ইন্দোনেশিয়ায় জিম্মি নিউজিল্যান্ডের পাইলট
ইন্দোনেশিয়ার পার্বত্য জেলা এনদুগায় অবতরণের সময় একটি উড়োজাহাজে আগুন ধরে যাওয়ায় উড্ডয়ন বাতিল করা হয়। এ সময় দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উড়োজাহাজের পাইলটকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। ফিলিপ মার্থেনস নামের নিউজিল্যান্ডের ওই পাইলটকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
উড়োজাহাজটিতে এক শিশুসহ ৫ যাত্রী ছিলেন, তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাইলটকে জিম্মি করে ইন্দোনেশিয়ার কাছে ওয়েস্ট পাপুয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতি চাইছে।
বিবিসি জানায়, পাহাড়ি জেলা এনদুগায় অবতরণের পর ফিলিপ মার্থেনসের বিমানে আগুন ধরে যায়; এরপর ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র যোদ্ধারা তাকে ধরে নিয়ে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা জিম্মিকাণ্ডের তদন্ত করছে; কিন্তু আকাশপথে ছাড়া ওই এলাকায় যাওয়া যায় না, যে কারণে কাজটা বেশ কঠিন।
ইন্দোনেশিয়ার দৃষ্টিতে ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’।
এদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই গোষ্ঠীটির মুখপাত্র সেবি সামবম বলেছেন, ইন্দোনেশিয়া ‘অনড়’ থাকলে এবং ওয়েস্ট পাপুয়ার স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে বিমানচালককে মেরে ফেলা হবে।
নিজ দেশের পাইলটকে জিম্মি করা প্রসঙ্গে, নিউ জিল্যান্ডের সরকার জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি শুনেছে। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত নিউ জিল্যান্ডের কনস্যুলেট বিমানচালকের পরিবারকে সহযোগিতাও করছে।
সুসি এয়ারের ওই উড়োজাহাজটি পার্শ্ববর্তী জেলার তিমিকার খনির শহর থেকে পণ্য নিয়ে যাচ্ছিল। এয়ারলাইনটির প্রতিষ্ঠাতা সুসি পুদজিয়াস্তুতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, যারা জিম্মি হয়ে আছেন, তিনি তাদের জন্য প্রার্থনা করছেন।
ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলটি সাবেক ডাচ উপনিবেশ। অঞ্চলটি পাপুয়া ও ওয়েস্ট পাপুয়া নামে দুটি প্রদেশে বিভক্ত।
১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি বিতর্কিত ভোটে অঞ্চলটি ইন্দোনেশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন