• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সোলসের গানে মাতলো যুক্তরাষ্ট্র
বৈশাখের ‘মেলায় যাইরে’ গান তৈরির পেছনের গল্প
পহেলা বৈশাখ এলেই চায়ের দোকান থেকে শুরু করে যেকোন আড্ডায় বাজতে শোনা যায়  ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি। গানটি ১৯৯০ সালে জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের একটি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছিল। গান তৈরির হিসেবে এবার ৩৪ বছর হতে চলছে। গানের বয়স বাড়লেও এর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একটুও।  বৈশাখের এই গানের সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী মাকসুদুল হক। ১৯৯০ সালে গানটি যখন প্রকাশ পায় তখন তিনি যুক্ত ছিলো জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের সঙ্গে। ১৯৯৬ সালে ফিডব্যাক ছেড়ে ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন মাকসুদুল হক। কীভাবে গানটি তৈরি হয়েছিল, সেই গল্প শুনিয়েছিলেন গানটির স্রষ্টা মাকসুদ।  মাকসুদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, গানটি লিখি ১৯৮৮ সালে । প্রথমত গানটি আমি একবারে লিখতে পারিনি। আমার সময় লেগেছিল দুই মাস। লেখার পর  সাত-আটবার সংশোধন করেছি। এরপর  সুর করেছি।  স্টেজে আমরা গানটা পারফর্ম করাও শুরু করি। গানটি রেকর্ডিং একদিনে হয়নি। অনেক সময় লেগেছে। আমরা  সেই সময়  ডিজিটালে রেকর্ডিং করেছি। সেজন্যই সময় বেশি লেগেছিল।  ঢাক, ঢোল, মন্দিরার শব্দ লাইভে বাজানো সম্ভব নয়। ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি কত কিছু যে হয়েছে। রেকর্ডিং স্টুডিওতে গিয়েও বেগ পেতে হয়েছে অনেক। পুরো গান তৈরি হতে  প্রায় এক থেকে দেড় বছর সময় লেগেছিল।  গানের জন্মকথা প্রসঙ্গে মাকসুদ দেশের এক পত্রিকায় তার লেখায়  উল্লেখ করেছিলেন, কত সময় ব্যয় করে এর কথা লিখেছি, তার সঠিক হিসাব-নিকাশ হয়তো এখন দেওয়া সম্ভব নয়। এটুকু মনে আছে, গানে সেই চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি, যা প্রতি বৈশাখে আমাদের চোখে পড়ে। অনেক শব্দের কাটিকুটি শেষে বেরিয়ে এসেছিল কিছু ছন্দোবদ্ধ কথা। লেখা শেষে নিজেই তাতে সুর বসিয়েছি। এরপর ফিডব্যাকে সদস্যদের সঙ্গে বসেছি কম্পোজিশন নিয়ে। বাদ্য বাদনেও অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়েছে। এরপর কণ্ঠে তুলি নিয়েছি গান। গেয়েছি মনপ্রাণ উজাড় করে, লেগেছে বাঙালির ঘরে ঘরে এ কি মাতন দোলা, লেগেছে সুরেরই তালে তালে হৃদয়ে মাতন দোলা; বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতে, ফিরে এলো সুরেরই মঞ্জরি; পলাশ শিমুলগাছে লেগেছে আগুন, এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি, মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে...। স্টুডিওতে গিয়ে রেকর্ড করা পর্যন্ত একটি গানের পেছনে কত সময় ব্যয় করতে হয়, তার লেখাজোখা থাকে না। কারণ, সংগীত কোনো কাজ নয়, একধরনের সাধনা। যারা গান করেন, তারা ভালো করেই জানেন, প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে কতটা শ্রম-ঘাম ঝরাতে হয়। যা হোক, “মেলা” গানটি রেকর্ড করার পর আমি, ফোয়াদ নাসের বাবু, পিয়ারু খান, লাবু রহমান, সেকেন্দার আহমেদ খোকা—প্রত্যেকেই অন্য রকম এক সৃষ্টির স্বাদ পেয়েছিলাম। ১৯৮৮ সালে  চট্টগাম মেডিকেল কলেজ হলে ফিডক্যাকের প্রথম কনসার্টে ‘মেলায় যাইরে মেলায় যাইরে’ গানটি প্রথম গাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মাকসুদ বলেন,   সেই কনসার্টে আমরা প্রথম এই গান গাই। একেবারে নতুন গান। কিন্তু এটা শোনার পর  ডাক্তার ও ছাত্র সবাই একসঙ্গে নেচেছে।  