• ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
গায়কের মৃত্যুর পর ভাইরাল ১৪ বছর আগের টুইট
বিচ্ছেদ ঘোষণার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তিনি। এদিকে বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সবকিছুরই একটা অজানা সমাপ্তি আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েও অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর আগের মতো হবে না। আমাদের বন্ধুদের বলি, যখন আমরা এই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন বলে ধন্যবাদ। এ আর রহমান ও সায়রা বানু ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের মা-বাবা। তাদের তিন সন্তানের নাম খাদিজা, রহিমা ও আমিন। একই দিনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রহমানের দলের বেজিস্ট মোহিনী দে নিজের বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানান ইনস্টাগ্রামে। সংগীত পরিচালক স্বামী মার্ক হার্টসাচের সঙ্গে যৌথ পোস্টে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন মোহিনী। তাই দুজনের কর্মক্ষেত্র একই, বিধায় বিচ্ছেদ হলেও তারা একসঙ্গে কাজ করে যাবেন বলেই জানিয়েছেন মোহিনী। এদিকে এ আর রহমান এবং মোহিনীর বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ায় নেটিজেনরা নানা ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন। কেউ কেউ তো বলছেন, তবে কি রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। তবে এই নিয়ে মোহিনী বা রহমানের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ঠিক এরই মাঝে নতুন পোস্ট করে এআর রহমান ভক্তদের দিলেন সুখবর। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রহমান তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তিনি জানান, দক্ষিণী ছবি ‘দ্য গোট লাইফ’র সঙ্গীতের জন্য হলিউড মিউজিক পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এই ছবির গোটা টিমকে এই ভিডিওর মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, রহমান ও মোহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক শুরু হতেই বিষয়টি পরিষ্কার করেন এআর রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন, এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনও সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো। আরটিভি /এএ/এআর   
রাফসান, সবাই তোমাকে খুঁজছে : জেফার
মোহিনীর সঙ্গে এ আর রহমানের পরকীয়ার গুঞ্জন, যা জানালেন আইনজীবী
এ আর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বললেন তিন সন্তান
কাজ করতে না পারায় আয়ের সুযোগ ছিল না: বেবী নাজনীন
এ আর রহমানের ২৯ বছরের সংসারে বিচ্ছেদের সুর
ঘর ভাঙছে অস্কারজয়ী সুরকার সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের। ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবন ইতি টানতে চাইছেন তার স্ত্রী সায়রা বানু। নিয়েছেন বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত। সায়রার আইনজীবী বন্দনা শাহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। এ বিষয়ে প্রকাশ করা হয়েছে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। মানসিক চাপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, নিজেদের মধ্যে তৈরিকৃত ব্যবধান দূরত্ব ঘোচাতে পারছিলেন না তারা। সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন। এ নিয়ে সায়রা বানু জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তার