ইয়াবা আসক্ত বেশির ভাগ নারী মানসিক সমস্যাসহ মারাত্মক সব মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এমনকি তাদের অনাগত সন্তান বা ছোট ছেলেমেয়েরাও পড়তে পারে বিপদে। তারাও মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।
ইয়াবার ক্ষতিকর প্রভাব রুখতে অনেক দেশ এর উৎপাদন, বিপণন ও সেবন নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও ইয়াবার আগ্রাসন বন্ধ করা যায়নি। এই দেশে ইয়াবা আসে মূলত মিয়ানমার থেকে। বাংলাদেশকে টার্গেট করে সেখানে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু কারখানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম আবদুর রহমান বলেন, ইয়াবা সেবনকারী তাৎক্ষণিক কিছু উপকার পেতে পারেন। উত্তেজনা বা কর্মক্ষমতা বাড়াতে এটা ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। কিন্তু এর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়াবা আসক্তরা ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেশি।
মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) সভাপতি, অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ইয়াবা সেবনের ফলে মেয়েদের গর্ভধারণের ক্ষমতা লোপ পায়। তাদের সন্তান বিকলাঙ্গ বা কম ওজনের হতে পারে। এমনকি গর্ভধারণের আগেই তার গর্ভপাত হতে পারে।
বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে মূলত তরুণরাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মকে মাদকমুক্ত করতে না পারলে সেই লক্ষ্য অর্জন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি সৈনিকদের চাঙ্গা রাখতে হিটলারের নির্দেশে তৈরি হয় ইয়াবা। যা খেলে একটানা যুদ্ধেও ক্লান্ত হতেন না সৈনিকরা। এই ইয়াবার মূল উপাদান মিথা ইন ভিটামিন নামে উত্তেজক এক উপাদান, যার সঙ্গে মিশানো হয় ক্যাফিন।
কে/