জরুরি অবস্থা ভেঙে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ
জরুরি অবস্থা ভেঙেই রাস্তায় নেমে এসেছে থাইল্যান্ডের হাজার হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে বিপুল সংখ্যায় ব্যাংককের রাস্তার দখল নেন বিক্ষোভকারী। তিন মাসের বিক্ষোভ বন্ধে প্রতিবাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং জরুরি অবস্থা সত্ত্বেও মানুষজনকে দমিয়ে রাখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিক্ষোভাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। তবে প্রতিদিন একই স্থানে বিক্ষোভের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সেক্ষেত্রে আজ শুক্রবারও সমাবেশের পরিকল্পনা রয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সরব হয়েছে দেশটির নাগরিকরা। ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে প্রায়ুথ। কিন্তু থাইল্যান্ডের মানুষজন এখন সেনাবাহিনী ও রাজার আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করে রাস্তায় নেমে এসেছে।
বিক্ষোভকারীদের একজন হাইপ্রোফাইল নেতা পানুপং ‘মাইক রায়োং’ জাদনক বলেছেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কুকুরের মতো, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যাবো। আমরা পিছু হটবো না। আমরা পালিয়ে যাবো না। আমরা কোথাও যাবো না।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের ব্যস্ত রাতচাপরাসং চত্বর থেকে সরে যেতে পুলিশ আহ্বান জানালেও তাদের মন গলেনি। এসময় তারা মোবাইলে আলো জ্বলে ঝলকানির ঢেউ তোলে। ২০১০ সালে এখানেই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অন্তত ৮৫ জনের মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে সপ্তাহের শুরুর দিকে আটক হওয়া প্রায় ৪০ জন আন্দোলনকর্মীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য স্লোগান বিক্ষোভকারীরা। এসময় কিছু বিক্ষোভকারী রাজার বিরুদ্ধেও অপমানজনক আহ্বান জানায়। এ ধরনের ঘটনা দেশটিতে নজিরবিহীন। সেখানে দেশটির সংবিধানে বলা হয়েছে, রাজাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।
এ
মন্তব্য করুন