ঢাকাশনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘র’-এর এজেন্ট ছিলেন বাঁধন, যা জানালেন অভিনেত্রী

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

রোববার, ২৫ মে ২০২৫ , ০৬:২৮ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে শুরু রাজপথে সরব ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব ছিলেন অভিনেত্রী। সবসময় সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। 

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যম অভিনেত্রীকে ভারতীয় গয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে দাবি তুলেছেন অনেকেই। এরপরই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। আজ রোববার (২৫ মে) নিজের ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে হতাশা প্রকাশ করে লিখেছে, আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম—কী দারুণ এক যাত্রা!

ওই পোস্টে ভারতীয় গয়েন্দা সংস্থা ‘র’ হয়ে ওঠার ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ২০২১ সালে আমি একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট ছিলাম। তবে সেটা বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউড ছবি ‘খুফিয়া’-তে। ওই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু। যারা দেখেননি—দেখে ফেলেন! ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আছে।

বিজ্ঞাপন

এখানেই শেষ না অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ওই সিনেমায় অভিনয়ের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আমি ‘খুফিয়া’ ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত যেতে পারিনি। কারণ, ভারতীয় হাই কমিশন আমার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল— একবার নয়, পাঁচবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরের (নুরুল হক নুর) সঙ্গে আমার একটা ছবি দেখে ভারতীয় হাইকমিশন খুব চিন্তিত ছিল। ছবিটি আমি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। শেষমেশ, ভিসার জন্য দেশের পরিচিত প্রভাবশালী মানুষদের সাহায্য নিতে হয়। হাই প্রোফাইল কিছু লোকজনের হাসাহাসির মাঝেই এক মাসের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পাই।

তিনি যোগ করেন, দুইজন প্রভাবশালী সূত্র থেকে জেনেছি, সিনেমার অন্যতম একজন নায়িকাও আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন। সে ব্যক্তি কে ছিল তা অনুমান করা যেতে পারে! ভিসা জটিলতার কারণে টলিউড এবং বলিউডে অনেক ভালো কাজের সুযোগ হারিয়ে ফেলি। তবে থেমে থাকিনি।

বাঁধন আরও বলেন, জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব’ চালিয়েছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কারণ, আমি তাদের এক নেতার ভিডিও আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম।

বিজ্ঞাপন

সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের হয়েও কাজ করছি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম! বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন আমার কাছে সিরিয়াসভাবে জিজ্ঞেস করে বসল, টাকা খাইছো নাকি? আমাদের কী দারুণ একটা সমাজ! যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না। এই লেখাটা আসলে মজা করে বলা ‘আরাম কর, হাস, আর একটু ভাব।’

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |