করোনা মোকাবিলায় নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন৷ এবার তারা সাংহাইয়ের একটি এলাকার সব মানুষের করোনা পরীক্ষা করাতে ১১ জুন সেখানে লকডাউন দিয়েছে৷
মিনহাং নামের ওই শহরে ২৭ লাখ মানুষের বাস৷ গত সপ্তাহে সেখানে করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল৷ কেননা মার্চ থেকে শহরের ২৫ লাখ বাসিন্দা ঘর থেকে বের হননি৷ গত দুই বছরের মধ্যে করোনার ভয়াবহ সংকটে চীন৷
মার্চ থেকে মে পর্যন্ত চীনের কোনো শহরেই লকডাউন পুরোপুরি উঠিয়ে নেওয়া হয়নি৷ সেসময় চীনের বেশির ভাগ বড় শহরে অভিবাসীরা ঘরের ভেতরে অবস্থান করছেন৷ বাড়ির কম্পাউন্ডের বাইরে বের হননি তারা৷
মিনহাং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১১ তারিখ সকাল থেকে সেখানকার সব অধিবাসীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হবে৷ সবার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হলে লকডাউন তুলে দেয়া হবে৷ তবে তার নির্দিষ্ট সময় জানায়নি তারা৷ পরীক্ষায় যাদের করোনা শনাক্ত হবে তাদের কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়টিও পরিষ্কার করেনি তারা৷
করোনার বিরুদ্ধে লড়তে চীন কঠোর নিয়ম চালু করেছে৷ করোনা হলে একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে৷ এমনকি যে বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট অথবা এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি থাকবেন সেখানকার সব কোয়ারান্টাইনের আওতায় থাকবে৷ মিনহাং এর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই লকডাউন নিয়ে তাদের আশংকার কথা জানিয়েছেন৷ তাদের আশংকা যদি ওই শহরে একজনেরও দেহে করোনা শনাক্ত হয়, তাহলে দীর্ঘ সময় লকডাউনে থাকতে হবে তাদের৷
তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এমন কোন আশঙ্কার কারণ নেই৷ পরীক্ষা হওয়া মাত্র ধীরে ধীরে এলাকা থেকে লকডাউন তুলে নেয়া হবে৷
এদিকে, সাংহাই শহর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে৷ সাবওয়ে, বাস চলাচল করছে৷ মানুষ অফিসে যাওয়া শুরু করেছে৷ বেইজিংও ফিরে এসেছে স্বাভাবিক জীবনে৷ সৌজন্যে : ডয়েচে ভেলে