ইরানের গভীর পর্বতের নিচে অবস্থিত ‘ফোরদো’ পারমাণবিক স্থাপনা এতটাই সুসংরক্ষিত ও কৌশলে নির্মিত যে সরাসরি এটিকে ধ্বংস করার মতো সামরিক ক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্থাপনায় হামলা চালাতে যে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বিশেষ ‘বানকার বাস্টার’ বোমা প্রয়োজন, সেটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বোমারবাহী বিমানেই বহনযোগ্য যা ইসরায়েলের নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র তা দিতে রাজিও নয়।
সাবেক মার্কিন জেনারেল জোসেফ ভটেলের মতে, এমন অস্ত্র ইসরায়েলকে দিলে তারা বড় যুদ্ধ শুরু করে দিতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
ইসরায়েল এখন ফোরদোর মূল স্থাপনা ধ্বংস করতে না পারলেও বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় আঘাত হানার বিকল্প চিন্তা করছে। এর আগেও তারা হেলিকপ্টার কমান্ডো মিশনের প্রস্তাব দিয়েছিল, তবে ফোরদোর অবস্থান অনেক গভীরে ও সুরক্ষিত হওয়ায় সে চেষ্টা বাস্তবায়ন কঠিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই স্থাপনাটি ধ্বংসের চেষ্টা হলে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিও দেখা দিতে পারে। তাই প্রযুক্তির পাশাপাশি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
সেই থেকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের অনেকে নিহত ও আহত হলেও এই সহিংস পরিস্থিতি থামাতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আরটিভি/এসকে