সবার অনুরোধে সেদিন এই গান আমাদের দুবার গাইতে হয়েছিল।   নব্বই দশকে যখন গানটি তুমুল জনপ্রিয় তখনকার একটি ঘটনা উল্লেখ করে এই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বলেন, ১৯৯২ সালে  তো ল্যান্ডফোন ছিল । এক ভদ্রমহিলা বাসার ল্যান্ডফোনের নাম্বারে বারবার ফোন করেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলার জন্য। যখন ফোন করতেন আমাকে তিনি বাসায় পেতেন না। আমার স্ত্রী এটা বলার পর একদিন আমি সেই ভদ্রমহিলার সঙ্গে ফোনে কথা বললাম।  তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনার  কাছে এই গান  কি  আমি জানি না।  তবে  আমার কাছে  এই গান  অনেক কিছু। আমার কোলে তিন মাস বয়সী শিশু এখন।  তাকে কিছুতেই দুধ খাওয়ানো যেত না। অনেক কষ্ট হতো।  একদিন আপনার গানটা ঘরে বাজছিল তখন আমার বাচ্চা হঠাৎ করেই দুধ  খাওয়া  শুরু করল। এখন এই গান না শুনলে আমার বাচ্চা দুধ খায় না। এই কথা শোনার পর  আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি চলে এসেছিল। এখন মনে হয়, এটুকু ভালো কাজের জন্য ঈশ্বর আমাকে দিয়ে গানটা করিয়েছিলেন। সবার এসব ভালোবাসার  আমার কাছে  গুরুত্বপূর্ণ, ওটা  খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় যে ‘মেলায় যাইরে’  কত হাজার লোক তালি দিল, নাচল।  
‘বিশ্বে মেয়েদের গানের দল হিসেবে হয়তো আমরাই প্রথম’
জুটি বাঁধলেন হৃদয় খান-ন্যান্সিকন্যা রোদেলা
কেন এত জনপ্রিয় ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি
জ্যামাইকাতে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন
এবার ঈদে হিন্দি গান শোনাবেন ড. মাহফুজুর রহমান
প্রতি বছরের মতো এবার ঈদেও একগুচ্ছ গান নিয়ে আসছেন বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান। তার গান মানেই শ্রোতাদের বাড়তি আগ্রহ। ঈদের বিশেষ একক সংগীতানুষ্ঠানে তিনি প্রায় ১০টির মতো গান শোনাবেন বলে জানা গেছে। এটিএন নিউজে ঈদের দিন রাত ৯টায় এবং দ্বিতীয় দিন একই সময় গান শোনাবেন। দুইদিনের জন্য নির্ধারিত তার সংগীত অনুষ্ঠান দুটির নাম যথাক্রমে দিল মে হো তুম এবং দু চোখে শুধু তুমি। সংগীত পরিচালনা করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। দিল মে হো তুম অনুষ্ঠানে তার সহশিল্পী হিসেবে থাকবেন ভাবনা, সামিয়া, পুনম নীলিমা। অন্যদিকে এটিএন বাংলায়ও ঈদের দিন ও পরের দিন থাকছে মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান। চ্যানেলটিতে ঈদের দিন ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে ‘তুমি শুধু আমারই থেকো’। অনুষ্ঠানে রয়েছে মোট ১০ টি গান। অ্যালবামের গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। বাংলা গানের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকছে জনপ্রিয় কয়েকটি গজল। অ্যালবামে রয়েছে আমায় ভালোবাসো না, তোমার চোখ দুটি, তুমি যে শুধু আমার, যাবে যদি চলে যাও এবং বুকের মাঝে রাখবো শিরোনামের গান। গজলের মধ্যে রয়েছে মেরে মিতুয়া, ম্যায় জিস দিন, জানে কাহা, ম্যায় সায়ের তো নেহি এবং চিটঠি আয়ি হ্যায়। ঈদের পরদিন রাত ১০.