চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় বোমা বিষ্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ৪টি মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক ২ জনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার সকালে মামলাগুলো করা হয়।
জেলা পুলিশের (বিশেষ শাখা) পরিদর্শক শাহ আলম আরটিভি অনলাইনকে জানান, সীতাকুণ্ডে ২ জঙ্গি আস্তানার সন্ধান, আস্তানায় অভিযান শুরুর পর পুলিশের ওপর হামলা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ৪টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে সীতাকুণ্ডের কলেজ রোডের চৌধুরীপাড়ার প্রেমতলা এলাকার ছায়ানীড় ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় দু'টি মামলা করা হয়েছে। একটি সন্ত্রাস দমন আইনের মামলা ও অন্যটি হত্যা মামলা। পুলিশের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে ও ৪ জঙ্গিসহ ৫ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) হাবিবুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, পুলিশের সিআইডি ক্রাইম সিংক ইউনিটের একটি টিম ছায়ানীড় ভবনের আলামত সংগ্রহে কাজ করছে।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নিহত ৫ জঙ্গির লাশ নিয়ে গেছে পুলিশ। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেষ্ট করা হবে।
বুধবার সন্ধ্যার পর সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকায় নামারবাজারে ‘সাধনকুটির’ নামের একটি বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনা নামের দু’জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। ওই নারীর গায়ে আত্মঘাতী হামলার ভেস্ট ছিল। সাধনকুটির থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে প্রেমতলার ‘ছায়ানীড়’ ভবনের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। এতে নারী ও শিশুসহ নিহতের সংখ্যা ৫। এদের মধ্যে পুলিশের গুলিতে একজন এবং আত্মঘাতী বোমার আঘাতে তিনজন মারা যান।
এসজে