পেহেলগামকাণ্ড নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে একের পর এক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশের যুদ্ধাবস্থা উত্তাপ ছড়িয়েছে সবখানে। যে উত্তাপ দেখা যাচ্ছে শোবিজ অঙ্গনেও। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের তারকারাই নিজ নিজ দেশের হয়ে কথা বলেছেন।
পাকিস্তানে হামলা করা ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে সমর্থন ও প্রশংসা জানিয়ে নানা মন্তব্যও করছেন ভারতের তারকারা। তবে পাকিস্তানে হামলার ব্যাপারে শুধু উচ্ছ্বাসই নয়, এই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সিনেমা তৈরিতেও শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা।
ভারতে কোনো জাতীয় ঘটনা ঘটলেই সেটা নিয়ে সিনেমা বানাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন নির্মাতারা। কে কার আগে নাম নিবন্ধন করাবেন, সেটা নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা।
বিশেষ করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে অসংখ্য সিনেমা তৈরি হয়েছে বলিউডে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১৫টি প্রযোজনা সংস্থা ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সিনেমার নিবন্ধন করেছে। কিন্তু এই টাইটেলটি আসলে কে পাবে তার উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলা যুদ্ধের মধ্যে পরিচালক উত্তম মাহেশ্বরী ও নিতিন কুমার গুপ্ত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সিনেমা তৈরির ঘোষণা করে ফেলেছেন।
এই সিনেমার প্রযোজনা করবেন নিকি ভিকি ভাগনানি ফিল্মস ও দ্য কনটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার। এমনকি সিনেমার একটি এআই নির্মিত পোস্টারও প্রকাশ করেন নির্মাতারা!
পোস্টারে যুদ্ধের পরিস্থিতির ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ানকে হাতে বন্দুক ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পোস্টারে সিনেমার টাইটেল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আগে ‘ভারত মাতা কি জয়’ লেখা হয়েছে। তবে এই পোস্টার প্রকাশের পর থেকেই তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে নির্মাতাদের। খোদ ভারতীয় নাগরিকরা এই নির্মাতাদের তীব্র নিন্দা করেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে ধুয়ে দিচ্ছেন একরকম। কারো মতে, ‘দেশ এখন যুদ্ধে আর এই সুযোগে এরা টাকা কামানোর ধান্দায় ব্যস্ত।’ কেউ বা বলছেন, ‘এটা নির্লজ্জতার সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে।’ কেউ কেউ এই নির্মাতাদের দেশপ্রেম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
সেলিব্রিটি ফটোগ্রাফার মানব মঙ্গলানি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সিনেমার পোস্টারটি শেয়ার করেছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পর তা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরটিভি/এএ/এআর