ভারতের উত্তরপ্রদেশে নারী নিরাপত্তার করুণ ছবিটা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠলো। গণধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এক কলেজ ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দিলো অভিযুক্তরা। রাজ্যের শাহজাহানপুরের জাতীয় সড়কের পাশ থেকে নির্যাতিতা তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরের ৭২ শতাংশই পুড়ে গেছে। তিন অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার আর্জি জানিয়েছেন তরুণীর বাবা।
এই মুহূর্তে লখনউয়ের এক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই ছাত্রী। বুধবার স্থানীয় জনতার নজরে আসে নগ্ন অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকা তরুণীর অগ্নিদগ্ধ দেহ। তারাই পুলিশে খবর দেন। আপাতত তরুণীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাকে তুলে নিয়ে যায় তিন অভিযুক্ত। গ্রামের একটি খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাও করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় তার গায়ে। এদিকে তরুণী যে কলেজের ছাত্রী সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ।
তাতে দেখা গেছে, ঘটনার সময়ের কিছুক্ষণ আগে কলেজের চতুর্থ তলায় নিজের ক্লাসরুমের বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন ওই তরুণী। পরে তাকে লাইব্রেরির দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। পুলিশের কাছে মেয়েটি জানিয়েছে, তিনি বুঝতে পারছেন না কলেজের চতুর্থ তলা থেকে কী করে হাসপাতালে এলেন।
গুরুতর আহত ওই তরুণীর বয়ান ও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা তার গতিবিধি দেখে বিষয়টি বুঝতে চাইছে পুলিশ। তাতে তৈরি হয়েছে সংশয়ও। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কলেজে ঢোকার ২০ মিনিটের মধ্যেই দেয়াল ডিঙিয়ে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী। কোথায় যাচ্ছিলেন ওই তরুণী, তা বোঝায় চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