দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমের পর ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা ও গোলাম মোহাম্মাদ ইফতেখার গহিন। বিয়ের পর ছয় বছরের সেই সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি টানলেন তারা।
বুধবার (২৫ জুন) রাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি আবেগঘন বার্তায় বিচ্ছেদের খবর নিজেই জানান কনা।
ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে কনা লিখেছেন, আমি আপনাদের ভালোবাসার কনা। জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে- সবই আল্লাহর ইচ্ছা। ঠিক তেমনি যেকোনো বিচ্ছেদও হয় তাঁরই ইশারায়। আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী এবং প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি জানাচ্ছি যে দীর্ঘ ছয় বছরের বিবাহিত জীবনের পর আমি এবং গোলাম মোহাম্মাদ ইফতেখার গহিন গত ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছি।
এদিকে, কনার দেয়া স্ট্যাটাসের কিছুক্ষণ পরই অপর জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির একটি স্ট্যাটাস ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। ন্যান্সি লেখেন, জন্ম মৃত্যু বিয়ে বিচ্ছেদ, এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়- বাণীতে শেয়াল রানী।
ন্যান্সি কারও নাম উল্লেখ না করলেও নেটিজেনরা ধরে নেন, কনাকে উদ্দেশ্য করেই এমন লিখেছেন তিনি। কারণ, ন্যান্সির স্ট্যাটাসে কনার পোস্টের বাক্যাংশের হুবহু মিল এবং ‘শেয়াল রানী’ শব্দ দুটি দ্রুতই আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, এটি কনাকে ইঙ্গিত করেই লেখা।
বিষয়টি নতুন মাত্রা পায় যখন সঙ্গীতশিল্পী সালমা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেছেন, মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়। কঠিন সময়ে শিল্পীর পাশে থাকাটা জরুরি। আমাদের ট্যাগ কিন্তু আমরা শিল্পী। সেখানে আমাদের কর্তব্য সবাই একসাথে মিলে থাকাটা। দুই দিনের দুনিয়া কে কখন আছি আবার নেই। যার যার কষ্ট তার তার। সবাই মিলে ভালো থাকার চেষ্টা করুন।
সালমা কারও নাম উল্লেখ না করলেও তার স্ট্যাটাসের ভাষা এবং সময় দেখে অনেকেই ধরে নিয়েছেন, তিনি কনার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন এবং পরোক্ষভাবে ন্যান্সির আচরণের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
অন্যদিকে, কনা তার বিচ্ছেদের বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। ব্যক্তিগত যন্ত্রণার কথা প্রকাশ করে ভক্তদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরটিভি/এএ