পক্ষে মোটেও সহজ ছিল না। অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আরও জানিয়েছেন, এই কঠিন সময় সকলের কাছে গোপনীয়তা রক্ষার এবং তাদেরকে একান্তে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন সায়রা বানু। ১৯৯৫ সালে মায়ের পছন্দে সায়রাকে বিয়ে করেন এ আর রহমান। কেননা সুর সাধনায় তিনি এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে কনে দেখতে যাওয়ার সময়ও জুটছিল না। এ দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন সন্তান খতিজা, রহিমা ও আমিন।
সঞ্জীব চৌধুরীর চলে যাওয়ার ১৭ বছর
‘গাড়ি চলে না চলে না/চলে না রে, গাড়ি চলে না’। বাউল শাহ আব্দুল করিমের লেখা বাংলাদেশের গানের ইতিহাসে এক অনন্য সৃষ্টি। এই গানের মধ্য দিয়ে দেহতত্ত্বের বিষয়টি এতো চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে যা অনবদ্য। আর এই গানটি বাংলাদেশের সব শ্রেণির মানুষের কাছে জনপ্রিয় করতে বিশেষ ভূমিকা রাখা মানুষটির নাম সঞ্জীব চৌধুরী। যে মানুষটি গানে গানে বলে গেছেন মানব জীবনের গাঁথা। প্রেম, বিরহ, সমাজ, রাজনীতি, প্রতিবাদ, দ্রোহ সমানভাবে তার গানে লেপ্টে আছে। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর দেহ ত্যাগ করলেও তার সেই ‘দেহ’ নামক গাড়িটির সৃষ্টিশীলতা এখনও চলছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। কবি, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, গায়ক এবং সংগঠক হিসেবে খ্যাতি ছিল মেধাবী মানুষ সঞ্জীব চৌধুরীর। ব্যান্ড দল ‘দলছুট’-এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সঞ্জীব। শরীরে জমিদার বংশের রক্ত থাকার পরও সঞ্জীব চৌধুরী পুঁজিবাদ আর সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে তার সক্রিয় অবস্থান ছিল। গানে গানে তিনি যেভাবে প্রতিবাদের ভাষা রপ্ত করেছিলেন তা বাংলা সংগীতে বিরল! শাসকদের চোখ রাঙানিতে যখন কম্পিত গোটা বাংলা, প্রতিটি সাধারণ মানুষের পদক্ষেপ যেখানে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরখ করা হচ্ছে সেখানে তিনি ঠিকই শোষকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ তোলে গেছেন তার গানের মধ্য দিয়ে। অবরুদ্ধ সময়েও তার গান থামেনি। চারদিকে যখন বেয়নেট আর জলপাই রঙের ওড়াওড়ি তখনও তিনি বুক চিতিয়ে বলেন, ওরা বলে, ওই গাড়িতে করে আমাদের জন্য খাদ্য আর পানীয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন বন্ধুগণ, আমি জানি ওই গাড়িতে আমাদের জন্য কোন খাদ্য ছিল না, আমাদের জন্য কোনো পানীয় ছিল না। ৩০০ লাশ…। ৩০০ টি লাশ ঠান্ডা, হিম! যাদের খুন করে ফেলা হবে। আমি বলতে চেয়েছিলাম সেই সত্য কথা। আর তখনই আমার দিকে এগিয়ে আসে উদ্ধত রাইফেল। আমার দিকে এগিয়ে আসে উদ্ধত বেয়োনেট। ওরা বলে খামোশ…। তবুও বন্ধুগণ, আমার স্বপ্নেরই কথা বলতে চাই, আমার অন্তরের কথা বলতে চাই।  পুরোদস্তুর রাজনীতি সচেতন মানুষ ছিলেন সঞ্জীব চৌধুরী। বাম ঘরানার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা ছিল তার। ঢাকা কলেজে পড়ার সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তিনি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আরও গভীরভাবে ছাত্র ইউনিয়নের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে ওঠেন। দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের সম্পাদক ছিলেন। মূলত তার লড়াই সংগ্রাম আর প্রতিবাদের যে মূর্তি ছিল তা তার শিক্ষাজীবন থেকেই গড়ে