বিদেশিদের চাপে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগগুলোর কোনো তদন্ত করবে না পাকিস্তান সরকার। দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এ কথা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি সামনের দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখার কথা জানিয়েছে দেশটি। এ প্রেক্ষিতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের সময় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত করার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে অত্যধিক বিলম্ব করা হয়েছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামায়াতে ইসলামী এবং জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ)-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সদ্য সমাপ্ত এই নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ করেছে।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং জালিয়াতির যেসব অভিযোগ আমরা উত্থাপিত হতে দেখেছি, তাতে পাকিস্তানের আইনি ব্যবস্থার অধীনে এগুলোর সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। এর পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতেও এ নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে।
এ ব্যাপারেই পরে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় পাকিস্তানের বর্তমান সরকারপ্রধানের কাছে। জবাবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, পাকিস্তান কি যুক্তরাষ্ট্রকে ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার তদন্ত করতে বলেছিল? তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং কোনো চাপের কাছে মাথানত করবে না।