সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। একজনের সঙ্গে প্রেম। আবার বিয়ে আরেকজনের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের দিন ঠিকই নিজের পুরনো প্রেমিকাকে নিয়ে পালালেন বর। যদিও বিয়ের জন্য নগদ দুই লাখ রুপি ও মোটরসাইকেল পণও নিয়েছিলেন। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
বর পেশায় রাজ্য পুলিশের হোম গার্ড। সেই যুবক বিয়ের দিন কনেকে ছেড়ে পুরনো প্রেমিকাকে নিয়েই পালালেন। এমন পরিস্থিতিতে লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার হাত থেকে ওই যুবতীকে বাঁচিয়ে দেন এক সিভিক পুলিশ।
লোকলজ্জার হাত থেকে যুবতীকে রক্ষা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওই সিভিক পুলিশ। তবে এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব সরকার। তিনি যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তাতে স্থানীয়রা খুশি ও কৃতজ্ঞ প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, রাজ্যের কুমারগ্রাম থানার দুর্গাবাড়ি এলাকার রাসু দাসের মেয়ে পাপিয়ার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল আলিপুরদুয়ারের পাঁচকোলগুড়ি এলাকার মিন্টু বর্মন নামে এক যুবকের। মিন্টু বিয়ের পণ বাবদ নগদ দুই লাখ রুপি, মোটরসাইকেলসহ সোনার গয়না করে। সোমবার রাতে বিয়ের কথা ছিল।
কথা অনুযায়ী, টাকা এবং মোটরসাইকেল বিয়ের আগেই নিয়েছিলেন মিন্টু। কিন্তু বিয়ের দিন সন্ধ্যায় বিপত্তি ঘটে। প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান মিন্টু। রাসুর বাড়িতে এ খবর পৌঁছাতেই তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কান্নায় ভেঙে পড়েন কনে।
পরে কুমারগ্রাম থানার অফিসার বাসুদেব সরকারের দ্বারস্থ হয় তারা। এরপরই পাপিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়ে ওঠেন ওই পুলিশ কর্তা। সোমবার রাতে কুমারগ্রাম থানায় কর্মরত ধীরেশ রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে বিয়েতে রাজি করান তিনি।
থানায় ডেকে আনেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির লোকদের। দুই পক্ষকে বসিয়ে আলোচনা হয়। তারা বিয়েতে রাজি হওয়ার পরই ধীরেশের সঙ্গে পাপিয়ার বিয়ের ব্যবস্থা করেন তিনি। ধুমধাম করেই বিয়ে হয়। রাতেই মিন্টুকে দেয়া পণের ২ লাখ রুপি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে আনে কুমারগ্রাম থানার পুলিশ।
এ