ওঠে। ঢাবিতে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেন সঞ্জীব চৌধুরী। আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায়যায়দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন। সর্বশেষ কাজ করেছিলেন যায়যায়দিনের ফিচার এডিটর হিসেবে। তার হাত ধরেই মূলত দৈনিক পত্রিকায় ফিচার বিভাগের যাত্রা শুরু। এ সময় তার সহকারী ছিলেন নব্বই দশকের শক্তিমান কবি কামরুজ্জামান কামু। সঞ্জীব চৌধুরী ব্যান্ড ‘দলছুট’ গঠন করলে সেসময় তার জন্য একাধিক জনপ্রিয় গান লেখেন কবি ও নির্মাতা কামরুজ্জামান কামু। সঞ্জীব চৌধুরীর জন্য কামুর লেখা গানগুলোর মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এরমধ্যে তোমার বাড়ির রঙের মেলায়, হাতের ওপর হাতের পরশ রবে না, তোমার ভাঁজ খোল আনন্দ দেখাও এবং রিকশা কেন আস্তে চলে না উল্লেখযোগ্য। আরটিভি/এএ 
যেভাবে আসিফ আকবরের গানে মডেল হলেন সেই ‘ভাইরাল’ কন্যা সিঁথি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে আলোচনায় এসেছিলেন ফারজানা সিঁথি। শুধু তাই নয়, সেই আন্দোলনের নানা সময়ে তাকে দেখা গেছে নানা ভূমিকায়। ফলে ভাইরাল কন্যা হিসেবেই পরিচিত পান তিনি। নতুন খবর হলো তাকে এবার মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে। তা-ও আবার দেশের জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরের গানে। সিঁথির সঙ্গে গানে সহমডেল থাকছেন শেখ সাদী। গানের কথাগুলো, ইচ্ছেরা যেন মেলেছে ডানা, মন খুশির কারণটা আজ কেন লাগছে অজানা, ভেসেছি আজ প্রেমের দেশে নিয়ে স্বপ্নকে তোমার, ভালোবাসার তাজমহলে খুলে গেছে সিংহদ্বার, তুমি আমার এ পৃথিবী, তুমি ছাড়া আজ সব অচেনা। এদিকে আসিফ আকবরের গানের মডেল হিসেবে যুক্ত হওয়া নিয়ে সিঁথি বলেন, মডেলিং আমি প্রথম করছেন, এমন নয়। আরও পাঁচ বছর আগেই থেকেই মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি বিভিন্ন ব্রান্ডের হয়ে টানা পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি। অনেকেই হয়তো নতুন করে আমাকে চিনছেন। কিন্তু পোশাকের অনেক ব্র্যান্ড আমার সঙ্গে কাজ করছে অনেক দিন ধরেই। তাদের ফেসবুক ক্যাম্পেইন থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে পণ্যর মডেলিং করেছি। সেই সূত্রে কিছু কাজও করা হয়েছে। তবে ভাইরাল হওয়ার পর কাজের পরিধি আরও বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, দেশের স্বৈরাচর সরকার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সবার চেনামুখে পরিণত হয়েছেন। সেই সূত্রেই দেশের নামি এক গায়কের গানের মডেল হয়েছেন কিছুদিন আগে। আসছে ডিসেম্বরে সেই গান আসবে প্রকাশ্যে। তখনই সবকিছু প্রকাশ করা যাবে। সেই গানের মডেলিং করার পরই আসিফ আকবরের টিম থেকে যোগাযোগ করা হয় সিঁথির সঙ্গে। তার পরই মডেল হিসেবে চূড়ান্ত হন। আসিফের গাওয়া গানে সিঁথির সঙ্গে সহমডেল থাকছেন শেখ সাদী। গানের সুর ও সংগীত করেছেন রাজীব এবং মোনা। কথা লিখেছেন বূদ্ধাদিত‍্য মুখার্জী ( বাংলা), শাদাব আখতার (বেপানা দিল-হিন্দি)। আসিফ আকবরের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মুম্বাইয়ের নিকিতা গান্ধী। এ বিষয়ে আসিফ আকবর বলেন, মুম্বাই ফিল্মের মিউজিক ডিরেক্টর রাজীব রয় চৌধুরী ভালোবেসে গানটি আমাকে উপহার দিয়েছেন। ইচ্ছেরা গানটি প্রথমে বাংলা, পরে হিন্দি- দুই ভার্সনেই রিলিজ হবে। ফেমাস হিন্দি গান বুর্জ খলিফা- গানের গায়িকা নিকিতা গান্ধী কো-আর্টিস্ট। গানের রেকর্ডিং হয়েছে আরও পাঁচমাস আগে। এখন শুরু হবে গানের শুটিং। তিনি বলেন, নিটোল প্রেমের গানটির মডেল হিসেবে আমি নিজে পছন্দ করেছি জেন-জি কন‍্যা ফারজানা সিঁথি এবং তরুণ সংগীতশিল্পী শেখ সাদীকে। গানের শুটিং হবে শালদহ ইকো রিসোর্ট, গাজীপুরে। ভিডিও পরিচালনা করবে সৌমিত্র ঘোষ ইমন। আবার গানে গানে মুখর হয়ে উঠুক আমাদের পরিবেশ, প্রতিবেশ। আরটিভি/এএ/এস