৩০ মিনিটে প্রচার হবে সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘লেকে পেহেলা পেহেলা পেয়ার’। একক এবং ডুয়েট হিন্দি গান দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে থাকছে দিল কিয়া কারে, মেরে মেহেবুব, রাজাকো রাণি সে পেয়ার, লেকে পেহেলা পেহেলা পেয়ার, বারিস মে তু, তুহি এ মুঝকো বাতাদে, ধীরে ধীরে সে, হামকো হামিসে, ম্যায় জিস দিন ভুলাদু এবং মিলে হো তুম হামকো শিরোনামের গান।  ডুয়েট গানগুলোতে ড. মাহফুজুর রহমানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন সামিয়া জাহান, নীলিমা, ভাবনা আহমেদ ও মারিয়া চৌধুরী।
চাঁদরাতে ফের অমির সঙ্গী হয়ে আসছেন আঁচল
এ সময়ের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ অমি। চলতি বছরের শুরুতে তিনি নিয়ে আসেন দক্ষিণের আদলে ‘মাতাল’ শিরোনামের একটি মিউজিক ভিডিও। এতে তিনি হাজির হয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখির সঙ্গে। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে। খুব কম সময়ে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে গানটি ছড়িয়ে যায়। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ভিউ। ডিজিটালের অন্য মাধ্যমেও ‘মাতাল’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেখানেও হয়েছে কয়েক কোটি ভিউ।  তারই ধারাবাহিকতায় অমির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে চাঁদ রাতে আসছে নতুন আরও একটি গান-ভিডিও। শিরোনাম ‘বেবি কথা ছুইনা যাও’। পুরান ঢাকার কথার গানটির কথা ও সুর গায়কের। এবারও গানটিতে মডেল হিসেবে আছেন ‘সুলতানা বিবিয়ানা’খ্যাত চিত্রনায়িকা আঁচল। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন এ এম ফরহাদ, কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিবুর রহমান। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন  শুভ্র মেহরাজ। ‘মাতাল’র সাফল্যে প্রসঙ্গে আঁচল-অমি বলেন, সবমিলিয়ে গানটি পাঁচশ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। তাদের এই ভালোবাসায় আমরা অভিভূত। একটি কাজ যখন মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং তাদের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয় সেই অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় না। এটি নতুন কাজের অনুপ্রেরণা দেয়। নতুন গান প্রসঙ্গে সৈয়দ অমি বলেন, এই প্রথম পুরান ঢাকার ভাষায় গান লিখেছি। গানের কথায় পুরান ঢাকার অনেক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে গানের শুটিং আমরা পুরান ঢাকায় করিনি। কুমিল্লা ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে শুটিং করেছি। আমার বিশ্বাস ‘মাতাল’ গানের মতো এই গানটিও জনপ্রিয়তা পাবে। জানা গেছে, ‘বেবি কথা ছুইনা যাও’ গানটিতে আঁচল হাজির হচ্ছেন কোটিপতির বাপের আদরের মেয়ের চরিত্রে। ওয়েস্টার্ন লুক, লন্ডন আমেরিকা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, সৈয়দ অমি খাঁটি পুরান ঢাকার ছেলে। এছাড়াও আসন্ন ঈদে অমির আরো কয়েকটি গান মুক্তি পাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক, শবনম বুবলী ও রোশান অভিনীত ‘মায়া: দ্য লাভ’ সিনেমার ‘তুমি ছাড়া চাই না কিছু’ অন্যতম। বুধবার সন্ধ্যায় গানটি মুক্তি পেয়েছে। এই গানটি নিয়েও বেশ আশাবাদী সৈয়দ অমি।  
পুরস্কারের ঘোষণা দিলেন আসিফ আকবর
