২০১১ সালের ২ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানের আ্যবোটাবাদ শহরে মার্কিন কমান্ডোদের হামলায় (অপারেশন জেরোনিমো) নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। ওই সময় জব্দ করা চার লাখ ৭০ হাজার নথি প্রকাশ করেছে আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। এর মধ্যে লাদেনের ব্যক্তিগত জার্নালও আছে। খবর বিবিসি, সিএনএন।
সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পিও বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমেরিকার জনসাধারণকে আরো বেশি জানার সুযোগ করে দিতে এসব নথি প্রকাশ করা হচ্ছে। লাদেনের প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে ভিডিও, অডিও ফাইল, তার চিঠিপত্র, আরবিতে লেখা শত শত দলিল-দস্তাবেজ রয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রকাশিত নথিগুলো ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সবশেষ অংশ। এর আগে ২০১৫ সালের মে মাসে, ২০১৬ সালের মার্চে ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে কিছু নথি প্রকাশ করা হয়।
লাদেনের জার্নালের বিষয়ে সিআইএ বলছে, এসব নথির মধ্যে অন্যান্য অনেক নথি রয়েছে। এসবে আল কায়েদার প্রচার ও পরিকল্পনার বিষয় রয়েছে।
সৌদি আরবে জন্ম নেওয়া ওসামা বিন লাদেন আল-কায়েদা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটির বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি।
২০১১ সালের ২ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানের আ্যবোটাবাদ শহরে মার্কিন কমান্ডোদের হামলায় (অপারেশন জেরোনিমো) ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মার্কিন কমান্ডোরা হেলিকপ্টারযোগে লাদেনের বাসভবনে হামলা চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির পাশে লাদেনের এই গোপন আস্তানা ২০০৫ সালে নির্মাণ করা হয়।
এখানে লাদেন তার কনিষ্ঠ স্ত্রী এবং পুত্রসহ বাস করতেন। ওই অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক নথি, ছবি ও কম্পিউটার ফাইল উদ্ধার করা হয়।
এপি/এমকে