অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জিরো টলারেন্স’নীতির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ করেছে বিক্ষোভকারীরা। ওয়াশিংটন, লস এঞ্জেলস, নিউইয়র্ক, অরেগন, টেক্সাস, মিশিগানে অভিবাসনকর্মীরা ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। খবর সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি।
অভিবাসী পরিবার থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করার নীতি প্রত্যাহারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। সেসময় এক কংগ্রেস সদস্যসহ প্রায় ৬০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিল পুলিশ জানায়, তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলেই প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’নীতির আওতায় অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আটক অভিযান ও মামলার জেরে, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয় দুই হাজারেরও বেশি শিশু। শিশুরা আইনের চোখে অপরাধী না হওয়ায় তাদেরকে আটক মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা বলেছেন, গত ৫ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ২,২০৬ জন বাবা-মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ২,৩৪২ শিশুকে। তুমুল সমালোচনা ও চাপের মুখে ‘পরিবারকে একত্রিত রাখা’র এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। সেই আদেশেও বিচ্ছিন্ন হওয়া এই দুই সহস্রাধিক শিশুর ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তাছাড়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিও অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নকরণ ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের জিরো টলারেন্স নীতির নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ হয়।
এএফপি জানায়, বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই ছিলেন নারী। তারা সবাই সাদা কাপড় পরেছিলেন। পুলিশের আটক হুমকি উপেক্ষা করেই তারা সিনেট ভবনে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। বিক্ষোভকারীরা সিনেট ভবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখলে নিয়ে নেন। এ সময় তারা অভিবাসীদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানানোর দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশের সতর্কতা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকলে ৬০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
গত দুই বছর ধরে নারী অধিকারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা অভিবাসন কর্মীদের সঙ্গে জোট করে এই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আটকে রাখা অভিবাসন প্রত্যাশী ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা শিশুদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়াসহ নানা দাবি তুলে ধরছেন তারা কর্মসূচিতে।
এপি/পি