নতুন ফ্ল্যাটে উঠেই আদরের পুম্বাকে হারিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। পোষ্য প্রাণীকে হারিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন তিনি। খোঁজ করেছেন সদ্য ওঠা নতুন ফ্ল্যাটের আশপাশেও। তবুও যেন পুম্বার খোঁজ মিলছে না। অবশেষে আদরের বিড়ালের জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিলেন আসিফ। এক ফেসবুকবার্তায় এই শিল্পী লিখেছেন, বিড়ালটা বেঁচে আছে, হয়তো কারও বাসায় আছে। তিনি হয়তো মালিক খুঁজে পাচ্ছেন না। অথবা কেউ নিজের মনে করে লুকিয়ে রেখেছেন এই সম্ভাবনাও নাকচ করছি না। পুম্বা খুব সুন্দর দেশি ক্যাট, জানি সে ভালো যত্ন-আত্তিতেই আছে। ওকে ইনজেকশন দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। প্লিজ, পুম্বার সন্ধান দিন, ৫০ হাজার টাকা গিফট পৌঁছে যাবে।   এদিকে শিগগিরই মিউজিক্যাল ফিল্ম নিয়ে হাজির হচ্ছেন আসিফ আকবর। নাম ‘দ্য লাস্ট ডন’। এটি গায়কের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি হচ্ছে। এতে আসিফ হাজির হবেন একজন ডনের ভূমিকায়। অন্যদিকে শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে আসিফের নতুন একটি দ্বৈত গানও আসছে। এ ছাড়াও ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা সারেগামা ও টি সিরিজের সঙ্গে সামনে কাজ হবে। শ্রোতারা তার হিন্দি গানও পাবেন।
ঈদ অনুষ্ঠানে প্রথমবার উপস্থাপনায় ইমরান
এবার টেলিভিশনে প্রথমবার উপস্থাপনা করবেন সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। আসছে ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠানমালায় গানের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে দেখা যাবে তাকে। অনুষ্ঠানের নাম ‘ইমরান শো- বকুলে চন্দনে, গানের বন্ধনে।’  অনুষ্ঠানে কবির বকুলের লেখা ও চন্দন সিনহার গাওয়া পুরোনো সাতটি গান শোনা যাবে এ প্রজন্মের ১০ জন জনপ্রিয় শিল্পীর কণ্ঠে। উপস্থাপনার পাশাপাশি নিজেও চন্দন সিনহার গাওয়া একটি গান পরিবেশন করবেন ইমরান। পুরো অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকবেন কবির বকুল ও চন্দন সিনহা।   এ প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, টেলিভিশনে আগে কথনও উপস্থাপনা করিনি। প্রথমে ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা সহজ কাজ নয়। তাও আবার আমার দুই প্রিয় ব্যক্তিকে নিয়ে। আর আমার অভিজ্ঞতাও নেই। পরে কবির বকুল  ভাইয়ের কাছ থেকে অনুষ্ঠানটির পুরো পরিকল্পনাটি জানলাম।  কবির বকুল ভাইয়ের লেখা আমার প্রিয় শিল্পী চন্দনদার গাওয়া কিছু গান অনুষ্ঠানটিতে আমাদের সহশিল্পীরা গাইবেন। তাছাড়া বকুল ভাই ও চন্দন ভাইয়ের সঙ্গে আমার আগে থেকেই কাজের অভিজ্ঞতা আছে। সব ভেবে পরে রাজি হলাম। তিনি আরও বলেন, কোনো চিত্রনাট্য নিয়ে মুখস্থ করে উপস্থাপনা করা লাগছে না। বাস্তবের মতো আড্ডার ছলেই কাজটি করতে পারছি। কারণ যে ১০ জন শিল্পী গান করছেন, তারা সবই আমার কাছের সহশিল্পী। ফলে হেসেখেলে বেশ মজা করেই কাজটি করতে পারছি। গত ২৯ তারিখ অনুষ্ঠানটির শুটিং শুরু হয়েছে এফডিসিতে। সাতটি গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন— রাজিব, অয়ন চাকলাদার, কিশোর, সাব্বির, খেয়া, সিঁথি সাহা, আতিয়া আনিসা, মাহতিম সাকিব, মুহিন ও ইমরান মাহমুদুল। অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন কবির বকুল। অনুষ্ঠানটি ঈদের তৃতীয় দিন রাত সাড়ে ১০টা ৩০মিনিটে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে।  
‘সোলসে’ নেই নাসিম আলী খান!
