বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ বিষয়ক বিধিমালার গেজেট এ মাসেই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
রোবরার দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে এই গেজেট প্রকাশ করা হতে পারে।
এর আগে সকালে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিষয়ক বিধিমালার গেজেট প্রকাশে আবারো দু’সপ্তাহ সময় পায় সরকার। তবে এটাই শেষ সুযোগ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন, এটাই লাস্ট চান্স।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কত দিন?’ এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দুই সপ্তাহ।
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন- এটাই লাস্ট চান্স।
এর আগে গেলো ২৯ মে অ্যাটর্নি জেনারেলের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিষয়ক বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশে দুই সপ্তাহ সময় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিষয়ক বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর ২০১৫ সালের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় শৃঙ্খলা বিষয়ক একটি খসড়া বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়। কিন্তু গেলো বছরের ২৮ আগস্ট আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা বিষয়ক সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। একইসঙ্গে ৬ নভেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে খসড়া বিধিমালা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে খসড়া বিধিমালা প্রকাশ্যে জন্য বারবার সময় নেয়া হয়।
আর/সি