মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভিডিও কলে রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় বাইডেন বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে ওয়াশিংটন এবং এর মিত্ররা কড়া জবাব দেবে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেনের সঙ্গে এক ফোন কলে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন।
হোয়াইট হাউস জানায়, ভিডিও কলে পুতিন ও বাইডেন স্পষ্ট করেছেন যে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায় তাহলে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা কড়া জবাব দেবে এবং চরম মূল্য দিতে হবে।
ঘণ্টাব্যাপী চলা ভিডিও কলে বাইডেন পুতিনকে বলেন, হামলা ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থানকে খর্ব করবে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু অন্য পরিস্থিতির জন্যও সমানভাবে প্রস্তুত।
হোয়াইট হাউস জানায়, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন ইস্যুতে বাইডেন ও পুতিন এক ঘণ্টা দুই মিনিট কথা বলেন।
এদিকে আটটি দেশ তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। যেকোনো সময় ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
যেসব দেশ নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে, সেসব দেশ হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস ও লাটভিয়া।
এদিকে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াট হাউস থেকে বলা হয়েছে, রুশ সামরিক বাহিনী যেকোনও দিন ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনও মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
সূত্র: আলজাজিরা