প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করছে শ্রোতাপ্রিয় ব্যান্ড ‘সোলস’। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কয়েকটি কনসার্ট করেছে। এবার দুই মাসের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে ব্যান্ডটি। আগামী ১০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন ব্যান্ডের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিভিন্ন স্ট্যাটে ২০টি শোতে পারফর্ম করবে ‘সোলস’। তবে এই সফরে থাকছেন না অন্যতম সদস্য নাসিম আলী খান।  জানা গেছে, ব্যক্তিগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই সফর থেকে ‘অবসর’ নিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সোলস প্রধান পার্থ বড়ুয়া বলেন, সোলসের ৫০ বছর উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠান পারফর্ম করতে যাচ্ছি। তবে এবারের সফরে ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা থাকার কারণে নাসিম ভাই যেতে পারছেন না। তাই আপাতত সোলসের কোনও কার্যক্রমে তিনি নেই। তবে কি ব্যান্ড থেকে অবসরে গেলেন জ্যেষ্ঠ এই সদস্য! গুঞ্জন উঠেছে শহরে। কারণ সোলস-এর সাম্প্রতিক ছবিতেও মিলছে না নাসিম আলী খানের ছবি!   অবশ্য ব্যান্ড ছাড়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে নাসিম আলী খান বলেন, আমি কিন্তু ব্যান্ড ছাড়িনি। আসলে শারীরিক ও পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকতে পারছি না। এছাড়া অন্য কোনও কারণ নেই। তবে সোলস থেকে নাসিম আলীর এই ছুটি কতো সময়ের জন্য, সেটি কিন্তু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত,  সোলস এর জন্ম ১৯৭২ সালে হলেও নাসিম আলী খান এতে যুক্ত হন ১৯৮০ সালে। সেই থেকে তিনি দলটির অন্যতম সদস্য ও ভোকাল হিসেবে যুক্ত ছিলেন নিরলস। সোলস-এর বর্তমান সদস্যরা হলেন পার্থ বড়ুয়া, আহাসানুর রহমান আশিক, মীর শাহরিয়ার হোসেন মাসুম ও মারুফ হাসান তালুকদার রিয়েল। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নকীব খান, পিলু খান, আইয়ুব বাচ্চু, তপন চৌধুরী, তাজুল ইমাম, সাজেদুল আলম, মমতাজুল হক লুলু, সুব্রত বড়ুয়া রনি, আহমেদ নেওয়াজ, শাহেদুল আলম, পান্থ কানাই, ইফতিখার উদ্দিন সোহেল, নাইমুল হাসান তানিম, জাকির হাসান রানা প্রমুখ। উইকিপিডয়াতেও সর্বশেষ দলত্যাগী সদস্যের তালিকায় নাম যুক্ত হয়েছে নাসিম আলী খানের। 
৫০ বছর উদযাপনে যুক্তরাষ্ট্রে ‘সোলস’
প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করছে শ্রোতাপ্রিয় ব্যান্ড ‘সোলস’। ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বেশ কয়েকটি কনসার্ট করেছে। এবার দুই মাসের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে ব্যান্ডটি। আগামী ১০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন ব্যান্ডের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিভিন্ন স্ট্যাটে ২০টি শোতে পারফর্ম করবে ‘সোলস’ । বিষয়টি নিয়ে ‘সোলস’ ব্যান্ডের দল প্রধান গায়ক পার্থ বড়ুয়া বলেন, সোলসের ৫০ বছর উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠান পারফর্ম করতে যাচ্ছি। তবে এবারের সফরে আমাদের সঙ্গে পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত কিছু সমস্যা থাকার কারণে নাসিম ভাই যেতে পারছেন না। তাই আপাতত সোলসের সঙ্গে কোনো কার্যক্রমে তিনি নেই।    বিষয়টি নিয়ে নাসিম আলী খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার শারীরিক ও পারিবারিক ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সফরে থাকতে পারছি না। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই। আমি কিন্তু ব্যান্ড ছাড়িনি। জানা গেছে,  ঈদ উপলক্ষে সোলস  ভক্তদের জন্য থাকতে পারে নতুন গান। এমনই আভাস পাওয়া গেছে।  এদিকে আগামী ১ এপ্রিল লন্ডনে যাবেন পার্থ বড়ুয়া। সেখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে সোলস টিমের সঙ্গে যোগ দিবেন এই গায়ক।
১২৫ বছর পুর্তিতে গাইবেন নাসির- কাজী শুভ- নিশি শ্রাবনী
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শোলক ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২৫ বছর পুর্তি ১৩ এপ্রিল। এদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের ঈদ পুনর্মিলনী ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও প্রাক্তনদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  সেই সাথে বিদ্যালয়ের স্কাউট ও গার্লস গাইড দলের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে।  এ আয়োজনকে আরো আনন্দঘন করে তুলতে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন- জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাসির, কাজী শুভ ও নিশি শ্রাবনীসহ আরো অনেকে। পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন আর জে অপু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম সাইদুর রহমান।  উল্লেখ্য, ১৮৮৭ সালে জুনিয়র স্কুল হিসেবে শোলক ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। এর প্রকৃত বয়স ১৩৭ বছর। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদানকৃত তথ্যমতে  বিদ্যালয়টি থেকে শিক্ষার্থীরা প্রথম এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন ১৯০১ সালে। সে হিসেবে ১৮৯৯ সালকে বিদ্যালয়টির মাধ্যমিক স্বীকৃতি লাভের বছর হিসেবে গন্য করা হয়। তখন থেকে ১৮৯৯ সালই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার বছর হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।