেন। পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসেন ফারদিন। এরপর বাবার দেখানো পথেই হাঁটেন। 

বিজ্ঞাপন

১৯৯৮ সালে ফিরোজ খানের প্রযোজনায় ‘প্রেম অঙ্গন’ ছবিতে ডেবিউ করেন ফারদিন।  তবে এই ফিল্ম বক্স অফিসে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। এর পর রামগোপাল বর্মার সঙ্গে দেখা করেন ফিরোজ খান। ছেলের জন্য কিছু ভাল ফিল্মের কথাবার্তা হয় দু’জনের মধ্যে। ফারদিন খানকে ভাল স্ক্রিপ্টে অভিনয়ের সুযোগ দেযার প্রতিশ্রুতি দেন রামগোপাল বর্মা।

পরবর্তীতে রামগোপাল বর্মা তিনটি ফিল্মে সই করার ফারদিন খানকে— ‘জঙ্গলি’, ‘প্যায় তুনে ক্যায়া কিয়া’ আর ‘লাভ কে লিয়ে কুছ ভি করেগা’। প্রথম দুটো ফিল্ম বক্স অফিসে মোটামুটি চলেছিল, কিন্তু শেষ ফিল্মটা একেবারেই পছন্দ করেননি দর্শক। ২০০১ সালের ৫ মে নার্কোটিক বিভাগের কাছে খবর আসে, মুম্বাইয়ের জুহুতে একটি ড্রাগ ডিল হতে যাচ্ছে। ওই দিন সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাধারণ পোশাকে পুলিশ এক ব্যাঙ্কের এটিএমের কাছে পৌঁছে যায়। রাত ১টা নাগাদ সেখানে একটি গাড়ি পৌঁছায়।

বিজ্ঞাপন

এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে এটিএমে যান। তার ঠিক পরেই আরও এক ব্যক্তি ওই এটিএমে ঢোকেন। পুলিশ তখনই গিয়ে তাদের দু’জনকেই ধরে ফেলে। দেখা যায়, তাদের মধ্যে একজন ফারদিন খান। আর দ্বিতীয়জন ছিলেন একজন ড্রাগ পেডলার। যিনি বলিউডে ড্রাগ সরবরাহ করে থাকেন।
ফারদিন খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হতে বসেছিল ফারদিনের। তুমুল বিতর্ক শুরু হয় তাকে ঘিরে। বাবার কৃপায় ফের একবার ক্যারিয়ার শুরু করার চেষ্টা করেন ফারদিন খান। ফিরোজ খানের প্রযোজনায় ‘জনাসিন’ ফিল্ম করেন। ফিল্মের নায়িকা ছিল সেলিনা জেটলি। সে সময় সেলিনার সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তিনি।

                                                     স্ত্রীর সঙ্গে ফারদিন 

বিজ্ঞাপন

এরপর ২০০৪ সালে  ‘দেব’ ফিল্মে অমিতাভ বচ্চন এবং কারিনা কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেন। এই ফিল্ম সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু এর থেকে ফারদিন খানের ক্যারিয়ারে কোনও প্রভাব পড়েনি। এরপর ফারদিন খান যা যা সিনেমা করেছেন, তার বেশির ভাগই ছিল মাল্টিহিরো ফিল্ম। যেমন ‘নো এন্ট্রি’, ‘হে বেবি’-র মতো ফিল্মে ভাল কাজ করেছেন তিনি। ২০১০ সালে তার শেষ ফিল্ম ছিল ‘দুলহা মিল গয়ে’। এরপর আর কোনও ফিল্মে তাকে দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে নাতাশা মাধবনীকে বিয়ে করেন ফারদিন। শোনা যায়, ২০১০ সালের পর তিনি নিজের পরিবারকে নিয়েই নাকি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই ফিল্মে তাকে সেভাবে দেখা যায় না। ২০১১ সালে ফারদিন খান ড্রাগ মামলা থেকে পুরোপুরি রেহাই পান। তিনি যে রিহ্যাবে গিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, কোর্টে সেই সার্টিফিকেট পেশ করেন। তার ক্যারিয়ার যত না দীর্ঘ ছিল, তার কোর্ট কেস তার থেকেও বেশি দীর্ঘ ছিল, এমনই গুঞ্জন বলিউডে।

সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা। 

এম 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |