মোদি হয়ে পর্দায় আসছেন বাহুবলীর ‘কাটাপ্পা’
বাহুবলী সিনেমার কাটাপ্পাখ্যাত অভিনেতা সত্যরাজ। এবার তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদির আসন্ন বায়োপিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র নাম ভূমিকায় যিনি অভিনয় করছেন, সেই সত্যরাজের কাস্টিং ছাড়া। বলাই বাহুল্য সত্যরাজের ক্যারিয়ারে মোদির বায়োপিকে খোদ তার চরিত্রে অভিনয়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির এটা দ্বিতীয় বায়োপিক হতে চলেছে। এর আগে ২০১৯ সালে মোদির প্রথম বায়োপিকে অভিনয় করেন বিবেক ওবেরয়।
মন্তব্য করুন
ধর্মান্তরিত হওয়া নিয়ে অভিনেত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী চাহাত খান্না। ফারহান মির্জাকে বিয়ের সময় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তবে এবার বিচ্ছেদ হতেই প্রাক্তনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জানালেন, প্রাক্তন স্বামী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেছিলেন তাকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাহাত জানান, আধ্যাত্মিক পরিবারে বেড়ে ওঠা তার। চিত্রনাট্যকার শাহরুখ মির্জার ছেলে ফারহান মির্জার সঙ্গে বিয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ডিভোর্সের পর বিভ্রান্ত হয়ে পড়ার কথা জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, এখন নিজের শিকড়ে ফিরতে পেরে কৃতজ্ঞ।
চাহাত বলেন, এক প্রকারে আমার মগজ ধোলাই করা হয়েছিল। তবে আমি জানি না সেটা তাদের ভালোর জন্য বা আমার ভালোর জন্য, কিন্তু সে কারণেই আমি বলেছি, সৌভাগ্যক্রমে আমি নিজের শিকড়ের কাছে ফিরে এসেছি।
চাহাত আরও বলেন, আমি সনাতন ধর্মে ফিরতে পেরে খুশি। অনেক লোক আমাকে ধর্মান্তরিত হতে নিষেধ করেছিল তবে আমি শুনিনি কারণ আমি বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে আমাকে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়েছিল, কিন্তু আমি করেছি। এবং এরপর আমাকে অবশ্যই বলা হয়েছিল 'তোমার দেবতার উপাসনা করো না, সম্ভবত এটি সঠিক উপায় নয়, এটি সঠিক উপায়' এবং আমি একটি হারিয়ে যাওয়া শিশুর মতো সেই পথ অনুসরণ করেছি।
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মিডিয়ায় পথ চলা শুরু চাহাত খান্নার। ২০০২ সালে ১৬ বছর বয়সে চকলেটের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পথচলা শুরু করেন। পরে চলচ্চিত্রেও নাম লেখান তিনি। ২০১৩ সালে বিয়ে করেন ফারহানকে। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে বিয়ে করেছিলেন ব্যবসায়ী ভারত নরসিংহানিকে। তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে দাম্পত্যজীবনের। ২০১৯ সালে যৌন ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ এনে বিচ্ছেদের আবেদন করেন ফারহানের বিরুদ্ধে।
আরটিভি / এএ
‘এদের ছেড়ে আমি একা কবরে কেমনে যাব’
‘ছবিয়াল’ শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক আবেগ। দর্শকপ্রিয় এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির মালিক নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারেই তিনি নির্মাণ করে আসছেন বিজ্ঞাপন, নাটক ও সিনেমা। ১৯৯৮ সাল, ছবিয়াল থেকে ফারুকীর প্রথম নির্মাণ ‘ওয়েটিং রুম’, সেই সময় কোনো টিভি চ্যানেল কিনতে চায়নি ফিকশনটি। ২৫ বছরে এসে চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নামের আগে যুক্ত হয়েছে বিশেষণ। তিনি এখন অন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো তাকে সেই স্বীকৃতি দিয়েছে।
