ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মাউন্ট আগুঙ্গে বড় ধরনের অগ্নুৎপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশটিতে সতর্কতা জারি করে। আর বালিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
বালি দ্বীপের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে ভ্রমণ পিপাসুদের জনপ্রিয় এই গন্তব্যে আটকে পড়েছে বহু মানুষ।
মাউন্ট আগুঙ্গের চূড়া থেকে ১১ হাজার ১শ’ ৫০ ফুট পর্যন্ত (৩,৪০০) কালো ধোঁয়া দেখা গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বোর্ড জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরির বিস্ফারণ ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত ( সাত মাইল) শোনা গেছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বোর্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগুনের শিখা রাতের বেলাও দৃশ্যমান হচ্ছে। এর ফলে আরো বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয়দের জন্য কর্তৃপক্ষ মাস্ক বিতরণ করছে। এছাড়া আগ্নেয়গিরির ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা বাসিন্দা সরে যেতে বলা হয়েছে।
কর্মকর্তা এবং আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, মাউন্ট আগুঙ্গের চূড়া কাছাকাছি ম্যাগমার অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন অ্যাজেন্সির তথ্য পরিচালক আগ্নেয়গিরির ছাই মাতারামের লম্বক শহরে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে টুইট করেছেন।
এ বছরের শুরুর দিকে আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হবার লক্ষণ দেখা দিলে এক লাখ ৪০ হাজার লোককে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হয়ে ওঠার ঘটনায় হলিডে আইল্যান্ড খ্যাত বালির কমপক্ষে ১১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া প্যাসিফিকের ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত। ফলে এই অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প এবং অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে থাকে।
এর আগে গেলো অক্টোবরে আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করে লোকজনকে দ্রুত নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
মাউন্ট আগুঙ্গ ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটির উচ্চতা নয় হাজার ৮শ’ ৪২ ফুট (৩০০০ মিটার)। ১৯৬৩ সালে সর্বশেষ এটি অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। তখন এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায় বহু গ্রাম।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এগুলোর প্রায় অনেকগুলোই সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সক্রিয় হবার আভাস দিচ্ছে।
এ/এসএস