মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আগামী সপ্তাহে বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে সাতটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সুইডেন, মিসর, কাজাখস্তান ও সেনেগাল।
রয়টার্স জানায়, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে দেশগুলো দাবি তুলেছে যে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাদের নির্যাতনের ব্যাপারে যেন বিবৃতি দেন।
নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকা ইথোওপিয়াকে এ বৈঠক আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইথোওপিয়া জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে বৈঠকটির দিন নির্ধারণ করা হতে পারে।
এর আগে গেলো বুধবার রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে শক্তিশালী এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে বসবাসকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিজেদের আত্মপরিচয় নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ তাদের ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে পরিচয় দিতে নারাজ।
সরকারের দাবি এরা অবৈধ নাগরিক। অন্যদিকে, রোহিঙ্গারা শত শত বছর ধরে বসবাসের দাবি করে আসছে।
এরই মধ্যে গেলো মাসের শেষ দিকে জঙ্গি সংগঠন সলিডারিটি অর্গানাইজেশন অব রোহিঙ্গা (আরএসও) রাখাইনে কয়েকটি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন।
এর জের ধরে সরকারি বাহিনী রাখাইনের গ্রামগুলোতে সেনা অভিযান শুরু করে। এতে নারী, শিশুসহ নির্দোষ অনেকেই হত্যা করা হয়। গ্রামের পর গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিতে থাকে রোহিঙ্গারা।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মতে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের উপকূলে অবস্থান নিয়েছে।
মানবিক কারণে এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
ওয়াই/এমকে