সম্প্রতি ছবিয়ালের ২৫ বছর পূর্তিতে সহকর্মীদের নিয়ে একত্রিত হয়েছিলেন ফারুকী। যেখানে হাজির ছিলেন দীর্ঘ ২৫ বছরের এই পথচলায় তার সঙ্গে কাজ করা অসংখ্য নির্মাতা, প্রযোজক ও শুটিং ইউনিটের সদস্যরা। পুরো আয়োজনের পেছনে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন ফারুকী। এক স্ট্যাটাসে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়েই শেষে প্রশ্ন রাখলেন, সবাইকে ছেড়ে তিনি কবরে একা থাকবেন কীভাবে।
ফারুকী তার স্ট্যাটাসে লেখেন, মানুষের আয়ু কয়েক দশক মাত্র। এই ছোট জীবন লইয়া দুনিয়াতে আইসা দুনিয়াটাকে বুঝতে বুঝতে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাইয়া যায়। আরেকদল নতুন যাত্রী দুনিয়া বোঝার অভিযানে বাহির হয়। সংক্ষেপে এই হইলো মানুষের ইতিহাস। আমার ইতিহাসের অর্ধেকটা কাটছে আমার এই পরিবারটার সাথে। যার নাম ছবিয়াল। কালকে আমাদের ২৫ বছর পূর্তির মিলনমেলা ছিল। সেখানে আমার ভাইব্রাদার-নাতি-পুতি সবাই আসছিলো। আর আমার কানে বাজতেছিল, পুরনো সেই দিনের কথা, লিটারেলি বাজতেছিল।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই নির্মাতা লেখেন, আরও আসছিলেন আমার সুপার ট্যালেন্টেড খালাতো ভাই-বোনেরা। শিহাব শাহীন ভাই, তানিম নুর, অনিম, শাওকী, নুহাশ, আরিফ, শঙ্খ, রাকা, রায়হান রাফি, অনম, রেজা, কারিনাসহ যারা আমাদের শুভেচ্ছা জানাইতে আসছেন তাদের কৃতজ্ঞতা। অমিতাভ রেজাসহ অন্যরা যারা কাজের জন্য আসতে পারেনি তাদের জন্যও কৃতজ্ঞতা। দর্শকদের প্রতি অনেক বড় কৃতজ্ঞতা, যারা আমাদের অক্সিজেন হয়ে ছিলেন, আছেন। আমরা সবাই মিলেই একটা বড় পরিবার আসলে।
এরপর স্ত্রী তিশাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুকী লেখেন, স্পেশাল থ্যাংকস টু মাই ভাই-ব্রাদারস ফর অরগানাইজিং দিস। অ্যান্ড আ বিগ থ্যাংকস টু তিশা ফর এভরিথিং। এই বৃহৎ পরিবার আগলে রাখার আসল কারিগর। সে জানে আমি একা চলতে পারি না। ফলে ও সারাক্ষণ উপলক্ষ খোঁজে আমাদের গ্যাদারিংয়ের। আগে এইসব আয়োজনে আমি জড়িত থাকতাম। এখন তিশা আর ভাই-ব্রাদাররা আমাকে ঢুকতে দেয় না। আমি ভাই-ব্রাদারদের প্রাউড ফাদার হয়ে তাকাইয়া থাকি আর আমার চোখ ভিজে আসে। এদের ছেড়ে আমি কবরে যাবো কেমনে একা?
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র, নাটক নির্মাণের পাশাপাশি ছবিয়াল আরও একটি বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছে দেশের মিডিয়াঙ্গনে। সেটি হলো তরুণ নির্মাতা তৈরি করা। যারা একসময় সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন ছবিয়ালে, তারাই এখন নিজেদের নামে খ্যাতি অর্জন করেছেন। অনেকেই তাদের গুচ্ছ আকারে ‘ভাই বেরাদার’ নামে চেনেন। যাদের মধ্যে অন্যতম রেদওয়ান রনি, আশুতোষ সুজন, শরাফ আহমেদ জীবন, আশফাক নিপুণ, ইফতেখার আহমেদ ফাহমী, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, আদনান আল রাজীব প্রমুখ।
আরটিভি /এএ-টি
দিলো তো সব নেশাখোরদের সঙ্গে থাকতে: পরী
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা পরীমণি। প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বারবার হয়েছেন সংবাদের শিরোনাম। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে বেশ আনন্দেই সময় কাটছে তার। তবে তার জীবন চলার পথটা এত মসৃণ নয়। এই অভিনেত্রীকে মাদক মামলায় যেতে হয়েছিল জেলেও। এবার এক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে এসে জানালেন জেলজীবনের অভিজ্ঞতা।
ওই অনুষ্ঠানে পরীমণির কাছে জানতে চাওয়া হয় জেলজীবনে কী শিখেছেন? জবাবে পরী বলেন, ‘আমাকে পাঠানো হয়েছে জেলে। সেখানে গিয়ে কি ভালো কিছু শিখব? দিলো তো সব নেশাখোরদের সঙ্গে থাকতে। (সেখানে) আমি প্রচুর গালিগালাজ শিখেছি। ওরা সারাক্ষণ এ-ই করত।’
জেলে থাকার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে এই নায়িকা বলেন, ‘জেলে গিয়ে দেখেছি প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা গল্প। এমন অনেকে আছে, যারা ৪০ বারের বেশি জেলে গেছে। পুরো ভিন্ন একটা জগৎ। কেউ কেউ মুখে ব্লেড নিয়ে ঘুরছে। প্রচুর গ্রুপিং হয়, বিচিং হয় সেখানে। জেলে সময় কাটানো খুব কঠিন। কোনো অ্যাক্টিভিটি নেই তো সেখানে। কতক্ষণ আর গল্প করা যায়! টাইম পাস করার জন্য অনেকে ইচ্ছা করেই ঝগড়া করত। সেসব স্মৃতি লিখে রেখেছি।’
এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন পরীমণি। ‘রঙিলা কিতাব’ নামের সিরিজের এবার মুক্তির তারিখ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনম বিশ্বাস পরিচালিত হইচই অরিজিনাল সিরিজটি আগামী ৮ নভেম্বর উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। সিরিজে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমণি ও মোস্তাফিজুর নুর ইমরান। খুব শিগগিরই ভারতে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। ‘ফেলুবক্সী’ নামে এক ছবিতে দেখা যাবে তাকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় পরীমণির। এরপর ‘রক্ত’, ‘স্ফুলিঙ্গ’, ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘গুণীন’, ‘প্রীতিলতা’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ‘মা’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন পরীমণি।
আরটিভি /এএ/এসএ
আওয়ামী লীগকে যেসব কারণে দরকার, জানালেন ফারুকী
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে বরাবরই নানান ইস্যুতে প্রতিবাদের সুরে কথা বলতে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কখনও নিজের মতামত প্রকাশ করেন, কখনও বা সমাজের মানুষের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন। ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই তাদেরকে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় আবারও তিনি লিখলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলের নানা দুর্নীতি নিয়ে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) লেখার শুরুতেই ফারুকী বলেন, অনেকে আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগের উপলব্ধি হবে। তারা অনুশোচনায় ভুগবে, বিচার পর্ব পার হয়ে নতুন রাজনীতি নিয়ে আসবে মানুষের সামনে। আর ওদিকে আওয়ামী লীগ আশা করছে বাংলাদেশের মানুষের উপলব্ধি হবে যে, তাদের আমাদের কতটা দরকার। তারা কল্পনায় দেখতে পাচ্ছে আমরা তাদের মিস করছি। কী বিস্ময়কর!
নানা দুর্নীতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আসুন আমরা একটু কল্পনা করার চেষ্টা করি তাদের আমাদের কেন দরকার। এই জুলাই হাজারের বেশি তরুণ-কিশোর-ছাত্রছাত্রীকে খুন করেছে। আরও কয়েক হাজার খুন করার জন্য তাদের দরকার? সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় নিজের ক্যাশিয়ার মারফত ব্যাংক লুট করে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে, যেটাকে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতি বলা হচ্ছে। আরও দশটা ব্যাংক লুটের জন্য দরকার?
তিনি আরও বলেন, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা চুরির জন্য দরকার? কুইক রেন্টালের নামে কুইক ডাকাতির জন্য দরকার? অসম এবং অবিশ্বাস্য চুক্তির জন্য দরকার? এই দফায় দলের সব নেতাকে সমান প্রশ্রয় দেওয়া যায় নাই। সামনের দিনে নিশ্চিত করা হবে জাভেদের (সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ) মতো সবাই যেনো বিদেশে কম-সে-কম ৩৬৫টা বাড়ি কিনতে পারে। কোনো বৈষম্য করা হবে না। এ জন্য দরকার? এক যুগের বেশি সময় ধরে শত শত মানুষকে গুম করেছে। আরও কয়েক হাজার গুম করার জন্য দরকার? আরেকটা বিডিআর কার্নেজের জন্য দরকার?
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে ফারুকী বলেন, তার মানে কি এখন যা হচ্ছে সব ঠিক? অ্যাবসোলিউটলি নট। নির্বাচিত সরকার আসার আগ পর্যন্ত সবাই নিজেকেই সরকার ভেবে অনেক উল্টাপাল্টা কাজ করছে। কেউ কেউ অনলাইন-অফলাইনে বিভেদ উস্কে ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে চাইছে। এই সরকারের ১০০০ বিষয়ে আমার নিজেরই সমালোচনা আছে। কিন্তু আমি বাস্তবতাটাও বুঝি। ১৬ বছরে সব সিস্টেম দলীয় লুটপাট আর ক্ষমতা টিকায়ে রাখার কাজে যখন ব্যবহৃত হয়, তখন যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়, তাদের আসলে সালাম করা উচিত।
সবশেষে তিনি বলেন, আমি প্রফেসর ইউনুসকে সালাম জানাই আমাদের বর্জ্য পরিষ্কারের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য। ওয়াকার (সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান) সাহেব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের সালাম জানাই জনতার হয়ে এই কাজ করার জন্য। তারা আরামেই থাকতে পারতেন হাসিনার সুবিধা খেয়ে।
আরটিভি/এএ-টি
মানুষ না খেয়ে থাকলেও আপনাদের সমর্থন করবে না: শবনম ফারিয়া
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। আগের চেয়ে এখন অনেকটাই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়শৈলী দেখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। এই অভিনেত্রীর সিনেমায় অভিষেক ঘটে ২০১৮ সালে ‘দেবী’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। সবশেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’য়। সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই সরব থাকেন এ অভিনেত্রী। ফেসবুকে দেওয়া নানা স্ট্যাটাসের কারণে প্রায়ই শিরোনাম হয়ে থাকেন সংবামাধ্যমের।
সোমবার (৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ লিখেন, আপনারা যে শুধু খুনি/চোরদের দোসর না, মানসিকভাবেও কত নোংরা সেইটা কমেন্টগুলো পড়ার পরেই বোঝা গেল।
শবনম ফারিয়া বলেন, রাজনীতিবিষয়ক আমি ভেবেছিলাম আর কোনো মন্তব্য করব না, কিন্তু শেষবার একটা কথা বলে বন্ধ করব। গতকাল কিছু পোলাপানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক্টিভিটিস দেখে মনে হলো, হেলমেট পরে রাস্তা ঘাটে আর মারামারি না করতে পারার ফ্রাস্ট্রেশন মানুষের কমেন্ট বক্সে এসে কমেন্টে আঙুল দিয়ে মারামারি করে সেইটা কমানোর চেষ্টা করছে আজকাল!
আক্রমণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ভাই এইসব ফালতু নোংরা কমেন্ট না করলে অন্তত সিম্পেথি পাইতেন, আপনারা যে শুধু খুনি বা চোরদের দোসর না, মানসিকভাবেও কত নোংরা সেইটা কমেন্ট গুলো পড়ার পরেই বুঝা গেলো। খারাপ সময়ে মানুষ আরও ডাউন টু আর্থ হন আর আপনারা দল বেঁধে আরো অ্যারোগেন্সি দেখাচ্ছেন! এই অ্যারোগেন্সের জন্যই আজকে আপনাদের এই অবস্থা! মানুষ না খেয়ে থাকলেও আপনাদের সমর্থন করবে না।
আরটিভি/এএ-টি
অর্জুনের কঠিন রোগের নেপথ্যে মালাইকা!
বয়সে ১৩ বছরের বড় মালাইকার প্রেমে মজেছিলেন অর্জুন কাপুর এ কথা পুরনো। অনেক জল্পনার শেষে নিজেদের সম্পর্ককে স্বীকৃতিও দিয়েছেন বলিউড আইটেম কুইন মালাইকা অরোরা ও হালের হিরো অর্জুন কাপুর। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই বিচ্ছেদ যে বেশ প্রভাব ফেলেছে অর্জুন ও মালাইকার জীবনে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৮ সাল থেকেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তারা। ২০১৯ সালে প্রেমে সিলমোহর দেন তারা। ২০২৪ সালে শোনা যায় বিচ্ছেদের খবর।
সেই বিচ্ছেদের পরেই তার প্রভাব পড়েছে অর্জুনের জীবনে। এবার নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা।
চলতি বছরেই বিচ্ছেদ হয় এই চর্চিত লাভবার্ডসের। অর্জুনের জন্মদিনের পার্টিতে দেখা মেলেনি মালাইকার। তবে মালাইকার বাবার মৃত্যুর পর পাশে ছিলেন অর্জুন। সম্প্রতি নিজেকে 'সিঙ্গল'ও ঘোষণা করেছেন অভিনেতা। কিন্তু এই বিচ্ছেদ যে প্রবল প্রভাব পড়েছে অভিনেতার জীবনে তা, এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করলেন।
