ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানেই ধনী গরীব ভেদাভেদ ভুলে পরস্পরকে বুকে টেনে নেয়ার উজ্জলতম একটি খুশির দিন। বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদ। চারদিকে শুরু হয়েছে খুশি আর আনন্দের বন্যা।
ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে ঈদ উৎসব পালনের মহাপ্রস্তুতি, তোড়জোড়। হাটে, মাঠে, ঘাটে ঈদের খুশিই এখন রঙ ছড়াচ্ছে। এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বিনোদন অঙ্গনের লেগেছে আনন্দের ছোঁয়া। ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। ঈদকে ঘিরে রয়েছে তারও বেশ কিছু পরিকল্পনা। আরটিভির সঙ্গে আলাপাকালে হালের এই জনপ্রিয় নায়িকা জানালেন তার ঈদ পরিকল্পনার কথা।
আরটিভি: ঈদ কোথায় করা হচ্ছে?
পরীমণি: ঢাকায় চলে আসার পর কখনও কোরবানি ঈদ ঢাকার বাইরে করা হয়নি। এবারই প্রথম নানা বাড়ি বরিশালে করবো। ২০১৫ সালে যখন কোরবানি ঈদে বাড়ি যাওয়ায়ার জন্য ব্যাগ গোচ্ছা ছিলাম তখন এফডিসির কিছু অসহায় শিল্পীর ঈদ নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেখে তখন থেকেই নিয়োমিত এফডিসিতেই কোরবানি দিয়ে আসছি। তবে মাঝে আমার বাচ্চা ও এফডিসির নানা রাজনীতির কারণে এফডিসিতে কোরবানি দেয়া হচ্ছে না। নানু ভাই যেহেতু এখন আমাদের মাঝে নেই আর বরিশালে যেহেতু সবাই আছে তাই সেখানেই এবার বাচ্চাদের নিয়ে সবার সঙ্গে ঈদ করবো।
আরটিভি: ঈদের দিনটা কিভাবে কাটে?
পরীমণি: কোরবানি ঈদে পুরো দিনটাই আসলে কাজ করেই কাটে। বিশেষ এইদিনে আমি নিজেই সব নিজের হাতে করতে ভালোবাসি। যেমন কোরবানির কাজ শেষ হওয়ার পর সেই সব মাংস নিজের হাতে প্যাকেট করে সবাইকে দেয়া, বাসায় রান্না করে পরিবারের মানুষদের খাওয়ানো। এগুলো না করলে আমার কাছে ঈদই মনে হয়না।
আরটিভি: ঈদ নিয়ে কিছু মজার স্মৃতির কথা জানতে চাই...
পরীমণি: হা হা হা আগে আসলে গরু দেখলেই দৌড় দিয়ে পালাতাম। সবাই তখন আমাকে ধরতে আমার পিছনে পিছনে দৌড়াতো। এখনও আমি আগের মতই আছি। তবে কোরবানি দেয়ার দৃশ্যটা আমি নিতে পারি না, কেমন জানি দম বন্ধ হয়ে আসে।
আরটিভি: আপানার সবচেয়ে আপন মানুষ আপনার নানা ভাই, তাকে নিয়ে ঈদের স্মৃতি জানতে চাই...
পরীমণি: গতবারের কোরবানি ঈদে আমি একটি ভিডিও দিয়েছিলাম আমার ফেসবুকে। যেখানে নানু ভাই বাবুকে নিয়ে নিচে নিমেছিলাম কোরবানি দেখার জন্য। নানু ভাই তখন আমাকে অনেক সাহস দেয়েছিল। বার বার বলছিলো চলো বাবু আমি দুইজন মিলেই কোরবানি দেয়া দেখবো। নানু ভাইও তখন বাচ্চা হয়ে গিয়েছিল। এরপর নানু ভাই, বাবুকে নিয়ে আমি নিচে যাই কোরবানি দেখতে। আমি যেহেতু পশু জবাই করা দেখতে পারিনা সো তখন আমি ভাইয়ের হাত শক্ত করে ধরে চোখ বন্ধ করে ছিলাম।
আমি ভয়ে নানু ভাইয়ের হাত এতো শক্ত করে ধরেছিলাম যে একসময় নানু ভাই বলে উঠে তার হাত ব্যাথা করছে। নানু ভাইয়ের সাথে এটাই আমার শেষ স্মৃতি। হয়তো আমার ছেলের এইসব স্মৃতি মনে থাকবেনা। আমিও কি মনে করে যেনো ভিডিও করে রেখেছিলাম সেই মুহূর্তটা। আমাড় ছেলে বড় হয়ে একটা সময় এইসব ভিডিও দেখবে।
আরটিভি/এএ