আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৯ সাল থেকে তারকা ক্রিকেটারদের ‘হল অব ফেম’ নামক বিশেষ সম্মাননা দিয়ে আসছে আইসিসি। এবার সেই স্বীকৃতি পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স, ইংল্যান্ডের অ্যালিস্টার কুক ও ভারতীয় নারী ক্রিকেটার নিতু ডেভিড।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে লম্বা সময় বিশ্ব ক্রিকেটে অনন্য অবদান রাখায় তিন ক্রিকেটারকে হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছে আইসিসি।
বিশেষ ওই স্বীকৃতিতে যথাক্রমে ১১৩, ১১৪ ও ১১৫তম সদস্য হিসেবে রয়েছেন কুক, নিতু ও ডি ভিলিয়ার্স। আইসিসি বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাগত জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই আয়োজন করা হবে আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন।
টেস্ট ইতিহাসের সেরাদের একজন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কুক। ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে নাগপুর টেস্টে অভিষেক হয় তার। এই ম্যাচেই দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করে নজরে আসেন তিনি। সব মিলিয়ে ১৬১ টেস্ট খেলা এই ব্যাটার ৩৩ সেঞ্চুরি ও ৫৭ ফিফটিতে ১২ হাজার ৪৭৩ রান করেন। দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা এই ব্যাটার ক্যারিয়ারে যুক্ত করেন দুটি অ্যাশেজ।
ভারতের হয়ে ১০ টেস্টে নেন ৪১ উইকেট নেন নিতু ডেভিড। এ ছাড়া ৯৭ ওয়ানডেতে তার উইকেট সংখ্যা ১৪১টি। ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে সবার আগে ১০০ উইকেট শিকার করা নারী ক্রিকেটার তিনিই। ১৯৯৫ সালে মেয়েদের শততম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রানে ৮ উইকেট নেন নিতু। যা এখন পর্যন্ত মেয়েদের টেস্টে সেরা বোলিং। প্রাথমিকভাবে ২০০৬ সালে অবসর নিলেও পরে ফিরে ২০০৮ সালে ভারতের এশিয়া কাপ জয়ে অবদান রাখেন তিনি।
অন্যদিকে ১১৫তম সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়া এবি ডি বিলিয়ার্সের ক্যারিয়ারও ছিল রঙিন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০ হাজারের বেশি রান করা দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটারের রয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটি, দ্রুততম সেঞ্চুরি ও দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড।
সব মিলিয়ে ১১৪ টেস্ট খেলে ৮ হাজার ৭৬৫ রান সংগ্রহে রয়েছে তার। এ ছাড়া ২২৮ ওয়ানডেতে ৯ হাজার ৫৭৭ ও ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার ৬৭২ রান করেন তিনি।
আরটিভি/এসআর