অর্জুন তার জীবনের কঠিন সময়ের কথা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, ২০১৪-তে যখন মা মারা যান তখন বোনও দিল্লিতে। বাড়িটা পুরো ফাঁকা মনে হত। ইন্ডাসট্রিতে যখন নিজের পরিচয় তৈরি করতে পারলাম তখন ব্যক্তিগত জীবন আর শরীরচর্চা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যাই। সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারটাও সামলাই। আজকের দিনে একটাই কথা মনে হয়, নিজের যত্ন নেওয়া উচিত।
পাশাপাশি অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে গত দু'বছর ধরেই অসুস্থ অর্জুন। 'হাসিমটো' নামের এক রোগে আক্রান্ত অর্জুন। এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। ৩০ বছর বয়স থেকে এই রোগে আক্রান্ত তিনি। এই রোগে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। এই রোগে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড নষ্ট হয়ে যায়। শুধু ওজন বৃদ্ধি পাওয়া নয়, একাকিত্ব ও অবসাদও তার অংশ। ঘন ঘন মনোবিদের কাছে যেতে হচ্ছে তাকে।
অভিনেতার দাবি, মায়ের থেকেই এই রোগ নাকি পেয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই অবসাদে ভোগেন নায়ক। ওজন বেশি হওয়ার জন্য থেরাপি নিতে হতো তাকে। এরপর বক্স অফিসে বারবার ব্যর্থ হওয়ার জন্য আবারও অবসাদ গ্রাস করে অর্জুনকে।
অভিনেতা বলেন, গত বছর থেকে কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। কিছুই যেন ভাল লাগত না। নিজের ছবি দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। একাধিক মনোবিদকে দেখিয়েছি, লাভ হয়নি। অবশেষে এক জনকে পেয়েছি যিনি আমার চিকিৎসা করছেন।
সম্পর্ক ভাঙার কথা জিজ্ঞাসার করায় অভিনেতা বলেন, সম্পর্ক নিয়ে কোনও কথা বলা খুব একটা পছন্দ করি না। আমার মনে হয় জীবনে যা ঘটছে সেটাকে সম্মান করা উচিত। এই বিষয় নিয়ে গভীরে কথা বলতে চাই না। অতীতের ঘটনার সঙ্গে বর্তমানকে কখনওই জুড়তে চাই না।
আরটিভি /এএ
নেই শুটিং, সংসার চালাতে সবজি বিক্রি করছেন রিপন
দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর বদলে গেছে অনেক কিছুই। যার প্রভাব পড়েছে শোবিজ অঙ্গনেও। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রায় বন্ধ ছিলো সকল ধরণের শুটিং। যার ফলশ্রুতিতে অনেকেই হয়েছেন বেকার। যাদের একজন রিপন হওলাদার। সংসার চালাতে ঢাকার উত্তরা এলাকায় ভ্যানে সবজি বিক্রি করেন রিপন। চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন এক সময়। তবে এখন শুটিং না থাকায় জীবিকা নির্বাহের জন্য এখন সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তথ্যমতে, তাদের সদস্য ২৫০ জন। তবে ঘুরেফিরে ২০-৩০ জনের কাজ রয়েছে। বাকিদের বেশির ভাগই এখন বেকার। সংসার চালানোর জন্য তাঁরা কেউ চা-পান, কেউ তরিতরকারি বিক্রি, কেউ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোসহ নানা পেশায় যুক্ত হয়েছেন।
এদিকে রিপন বলেন, ২৫ বছর ধরে মিডিয়ায় কাজ করছি। কোনো দিনও ভাবিইনি, জীবনে এই দুঃসময় আসবে, বেকার হয়ে যাব! পরিবার নিয়ে অভাব–অনটনে থাকতে হচ্ছে। প্রোডাকশন ম্যানেজারদের কোনো স্বীকৃতি নেই। দেখার কেউ নেই। এখন হকারও বেড়েছে। এখানেও টিকে থাকা কঠিন।
আরেক প্রোডাকশন ম্যানেজার মো. কামরুল বলেন, চার সন্তান নিয়ে এখনো আমাকে সংগ্রাম করতে হয়। কল্পনাও করিনি এমন জীবন যাপন করতে হবে। খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছি।
প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আবু জাফর আবু জাফর জানান, সংগঠনের ৮০ শতাংশের বেশি সদস্য বেকার। জুলাই থেকে একেবারেই কাজ নেই। সব সেক্টর ভালোভাবে চললেও প্রোডাকশন টিম এখনো পুরোপুরি শুটিংয়ে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রোডাকশন ম্যানেজার আব্দুল বলেন, করোনার সময়ের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি। তখন অনেকেই সহায়তা করেছে। বাচ্চার দুধ কিনেছি। নিজেরা ডালভাত খেয়েছি। কিন্তু এখন এমন অবস্থা, দুঃখ বলার মতো কেউ নেই।
আরটিভি /এএ