সমন্বয়ক হাসনাতকে নিয়ে মাকসুদের বিস্ফোরক মন্তব্য
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় গায়ক মাকসুদুল হক ম্যাক। তার এই পোস্টের পর নেটিজেনরা করছেন তীব্র সমালোচনা। ‘বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে: হাসনাত’- এমন শিরোনামের একটি সংবাদের ফটোকার্ড শেয়ার দিয়েছিলেন মাকসুদ। আর তার ক্যাপশনে লিখেছেন, পূর্বাভাস: ডরাস ক্যা জিহাদি ভাই? ফাঁসি তো খুবই মামুলি জিনিস- তা হয় কারাগারের অভ্যন্তরে। কেউ নিজ চোখে তা আজ অব্দি দেখে নাই। মাগার তোদের ফাঁসি বা জবাহ আমরা ফেসবুক ইউটিউব ও সকল টিভি চ্যানেলে সরাসরি লাইভ বা আনসেন্সর্ড দেখুম ইনশাআল্লাহ। ভালো কথা ‘জম টুপি’ পরে আমাগো ‘মজা’ নষ্ট করিস না মামা। এনকেলাপ ঝিন্দাভাত। গায়কের পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। এরপরই শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। মন্তব্যঘরে কেউ কেউ মাকসুদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, আপনি এমনভাবে সমালোচনা করতে পারলেন! যদিও পরবর্তী সময়ে পোস্টটি আর মাকসুদের টাইমলাইনে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পোস্টটির স্ক্রিনশট এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটদুনিয়ায়। এ প্রসঙ্গে সোমবার (১২ নভেম্বর) সকালে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন মাকসুদ। তার কথায়, শুভ সকাল। ডরাই নাই! পোস্টটি আমি না ফেসবুক ‘রিপোর্ট’-এর ঠেলায় রিমুভ করসে। প্রসঙ্গত, গেল ১২ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। যেখানে তিনি লেখেন, রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে। তার এই মন্তব্যটি মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। আর এ নিয়ে খবরের শিরোনামও হন তিনি। আরটিভি/এএ 
হানিয়া-বাদশার ভিডিও ভাইরাল
ভারতীয় র‍্যাপার বাদশার সঙ্গে পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের প্রেম এখন ওপেন সিক্রেট। তাদের প্রেম নিয়ে যখন সর্ব মহলে চলছে চর্চা ঠিক তখনই এই জুটির নতুন ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল! আর তা নিয়ে শোরগোল নেটিজেনদের মাঝে। সম্প্রতি বাদশার কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন হানিয়া। এরপর তিনি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ইভেন্টের একটি ক্লিপ পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, হানিয়াকে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন বাদশা। ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, হানিয়া ও বাদশা হাত জোড় করে একে অপরকে অভিবাদন জানাচ্ছেন। এরপর বাদশা হানিয়ার কাছে এসে তাকে বাহুডোরে আগলে নেন। মঞ্চে যাওয়ার আগে বাদশা সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেন, হানিয়ার জন্য একটু আওয়াজ করুন। এদিকে নিজেদের সম্পর্ককে আপাতত বন্ধুত্বের নাম দিয়েছেন দুজনে। ক্লিপটিতে পাক সুন্দরী হানিয়াকে ধূসর শার্ট এবং ট্রাউজারে দেখা গেছে। বাদশার পরনে ছিল টি-শার্ট ও প্যান্ট। ভিডিও পোস্ট করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখেছেন, এ আমার সুন্দর বন্ধু! তিনি একজন নিখুঁত রকস্টার! বাদশা আসলে হিরো। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এটি পুনরায় শেয়ার করে বাদশা লিখেছেন, সবাই জানে আসল রকস্টার কে’। কনসার্টটি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে কিছু ভক্ত দাবি করলেও তাদের মধ্যে কয়েকজন দাবি করেছেন যে এটি কানাডায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  এদিকে গত মাসে লন্ডনে গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে হাজির হয়েছিলেন হানিয়া। সেখানেও বাদশাও উপস্থিত ছিলেন যিনি দিলজিৎ দোসাঞ্জের সাথে মঞ্চ ভাগ করেছিলেন। সেখানেও হানিয়ার সঙ্গে বাদশার অন্তরঙ্গতা ফুটে ওঠে। বাদশা এবং হানিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেম করছেন বলে গুঞ্জন। বিশেষ করে দুবাইয়ে দেখা হলে তারা প্রায়ই ইনস্টাগ্রামে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন। হানিয়া তার সামাজিকমাধ্যমে বাদশাকে নিয়ে হামেশাই পোস্ট করে থাকেন।  এর আগে গ্রেস জ্যাসমিন মাসিহকে ২০১২ সালে বিয়ে করেছিলেন বাদশা। তাদের ৮ বছরের দাম্পত্যে ইতি ঘটে ২০২০ সালে। দুজনের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে, জেসেমাই। আরটিভি/এএ 
কাবার আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা নাচ-গান
পবিত্র কাবার আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে নাচ-গান করছেন জনপ্রিয় শিল্পী জেনেফার লোপেজ ও সেলিন ডিওন! শুধু তাই নয়, সেখানে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশান শো! এমন কিছু ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি ফ্যাশন শোতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়! ১৩ নভেম্বর রিয়াদে লেবাননের তারকা ফ্যাশন ডিজাইনার এলি সাবের ক্যারিয়ারের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটিতে ফ্যাশন শোর পাশাপাশি ছিল নাচ-গানের আয়োজনও। আর সেই আয়োজনেই খোলামেলা পোশাকে নাচ ও গান পরিবেশন করতে দেখা যায় জেনিফার লোপেজ ও সেলিন ডিওনকে। আর এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছেন, হজ ও ওমরার দেশ সৌদি আরব দিন দিন পরিণত হচ্ছে পাপের স্বর্গরাজ্যে! যে দেশকে ইসলামের রাজধানী বলা হয়, যে দেশে জন্ম নিয়েছেন মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স)। সে দেশে কি হচ্ছে এসব! এই ঘটনা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে এমনই আরও বেশ কিছু ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে এই দেশটিতে।  ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সৌদিতে ৯০০ মিলিয়ন রিয়েল মূল্যের সিনেমার টিকিট বিক্রি হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান হয় প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে কীভাবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যায়, তার জন্য সৌদি ফিল্ম কমিশন গঠন করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটিতে বর্তমানে ৬৯টি হল রয়েছে যাতে ৬২৭টি পর্দায় প্রতিনিয়ত চলছে হলিউড ও বলিউডের সিনেমা। আর এসব সিনেমা মুসলিম সংস্কৃতি থেকে কতটা দূরে তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি রুমি আল কাহতানি নামের এক মডেল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তাকে খোলামেলা পোশাকে কালেমা খচিত সৌদি আরবের পতাকা হাতে দেখা যায়। এই ছবিও সামাজিকমাধ্যমে তুলেছিল সমালোচনার ঝড়। এ ছাড়াও ইসলামে যেখানে মদ পান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ সেখানে সম্প্রতি বার খুলে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। যদিও আপাতত এই বারে প্রবেশের অনুমুতি পাবে শুধুমাত্র অমুসলিম বিদেশি কূটনৈতিকরা। শুধু মদ বা সিনেমা না, সৌদিতে নিয়মিত হচ্ছে পপ কনসার্টও। পপ তারকা জাস্টিন বিবার এমনকি কোরিয়ান পপ ব্যান্ড বিটিএস এরও কনসার্ট হয় দেশটিতে। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় কালিমার পতাকা সামনে নিয়েই দিব্যি চলছে পপ কনসার্ট। এ ছাড়াও নিয়মিত হচ্ছে বিভিন্ন শো, যাতে হলিউড-বলিউডের তারকারা পারফর্ম করে থাকেন। এ ছাড়াও আরও একটা ঘটনা নজরে আসে বেশ কিছুদিন আগে। সৌদি আরবে পালিত হচ্ছে পশ্চিমা উৎসব হ্যালোইনও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া ছবিতে দেখা যায় সেখানকার বাসিন্দারা উদ্ভট পোশাকে শয়তান বা প্রেতের সাজে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর হ্যালোইন উৎসব পালন করছে। এই উৎসব ইসলামের মৌলিক শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক, তবুও পালিত হচ্ছে সৌদিতে।  মুসলিম জাতির জন্য সবচেয়ে পবিত্রতম দুই স্থান মক্কা ও মদিনা যে দেশে, যে দেশে শুয়ে আছেন বিশ্বনবি মুহাম্মাদ (স), যে ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন সাহাবায় ইকরামরা, যে দেশের পতাকায় রয়েছে পবিত্র কালেমা। সে দেশ এখন পরিণত হয়েছে পাপের স্বর্গরাজ্যে। নেটইজেনদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে এটাই কি এগুলোই পৃথিবী ধ্বংশের আলামত? আরটিভি/এএ 
চকলেট ভেবে বন্দুকের গুলি খেয়ে ফেললেন গায়িকার ছেলে, অতঃপর...
কলকাতার গায়িকা জোজো মুখার্জি। সম্প্রতি তার জীবনে ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল সংগীতশিল্পী জোজোর ছেলে অদীপ্ত। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনভর শুটিং সেরে বাড়ি ফিরেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় অদীপ্তকে। খেলনা বন্দুকের বুলেট খেয়ে ফেলেছিল তার ছেলে। চিকিৎসকদের তৎপরতায় বের করা হয়েছে বুলেটটি। ছেলের বর্তমান কেমন আছে এ নিয়ে  কথা বলেছেন জোজো।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট জোজো বলেন, খেলনা বন্দুকের বুলেট খেয়ে ফেলেছিল ছেলে। ও ভেবেছে হয়তো জেমস। চিবিয়ে খেয়েছে বুলেটটা। তার পরেই ডিনার করে, হজম করতেও অসুবিধা হয়েছে। আমি যখন বাড়ি ফিরেছি, তখন ও ঘুমাচ্ছিল। এরপরই প্রচণ্ড কান্নাকাটি। খালি আমার আঙুলটা নিয়ে ওর মুখের ভিতর দিচ্ছিল। বোঝা যাচ্ছিল ওর কষ্ট হচ্ছে ভিতরে। অনেক চেষ্টা করেও সমাধান না মেলায়, রাত বারোটায় হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। জোজো বলেন, কয়েক দিন ধরেই একটু সর্দি-কাশি হচ্ছিল। তাই মনে হয়েছিল হয়তো টনসিল ফুলেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই অনেকবার বমি করে অদীপ্ত। তখনই দেখলাম বুলেটের টুকরো বেরিয়েছে। তারপর ওকে যে দেখাশোনা করে সে বলছে ভাত খাওয়ার অনেক আগে একবার দেখেছিল ও বসে কিছু একটা চিবাচ্ছে। কিন্তু ও যে গিলে ফেলেছে, সেটা তো আর জানা সম্ভব নয়। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন জোজো। ছেলের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে জোজো বলেন, মুখটা শুকিয়ে গিয়েছে একদম। অনেকবার বমি করেছে তো। মুশকিল হলো ও তো কষ্টটা বলে বোঝাতেও পারছিল না। সময়মতো হাসপাতালে না নিলে, কী হতো সেটা ভাবতেই পারছি না।  আগামী মাসেই চার পেরিয়ে পাঁচ-এ পা দেবে অদীপ্ত। ছেলেকে সবসময়ই আগলে রাখেন জোজো।  আরটিভি /এএ