জম্মু ও কাশ্মীরকে একীভূত করে পাকিস্তানের নতুন ম্যাপ প্রকাশ
জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং পশ্চিম গুজরাটের কিছু অংশকে একীভূত করে পাকিস্তানের নতুন ম্যাপ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই ম্যাপ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
নতুন ম্যাপে পুরো জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ এবং পশ্চিম গুজরাটের কিছু এলাকা পাকিস্তানের বলে দেখানো হয়েছে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের বর্ষপূর্তির ঠিক আগে ইমরান খান এই ম্যাপ প্রকাশ করেছেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভারতকে চাপে ফেলতেই নেপালের পর পাকিস্তানও নতুন ম্যাপ প্রকাশ করেছে। আর এই পরিকল্পনার পেছনে চীনের কৌশল রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমরান খান এই ম্যাপ প্রকাশ করার পরই ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা পাকিস্তানের তথাকথিত একটি রাজনৈতিক মানচিত্র দেখেছি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই মানচিত্র প্রকাশ করেছেন। এটা চূড়ান্ত রাজনৈতিক অবাস্তবতা। তারা ভারতের রাজ্য গুজরাট, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ তাদের এলাকা বলে দাবি করেছে। এটা চরম হাস্যকর দাবি। এর কোনও আইনি বৈধতা নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতাও নেই। এর থেকে একটি কথাই স্পষ্ট, বাস্তবে পাকিস্তান সীমান্ত-সন্ত্রাসের পাশাপাশি এলাকা বিস্তার করা নিয়ে মশগুল থাকতে চাইছে।
--------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: হ্যারিকেন ইসাইয়াসে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের তিন রাজ্য
--------------------------------------------------------------
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই ম্যাপ প্রকাশ করার পর বলেছেন, ভারত গত আগস্টে বেআইনি কাজ করেছে। গতবছর ৫ অগাস্ট মোদি সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে এবং জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতীয় সংসদ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।
ইমরানের দাবি, তার মন্ত্রিসভা নতুন ম্যাপ অনুমোদন করেছে। এই ম্যাপই এখন থেকে স্কুলে পড়ানো হবে। আর ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধের কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টাও চালানো হবে। গত এক বছরে পাকিস্তান বারবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ ও ৩৭০ ধারা বিলোপের ঘটনা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তোলার চেষ্টা করেছে।
চীনের উদ্যোগে জাতিসংঘে ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘ ভারতের নিন্দা করতে রাজি হয়নি। তারাও মনে করেছে, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত-পাকিস্তান বিরোধের ক্ষেত্রে চীনকে বাদ দিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি চার স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সবসময় দিল্লির পাশেই থেকেছে।
এমকে
মন্তব্য করুন