‘যখন আমি স্কুলে যেতাম, তখন অনেক মেয়েকেই ভালো লাগতো। তাদের প্রত্যেককেই চিঠি লিখতাম। তবে দিতে পারতাম না। পরে সেই চিঠিগুলো আমাদের বাড়ির ছাদের ওপর লুকিয়ে রাখতাম।’
সদ্যই ডিজাইন ও লেখার সরঞ্জামাদি তৈরিকারক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মন্টব্লাঙ্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এরপরই জানতে চাওয়া হয় লেখা নিয়ে তার কোনো স্মৃতি আছে কি না? এর জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে অধিনায়ক এসব কথা বলেন।
এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘কাউকে কিছু লেখা নিয়ে আমার সামান্য স্মৃতি আছে। আমি যখন বেড়ে উঠছিলাম, তখন স্কুলের অনেক মেয়ের প্রতিই দুর্বল হয়ে পড়তাম। তাদের ভীষণ ভালো লাগতো। তাদের উদ্দেশে চিঠিও লিখতাম। তবে ভয়ে সেগুলো দিতে পারতাম না। এক পর্যায়ে ছাদের ওপরে সেগুলো লুকিয়ে রাখতাম। এভাবে ২৭-৩০টি চিঠি জমা হয়েছিল।’
বয়স বাড়ার সঙ্গে ভিলিয়ার্সের সাহসও বাড়ে। সেই চিঠিগুলোর সদ্ব্যবহারও করেন তিনি। পরে সব চিঠিই স্ত্রীকে সারপ্রাইজ হিসেবে উপহার দেন।
সুপারম্যান খ্যাত এ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘যখন আমি পর্যাপ্ত বয়স্ক হলাম, তখন বিয়ে করলাম। এর পর সিদ্ধান্ত নিলাম সেই পুরনো শক্তি সদ্ব্যবহার করার। আর এটি কাজে দেয় যখন আমি স্ত্রীকে নিয়ে ভারতে আসি এবং সে যখন আমাকে ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরে।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী যখন আমাকে ছেড়ে ভারত থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরে তখন তার পাসপোর্টের মধ্যে চিঠি লুকিয়ে রাখি। যেনো সে বিমানে তা পড়তে পারে। এর ঠিক দু’তিনদিন পর (বাড়িতে পৌঁছে) ও আমাকে টেক্সট মেসেজ করে এবং তার অনুভূতি জানায়।’
এবি ডি ভিলিয়ার্সের স্ত্রীর নাম ড্যানিয়েল ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৩ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সামনে মাসেই তাদের ঘরে আসছে আরেক সন্তান।
ডিএইচ