বুলগেরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের রডপি পর্বতমালায় অবস্থিত রিবনভো গ্রামের মানুষেরা মনে করেন, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্যটা অনন্য। তাই তারা একে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন করেছেন।
প্রায় তিন দিন ধরে বিয়ের অনুষ্ঠান চলে। এই সময়ে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রীতি, অভ্যর্থনা ও নাচে অংশ নেন হবু বর ও কনে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনেরা কনের যৌতুক কাঠের ফ্রেমে ঝুলিয়ে দেন। বিশেষ করে কম্বল, বিছানার চাদর, লাল হারেম প্যান্ট ইত্যাদি। গ্রামবাসীর দেখার জন্য এটি করা হয়।
দ্বিতীয় দিন বিয়ের মিছিল গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। এদিন অনুষ্ঠানে আরো অনেককিছু হয়। নবদম্পতিকে উপহারের টাকা দিয়ে সাজানো হয়। পুরো গ্রাম অনু্ষ্ঠানে অংশ নেয়।
রিভনভোর মানুষেরা তাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত। কারণ, তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য অনন্য। তাই তারা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হতে আবেদন করেছে। ইউনেস্কো অ্যাপ্লিকেশন ইনিশিয়েটিভের মুস্তফা আমিন বলেন, এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে, রিভনভোর বিয়ের অনুষ্ঠানের ঐতিহ্যকে বুলগেরিয়া ও ইউনেস্কো, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক। তাহলে বুলগেরিয়ার অন্য সম্প্রদায়ের মতো আমরাও পরিচিত হয়ে উঠতে পারবো।
কনের বাড়িতে গেলিনা নামে একটি অনুষ্ঠান হয়, যা বিশুদ্ধতা আর নতুন শুরুর প্রতীক। সেই সময় কনেকে খুব নিখুঁতভাবে, দক্ষতার সঙ্গে সাজানো হয়। প্রাচীনকাল থেকে এটা চলে আসছে বলে জানা যায়।
এরপর বাড়ির সামনে জড়ো হওয়া মানুষদের সামনে কনেকে হাজির করানো হয়। ঐতিহ্য মেনে এই সময় তাকে চোখ বন্ধ রাখতে হয়।