ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা দ্বিতীয় দিনের মতো বালির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছেন। বালিতে মাউন্ট আগুঙ্গের ছাইয়ের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরটি বন্ধ রয়েছে। এতে বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে বহু পর্যটক। খবর বিবিসি, সিএনএনের।
গেলো সপ্তাহে ছোট ছোট অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় মাউন্ট আগুঙ্গে। এখন পর্যন্ত ক্রমাগতভাবে অগ্নিশিখা আর ধোঁয়া বের হচ্ছে আগ্নেয়গিরিটি থেকে। মাউন্ট আগুঙ্গের চূড়া থেকে তিন কিলোমিটার (দুই মাইল) পর্যন্ত কালো ধোঁয়া দেখা গেছে।
এদিকে বড় ধরনের বিস্ফোরণে আশঙ্কায় সোমবার দেশটির কর্তৃপক্ষ বালিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
আগ্নেয়গিরিটির আশপাশে এক লাখের মতো মানুষজনকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় সোমবার সকালে বালির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়। ফলে ৪শ’র বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। আটকা পড়ে ৫৯ হাজার পর্যটক।
তারা জানাচ্ছে, আগ্নেয়গিরির ধোঁয়ার কারণে বিমানের ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি অচলও হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও বিমানের জ্বালানি ও কুলিং সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এই ধোঁয়া। তাছাড়া ধোঁয়ার কারণে পাইলটের দৃশ্যমানতাও বাধাগ্রস্ত হবে।
আজ মঙ্গলবার ঘোষণা দেয়া হয় যে বুধবার স্থানীয় সময় ৭টা পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ অ্যাজেন্সির মুখপাত্র সুতোপো পুরও নুগরোহো জানিয়েছেন, ভারত সাগরে ক্রান্তীয় সাইক্লোনের কারণে বিমানবন্দরে দিকে ধোঁয়া উড়ে আসছে।
তবে পার্শ্ববর্তী লম্বক দ্বীপের বিমানবন্দর চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে পর্যটকদের ফেরি টার্মিনালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
মাউন্ট আগুঙ্গ ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটির উচ্চতা নয় হাজার ৮শ’ ৪২ ফুট (৩০০০ মিটার)। ১৯৬৩ সালে সর্বশেষ এটি অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। তখন এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায় বহু গ্রাম।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এগুলোর অনেকগুলোই সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সক্রিয় হবার আভাস দিচ্ছে।
এ/এসএস