ঢাকারোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্পকে এক কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ মাস্কের

ডয়চে ভেলে

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১১:৪৭ এএম


loading/img

ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গার অপরাধে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছিল। তারই ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক।

বিজ্ঞাপন

২০২১ সালে এক্সের সিইও ছিলেন জ্যাক দরসি। ওই বছর ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে আক্রমণ চালিয়েছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের অনুগামীরা। অভিযোগ, নির্বাচনে হার মেনে নিতে না পেরে সমাজমাধ্যমে অনুগামীদের ওই কাজ করতে উৎসাহিত করেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। যার জেরে টুইটার এবং ফেসবুক ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে টুইটার এবং ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এবার সেই মামলা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য এক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে ১ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে। বস্তুত, এর আগে মেটাও মামলা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে আড়াই কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসেই মেটা এবিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তখন তিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে পরাস্ত হন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন পর্যন্ত হার স্বীকার করেননি ট্রাম্প। অভিযোগ, সমর্থকদের উত্তেজিত করেছেন তিনি। তারই ফলস্বরূপ ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায় একদল রিপাবলিকান সমর্থক। ঘটনায় ১৪০ জন পুলিশ কর্মী গুরুতরভাবে জখম হন। ঘটনায় এক হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফেসবুক এবং টুইটার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ভুয়ো খবর ছড়ানোর অপরাধে।

এর কিছুদিন পরেই টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। পুরনো সিইও-কে বরখাস্ত করে মাস্ক নতুন টিম তৈরি করেন। টুইটারের নাম বদলে রাখা হয় এক্স। কিছুদিনের মধ্যেই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেন মাস্ক। সর্বশেষ মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছেন মাস্ক। ট্রাম্পও মাস্কের তারিফ করেছেন বারবার। এবার ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মাস্ক।

কর্মী সংকোচনে শিলমোহর

বিজ্ঞাপন

আমেরিকার প্রশাসনে কর্মী সংকোচনে আর কোনো বাধা থাকল না। ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি প্রশাসনে কর্মী সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেন। কর্মীদের অর্থের বিনিময়ে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কর্মীদের ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু একটি জেলা আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কর্মী সংকোচনে কোনো বাধা নেই। অর্থাৎ, ট্রাম্পের পদক্ষেপই মান্যতা পেলো।

বিজ্ঞাপন

প্রায় আট লাখ কর্মী ইউনিয়নের অংশ। তাদের অভিযোগ, গত ২৮ জানুয়ারি একটি ইমেল সকলের কাছে এসে পৌঁছায়। ইমেলের সাবজেক্ট ‘ফর্ক ইন দ্য রোড’। তাতে লেখা ছিল, কর্মীরা চাইলে এখনই পদত্যাগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে। পদত্যাগ না করলে কর্মীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যারা পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক, রিপ্লাইয়ে তারা কেবল ‘রিসাইন’ শব্দটি লিখলেই চলবে।

এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার ফেডারেল কর্মী পদত্যাগ করেছেন। অনেকেই আশা করেছিলেন, আদালত তাদের পক্ষে রায় দেবে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটলো না।

আরটিভি/আরএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |