ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধ্স, নিহত কমপক্ষে ৩৪
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তৈরি হওয়া বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১৬ জন।
রোববার (১২ মে) বার্তা সংস্থা এএফপিকে এই তথ্য জানান পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব ফরাসি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী ৩৪ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আগামের বাসিন্দা ১৬ জন এবং তানাহ দাতারের ১৮ জন। বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। এ ছাড়া নিখোঁজ ১৬ জনের সন্ধানে অভিযান চলছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এবং বন্যায় তানাহ দাতার অঞ্চলে ব্যাপক কাদা এসেছে। এতে পাঁচটি মহকুমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় ৮৪টি আবাসন ইউনিট এবং ১৬টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় দ্রুত পৌঁছানোর জন্য রাস্তা পরিষ্কারে ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০ ছাড়িয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদা-পানিতে ধুয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি। শনিবার (১১ মে) বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা জিনহুয়া।
এতে বলা হয়, শুক্রবার (১০ মে) আফগানিস্তানের বাঘলান, তাখার ও বাদাকাশানের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর ও হেরাত প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে প্রদেশগুলোতে। গ্রামের পর গ্রাম, সড়ক ও কৃষিজমি কাদায় ঢেকে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বহু মানুষ বাঘলানের হাসপাতালে জড়ো হয়েছেন। তারা সবাই তাদের স্বজনকে খুঁজছেন। এ সময় একজন কর্মকর্তা বলেন, তাদের কবর খনন শুরু করা উচিত। তাদের কর্মীরা দাফনের জন্য মরদেহগুলোকে প্রস্তুত করছেন।
তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সরকার বন্যাকবলিতদের উদ্ধার, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং মৃতদের দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সূত্র: এএফপি
মন্তব্য করুন